
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জ আসন এলাকার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিভিন্ন বলয় এবং বিভক্তির মধ্য দিয়েই চলছে জোর প্রস্তুতি। বর্তমানে রাজধানীর পাশে থাকা বন্দরনগরী জেলা নারায়ণগঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অবস্থান করে নিয়েছে এই আসনটি। বিশেষ করে জেলার অন্যান্য এলাকা থেকে এই আসনটির উন্নয়ন হয়েছে খুবই দ্রুত এবং চোখে পড়ার মতো। তাই জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় জেলার অন্যান্য আসনের মতো এখানে বেজে বাজছে নির্বাচনের ডামাডোল। এখানকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ ভোটারদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে নির্বাচনী আমেজ। পবিত্র মাহে রমজান এবং আগামী ঈদকে কেন্দ্র করে এবারের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের সাধ্যমতো জনগণের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। রূপগঞ্জের রাজনীতিতে বরাবরই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয় দলেরই একটি শক্তিশালী সমর্থক ও ভিত্তি আছে। একই সাথে এবারের জাতীয় নির্বাচনে রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক নেতৃবৃন্দ দলীয় হাই কমান্ডের সাথে সর্বোচ্চ লবিং করে যাচ্ছে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে এখানকার আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন কারা পাচ্ছেন সে বিষয় নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন আড্ডাস্থলেই চলছে আলোচনা সমালোচনা এবং চুলচেরা বিশ্লেষণ। এরই মধ্যে এই আসন থেকে ১৯৯১, ৯৬ (ফেব্রুয়ারি) ও ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী নির্বাচিত হয়। অন্যদিকে ৯৬ (জুন), ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচিত হন। স্থানীয় রাজনৈতিকদের মতে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অবস্থান অনেকটা বাঘে মহিষের মতো। অর্থাৎ এখানে ঘুরে ফিরে এই দুই দল থেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে দেখা যায়। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের মধ্যে একমাত্র এখান থেকেই রয়েছে উচ্চ মর্যাদা পাওয়ার অভিজ্ঞতা। এই আসন থেকেই বিএনপি সরকারের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদার পদ এবং আওয়ামী লীগের সময় পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর মর্যাদায় যাওয়া সম্ভব হয়েছে। তাই অনেকেই এই আসনকে রাজকীয় আসনও বলে থাকেন। এই আসন থেকে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছিলেন আব্দুল মতিন চৌধুরী। একই আসন থেকে বর্তমানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)। তবে এই আসনে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেই রয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বলয়। যদিও দলগুলো থেকে এখানে কোন কোন্দল নেই বলে দাবি করা হচ্ছে। এখানকার নেতৃত্ব এবং দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বেশ কিছু কোন্দল রয়েছে। উভয় দল থেকেই আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য একাধিক প্রার্থী মনোনয়নের আশায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। একদিকে বিএনপি চাচ্ছে এই নির্বাচনে তাদের হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে এবং আওয়ামী লীগ চাচ্ছে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে আছেন গাজী গোলাম দস্তগীর। একটানা তিনবারের নির্বাচিত এমপি এবং বর্তমান মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনে থাকায় স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগসহ একটি শক্ত ভিত তৈরি করা সম্ভব হওয়ায় তিনি অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থায় বলে মনে করেন তার সমর্থকগণ। এছাড়াও সম্প্রতি শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর মুড়াপাড়ায় গাজী সেতু, ভুলতা উড়াল সেতুসহ বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করায় গোলাম দস্তগীর গাজীর একটি শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে। তবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোয়ন আরও বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া অন্যতম। তবে বর্তমান মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর বেশ কিছু দলীয় প্রতিকুলতাও আছে। যা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বেশ চোখে পড়ে। সেই নির্বাচনে গাজীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে অবস্থান নিয়েছিলেন সাবেক এমপি ও সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, মেজর (অব.) মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগ নেত্রী খালেদা খানম, মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র কমান্ডের সাবেক নেতা সাজ্জাদ হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা। তাই এবারও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধকি সূত্র। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি এখানে বর্তমানে একাধিক বলয় বিভক্ত হয়ে আছে। এখানকার দলীয় কোন কর্মসূচীই তারা একত্রিত হয়ে পালন করতে পারেনি বলেও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এর মধ্যে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে আছে কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু ও তার সমর্থকরা। দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকার পর এখন অবশ্য মাঠে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কার্যনির্বাহী পরিষদের আরেক সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির। রূপগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে এখন এই দুই বলয়ের মধ্যেই নেতৃত্বে আসার লড়াই চলছে। তবে এখানে বিএনপির আরেকটি শক্তিশালী বলয় আছে। সেটি হলো বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের সমর্থকগণ। কিন্তু তাদের নেতা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের গত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার কারণে অনেকটাই ব্যাকফুটে আছেন তারা। তবে বিষয়টি নিয়ে তৈমুর আলম খন্দকার কেন্দ্রের সাথে দূরত্ব কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন বলে তার সমর্থরা দাবি করছেন এবং তা সম্ভব হলে তিনিও একজন জোর দাবিদার হিসেবে মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে মনে করেন তারা।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯