আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:১৬

বন্দর ১নং ঘাটে টোল আদায়ে নৈরাজ্য

ডান্ডিবার্তা | ০৫ এপ্রিল, ২০২৩ | ১২:৪০ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বন্দর এক নং সেন্ট্রাল ফেরীঘাটে নদী পারাপারে যাত্রীদের দুর্ভোগ আর ভোগান্তি দিনদিন বেড়েই চলছে। নানাভাবে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে যাত্রী সাধারণ। বিনা টোলে পারাপার আর যাত্রী সেবার নামে নামমাত্র রাজস্ব দিয়ে একজন সাংসদ ঘাট ইজারা এনে রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাবে যাত্রী নির্যাতন আর হয়রানির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ। নৌকায় যাতায়াতকারী যাত্রীদের কাছে থাকা ছোটঘাট ব্যাগ, টিভি সহ মালামালের জন্য টোরের নামে চাঁদা আদায় করছে। পাতিলে করে মাছ বিক্রি করা মহিলাদের কাছ থেকে ২০-৩০ টাকা করে আদায় করছে। পল্টনসহ আশপাশে রাস্তায় দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায় করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদর-বন্দরকে ভাগ করে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা নদী পারাপারে খেয়া ঘাট গুলোর অন্যতম হচ্ছে বন্দর এক নং সেন্ট্রাল ফেরীঘাট। একই এলাকায় লঞ্চ টার্মিনাল, বাস স্ট্যান্ড, রেল ষ্টেশন ও বড় বড় কয়েকটি বাজার থাকায় এ ঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপার বেশী হয়ে থাকে। এখন এ ঘাট দিয়ে নদী পারাপারে যাত্রীদের দুর্ভোগ আর ভোগান্তি দিনদিন বেড়েই চলছে। নানাভাবে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে যাত্রী সাধারণ। আগে এ ঘাটে যাত্রীদের ফ্রি পারাপারের জন্য ৫টি ট্রলার ছিল। আর টোল ফ্রি তে নদী পারাপারের জন্য ৮টি ট্রলার চলাচল করত। ফ্রি ৫টি ট্রলার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ১০ টি ট্রলার চলত। ভোর ৫ থেক্ইে ট্রলার চলাচল করত। আর এখন সকাল ৬ টা থেকে ট্রলার চলাচল শুরু হয়। তাও আবার যেখানে আগে ১০ টি ট্রলার চলত। এখন চলে ৫টি ট্রলার। ফলে নদীর দু’পাড়ে পল্টন গুলোতে সব সময়ই যাত্রীদের বেশী সময় দাড়িয়ে থাকতে হয় এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়েই গাদাগাদি করে অতিরিক্ত যাত্রী ট্রলারে উঠতে হচ্ছে বলে ভুক্তভুগিদের অভিযোগ। এতে বন্দরবাসীর চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস শ্রমিক চাকরীজীবীদের বেশী সমস্যা হচ্ছে বলে জানা যায়। কেউ এর প্রতিবাদ করে যদি জানায় ঘাটে আগে ভোর পাঁচ থেকে ট্রলার চলত এবং বেশী ট্রলার ছিল। তবে ঘাটে টোল আদায়কারীদের পাশে থাকা বাহিনী ওই প্রতিবাদকারীদের উল্টাপাল্টা শোনিয়ে সাফ জানিয়ে দেয় আগের দিন নেই। চুপচাপ টাকা দিয়ে চলে যাও। সদর-বন্দর আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান টোল ফ্রি পারাপারের ব্যবস্থা করে দেন। পরে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যাত্রী সেবার নামে নামমাত্র রাজস্ব দিয়ে ঘাট বন্দর এক নং সেন্ট্রাল ফেরীঘাট ইজারা আনে একটি প্রভাবশালী চক্র। প্রথমে এবং তার নির্বাচনকালিন সময়ে টোল ফ্রিতে নদী পারাপার এবং ফ্রি ৫টি ট্রলার চলত। ফ্রি তে চলাচলের জন্য আলাদা পল্টন ও জেটী ছিল। নির্বাচনের কিছু দিন পর ফ্রি বন্ধ হয়ে গেলেও টোল ফ্রিতে ১০টি ট্রলার চলত এবং ভোর ৫ থেক্ইে ট্রলার চলাচল করায় যাত্রীরা ভাল ছিল। সাংসদ সেলিম ওসমান ঘাট পরিচালনার জন্য যুবলীগ নেতা শাহাদাৎ হোসেন সাজনুকে দায়িত্ব দেন। সাজনু রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাবে যাত্রী নির্যাতন আর হয়রানির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমান অর্থ। গার্মেন্টস শ্রমিক রাহেলা বেগম জানায়, আগে ঘাটে সকাল থেকেই বেশী ট্রলার চালাত। আর এখন ট্রলার কম চালায়। এতে পারাপারে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। সময়মত কাজে উপস্থিত হতে পারিনা, অনেক সময় মালিক হাজিরা না দিয়ে বেতন থেকে হাজিরা কেটে দেয়। অপর শ্রমিক দিপালী জানান, নদী পারাপারে দুর্দশা আবারও নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে আমাদের। আমরা নিরুপায়। ঘাট মালিকের কাছে জানতে চাইলে তারা আমাদের কে ধমক দেয়। এজন্য আর বলি না। ৩-৪ আগেও আমরা ভালো ভাবে যাতায়াত করতাম। এখন উল্টোটা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যাংকার বলেন, এমপি সাহেব নিজ তত্ত্বাবধানে অনেক দিন ঘাট পরিচারনা করেছেন। তখন সার্ভিস অনেক ভালো ছিল। আমরা শুনেছি এমপি সাহেব নিজে ভর্তুকি দিয়ে ঘাট পরিচালনা করেছেন কিন্তু এখন তো দেখছি উল্টো। বর্তমান যে ঘাট চালায় সে তো মালামাল থেকে শুরু করে সবকিছুর জমা নেওয়া শুরু করেছে। হাতে করে মুরগি নিলে ও জমা দিতে হয়। আমরা এ ব্যাপারে এমপি সাহেব এর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা