আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:২২

সোনারগাঁ আসন দখলে মাঠে ৩ দল

ডান্ডিবার্তা | ০১ এপ্রিল, ২০২৩ | ১২:৫৫ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে সোনারগাঁয়ের রাজনৈতিক অঙ্গন। এখানে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং বিএনপি কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। নেতা, কর্মী ও সমর্থকগণ তাদের রাজনৈতিক কর্মকা- জোরসোরে চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আসনটি বর্তমানে জাতীয় পার্টির দখলে থাকায় এবং এবারও যদি জোটগত নির্বাচন হয় তাহলে জাতীয় পার্টিকে এই আসনটি ছেড়ে দেওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকলে এই আসনটি জাতীয় পার্টির হাতে চলে যাবে বলে মনে করেন সোনারগাঁ জাতীয় পার্টি। সেক্ষেত্রে মনোনয়ন লড়াইয়ে তেমন একটা জটিলতায় পড়তে হবে না বলে মনে করেন তারা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে এবং বর্তমানে ক্ষমতাসীন হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংখ্যা এবারও বেশি দেখা যেতে পারে। গতবারও এই তালিকায় প্রায় ৭/৮ জনের নাম শোনা গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এবার এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি ওঠায় এবং এবার এই আসন থেকে নৌকার প্রতীকে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে অনেকেই মনোনয়ন নেয়ার চেষ্টা করবেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। একই অবস্থা সোনারগাঁ বিএনপির। যদিও তারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না উল্লেখ করে এবং নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারপরও যেকোন সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে সোনারগাঁও বিএনপি। একই সাথে বিএনপি থেকেও মনোনয়ন নেওয়ার জন্য একাধিক নেতা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন বলে জানা গেছে। সব কিছু মিলিয়ে এবারের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সোনারগাঁ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং বিএনপি এই তিনটি দলের মধ্যে ত্রিমূখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ আসনটির আওয়ামী লীগের জন্য সুখকর নয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাত্র দুইবার। প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোবারক হোসেন (১৯৭৩) ও ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুল্লাহ আল কায়সার (২০০৮)। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে লিয়াকত হোসেন খোকা (২০১৪ ও ২০১৮), চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাহাউল হক (১৯৮৮) এবং তৃতীয় জাতীয় নির্বাচনে মোবারক হোসেন (১৯৮৬) নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে এই আসন থেকে ৫ম থেকে ৮ম জাতীয় নির্বাচনে একটানা চারবার বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন রেজাউল করিম (১৯৯১-২০০১)। তাছাড়া দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফ্রন্টের প্রার্থী এএসএম সোলায়মান (১৯৭৯) নির্বাচিত হন। ১৮৮৪ সালে নারায়ণগঞ্জকে জেলায় রূপান্তর করার পর ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত ৩য় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে হিসেব করলেও এগিয়ে আছে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির অবস্থান। তবে বর্তমানে এই আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বর্তমান সাংসদের দল জাতীয় পার্টি এবং দীর্ঘদিন রাজত্ব করা বিএনপি এই তিনটি দলের জনসমর্থন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম অনেকটা সেয়ানে সেয়ানের মতো আছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক সচেতন মহল। তাই এই আসনে আওয়ামী লীগকে দুর্বল ভাবার কোন কারণ নেই। এখানকার নেতৃবৃন্দের দাবি বর্তমানে সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের কমিটি আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। এবার যদি এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয় এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যদি তাদের আন্তকোন্দল বা বিভেদ ভুলে প্রার্থীর জন্য কাজ করে তাহলে অনেকটাই নির্দ্বিধায় নৌকা প্রতীকের জয় হবে। ছেড়ে কথা বলবে না সোনারগাঁয়ে বর্তমানে রাজত্ব করা জাতীয় পার্টিও। এরই মধ্যে জাতীয় পার্টির নির্বাচিত এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা এখানকার রাজনীতিতে একটি বিশাল কর্মী ও সমর্থক বাহিনী গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে বলে স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের দাবি। তবে বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় তাহলে এই আসনটি পুনরুদ্ধারে সব রকমেরই চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা