
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন থেকে মাঠে সক্রিয় হয়ে আছেন। তবে অন্য দলের প্রার্থীরাও কোন অংশে পিছিয়ে নেই। দীর্ঘ দিন যাবৎ সদর-বন্দর আসন জাতীয় পার্টির দখলে রয়েছে। আর এতে করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মাঝে রয়েছে চরম ক্ষোভ। কেননা সদর বন্দর আসনে আওয়ামী লীগের এমপি না থাকায় এখানকার নেতা কর্মীরা তাদের দুঃখের কথা শেয়ার করতে পারে না বলে অভিযোগ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের। তাই তারা বিভিন্ন সভায় বলে থাকেন সদর-বন্দর আসনের নেতা কর্মীরা অবহেলিত হয়ে আছে। তাই তারা আগামী নির্বাচনে এই আসনে নৌকার প্রার্থীকে এমপি নির্বাচিত করার জন্য ঊঠে পরে লেগেছেন। তার জন্য জোরালো ভাবে দাবীও জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তাদের এই দাবী কতটুকু প্রতিফলিত হবে তা নির্বাচনে বুঝা যাবে। জানা যায়, সদর-বন্দর আসনে ২০১৪ সনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন নিয়ে সেলিম ওসমান এখানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন তিনি সাবেক এমপি এস এম আকরামকে পরাজীত করে জয়ী হন। পরবর্তিতে ২০১৮ সনের একদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিএনপির ঐক্যজোটের প্রার্থী এস এম আকরামকে পরাজীত করে আওয়ামী লীগের মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমান জয়ী হন। বর্তমানে তিনি এখানকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে আছেন। এবারও তিনি মাঠে রয়েছেন। তবে গত নির্বাচনে সেলিম ওসমানের পক্ষে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাও মাঠে নেমে কাজ করেন। একই সাথে তার পক্ষে ভোট চেয়েছেন কর্মীরা। সেলিম ওসমানের জাতীয় পার্টি রাজনীতিতে তেমন একটা সক্রিয় নন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বোদ্ধমহল। কেননা তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হলেও জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সংগঠনকে তেমন একটা শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন নাই। এছাড়া এবারের নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির সাথে ক্ষমতাসীন দলের শরীক নেই। আর এতে করে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাও তার পক্ষে কাজ করবে না বলে অনেকে মন্তব্য করেন। তাই জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান আগামী নির্বাচনে অনেকটা বেকায়দায় পরতে পারে বলে মনে করে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। তবে সাধারণ মানুষের ধারনা সেলিম ওসমানের যে দান বা শিক্ষা ক্ষেত্রে যে অবদান রয়েছে তাতে তার সম্ভাবনা অনেক বেশী। অপরদিকে দলীয় সূত্রমতে জানাযায়, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সদর-বন্দর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেয়ার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। জোর দাবীতে এখানে নৌকার প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন সেলিম ওসমানের বিপক্ষে প্রার্থী হওয়ার জন্য মাঠে রয়েছেন। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঠে নেমে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানাযায়, চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে। সেই হিসেবে সদর ও বন্দর আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নিয়ে ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা চলছে। এখানে ২২ বছরের বেশি সময় ধরে সদর-বন্দর আসনে আওয়ামীলীগের কোন এমপি পায়নি নেতাকর্মীরা। আর এনিয়ে তাদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে। এ আসন থেকে লাঙল ফেলে নৌকা ভাসাতে চান মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতারা। এর মধ্যে সদর-বন্দর আসনের আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নাম প্রস্তাব করেছে তার সমর্থকেরা। দলের সভানেত্রীর কাছে দাবি আনোয়ার হোসেনকে এই আসনের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। তবে তার সাথে আরও অনেক একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। তারা দলের সভানেত্রীর কাছে নৌকা চাইবেন। সদর-বন্দর আসনের এমপি হিসেবে আনোয়ার হোসেনের নাম প্রকাশ হওয়া পর থেকে রাজনীতি অঙ্গনে আনোয়ার হোসেনে বক্তব্য অনেকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। তিনি বলেছেন, কারো বশ্য না হওয়া আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। কারো কথা শুনলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা আর না শুনলে হয়ে যায় রাজাকার। ২২টি বছর যাবৎ সদর-বন্দর আসনের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা লাঙলের যাতায় পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা আর সহ্য করতে পারছে না, এই আসনেই আওয়ামীলীগের জন্ম। দলের সভানেত্রী কাছে অনুরোধ করি, এবার আওয়ামীলীগের প্রার্থী দেন। যাকে নৌকা দেয়া হবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো। মহাজোটের অধীনে চলতি বছরের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশ না হলে সদর-বন্দর আসনে জাতীয় পার্টি পাশাপাশি আওয়ামীলীগের প্রার্থী দিতে যাচ্ছে। সেখানে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হতে পারে নির্বাচনে। বিএনপি প্রার্থী কে হচ্ছেন এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তাদের সিনিয়র নেতারা। কিন্তু এমপি সেলিম ওসমান জাতীয় পার্টি প্রার্থী হন তাহলে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে আনোয়ার হোসেন অন্য যে কেউ হলে তাকে কিছুটা বেকায়দায় পরতে হবে। এখানে জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের সাথে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের লড়াই হলেও তাকে থামানো কাজ করবে আওয়ামীলীগের একাংশ। তবে তাদের বিপরীতে সদর-বন্দর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হতে পারেন এস আকরাম। তারও প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তার সমর্থকরা। কেননা তিনিও এই আসনে প্রার্থী হলে তাহলে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। সব কিছু মিলিয়ে আনোয়ার হোসেন যেই ভাবে মাঠে নেমে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে তিনি এবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম ওসমানের সাথে লড়াই করতে পারেন।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯