আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:২৫

সদর-বন্দর আসন নিয়ে দ্বন্দ্বে মহানগর আ’লীগ দ্বিখ-িত

ডান্ডিবার্তা | ১০ এপ্রিল, ২০২৩ | ১২:০৪ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিযোগীতা। কখনো কখনো সেই প্রতিযোগীতা দ্বন্দ্বে রূপ নিচ্ছে, পৃথক ভাবে পালন হচ্ছে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি। আওয়ামী লীগ একাংশ চাইছেন নেত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন করতে। অপরপক্ষ দাবি করছেন, সদর-বন্দর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। ১৯৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ মাত্র ১ বার জয় পেয়েছে এই আসন থেকে। ২ বার জয় পেয়েছে বিএনপি আর ৪ বার জিতেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের পক্ষ থেকে জাতীয়পার্টি। তাই জাতীয়পাটির এই আসনটি নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগের একটি অংশ। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজমা রহমানকে হারিয়ে ১৯৯১ সালে জয় পায় বিএনপির প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, ১৯৯৬ সালে বিএনপির সেই প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে হারিয়ে জয় পান আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম আকরাম। ২০০১ সালে আবারও জয় পান আবুল কালাম আজাদ। আবুল কালাম আজাদকে হারিয়ে ২০০৮ সালে জয় পান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের দল জাতীয়পাটির প্রার্থী নাসিম ওসমান। এরপর ২০১৪ সালে আবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জিতেছেন মহাজোটের এমপি নাসিম ওসমান। এর কিছুদিন পরই তিনি মৃত্যু বরণ করেন। উপ-নির্বাচনে মহাজোট থেকে অংশ নিয়ে জয় পান তাঁর ছোট ভাই একেএম সেলিম ওসমান। সর্বশেষ ২০১৮ সালে আবারও জয় পান জোটের এই এমপি। গত শনিবার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে পৃথক দু’টি শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় মহানগর আওয়ামী লীগের। একটিতে নেতৃত্বদেন সভাপতি আনোয়ার হোসেন, অন্যটিতে সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা। আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের শান্তি সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা আর জোট চাই না। সদর-বন্দর আসনে এমপি হিসেবে আনোয়ার হোসেনকে দেখতে চাই। তিনি আমাদের ৫ আসনের এমপি হবেন। অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে আনোয়ার হোসেনের উদ্দেশ্যে খোকন সাহা বলেছেন, অনেকে মাঠে নেমেছেন শহরে পোস্টার লাগাচ্ছেন। এমপি নমিনেশন পাওয়ার জন্য দলটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলছেন। আমি বলতে চাই, আপনিতো অনেক পেয়েছেন! অন্যদেরকেও পাওয়ার সুযোগ করে দেন। আপনি বলেন, ‘দল আমাকে অনেক দিয়েছে এবার অন্যরাও কিছু পাওয়ার দাবি রাখে।’ সেটা না করে দলকে আপনারা বিভক্ত করছেন। আমি কেন্দ্রে জানিয়ে দিয়েছি, ইতিমধ্যে তা নেত্রীর কাছে পৌঁছেও গেছে। এখনতো দুইজন প্রার্থী দেখা যাচ্ছে । ঈদের পরে অন্তত ২০ জন নৌকা নমিনেশন চাইবে আর ২০টা গ্রুপে বিভক্ত করে ফেলার চেষ্টা করা হবে। দলাদলি বাদ দিয়ে আসুন না একজন নৌকার নমিনেশন চাই। সবাই মিলে একজনের জন্য; নৌকার জন্য ফাইট করি। নমিনেশন দেওয়ার মালিক একমাত্র নেত্রী । দেশ ও দলের বৃহত্তর স্বার্থ চিন্তা করে তিনি নমিনেশন দেবেন । আমি পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, আমি এই শহরে আওয়ামী লীগের (মহানগর আওয়ামী লীগের) ২৭ বছরের সাধারণ সম্পাদক। আপনারা কোন ভাইকে কথা দিবেন না। নেত্রী যাকে নমিনেশন দিবেন; আমরা তার পক্ষে কাজ করব। নেত্রী যদি জোটের পক্ষে ন্যাপের এবি সিদ্দিককেও নৌকা প্রতীক দেন, আমরা এবি সিদ্দিকের পক্ষেই কাজ করব।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা