
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে বর্তমানে চলছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া ও না দেওয়ার বাকযুদ্ধ। বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের পর পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের আশ্বাসে আমরা তা জমা দেয়নি। অপর দিকে মহানগর বিএনপির মূল কমিটির নেতৃবৃন্দরা বলছে, যদি পদত্যাপত্র জমা না দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে তা গ্রহণ করলেন কেন্দ্র এটি একটি নতুন গল্পের উদঘাটন করছে তারা। অপর দিকে ৬ এপ্রিল দলীয় কার্যালয়ে দলের মহা-সচিবের সাথে সাক্ষাত করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির থেকে সদ্য অব্যাহিতপ্রাপ্ত মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল, হাজী নূর উদ্দিন যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু যুগ্ম আহ্বায়ক এম এইচ মামুনসহ মুকুল বলয়ের সে সময় সকল নেতাদের শীঘ্রই একটা সুরাহা হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপির মহা-সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলীয় সূত্র বলছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে অ্যাডভোকেট মো. শাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব হিসেবে অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এই কমিটি ঘোষণার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পরেছেন। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি থেকে ১৫ জন নেতার পদত্যাগের ঘোষণার আভাস পাওয়া গিয়েছিল। সেই নেতারা হলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে থাকা আব্দুস সবুর খান সেন্টু, হাজী নুরুদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা। সেই সাথে সদস্য পদ থেকে নাম এসেছিলেন আওলাদ হোসেন, হান্নান সরকার অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন শোখন, আলমগীর হোসেন, শহীদুল ইসলাম রিপন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, আমিনুর ইসলাম মিঠু, ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, মো. ফারুক হোসেন। কিন্তু বর্তমানে এই ১৫ জন নেতাই দাবি করছে তারা কেন্দ্রে কোন পদত্যাগপত্র জমা দেয়নি। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী জানা যায়, পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমিটির দেওয়ার মাসের ৩০ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহা-সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে সাক্ষাত করে তারা তাকে বলে আমরা মহানগর বিএনপির কমিটিতে থাকা এড. সাখাওয়াত ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃতে তারা একত্মতা প্রকাশ করতে পারছে না। তাই তারা কমিটি থেকে পদত্যাগ হয়ে বাহির হয়ে আলাদাভাবে দলের সকল কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে চান। কিন্তু মহা-সচিব তাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন বর্তমানে দলের দূর সময় আমি চাই না দলে কোন সমস্যা থাকুক। তাই তিনি তাদের বলেন আপনারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বরাবর একটি চিঠি দিন। আমি তার হাতে সেটা পৌঁছে দিব। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তারা তারেক রহমানের বরাবর একটি চিঠি দেন। আর আশ্বাস পেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু চলতি মাসের ২ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের স্বাক্ষরিতএক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, মহানগর বিএনপির যে ১৫জন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছিলেন তাদের থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে থাকা আতাউর রহমান মুকুল ও আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নূর উদ্দিনের পদত্যাগপত্র গৃহীত করেছে কেন্দ্র। যার কারনে মুকুল বলয়ের নেতাকর্মীরা অনেকটাই ক্ষিপ্ততা প্রকাশ করছেন। তারা সকলেই বলছেন, পদত্যাগপত্র জমা না দিয়েও কিভাবে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করছে কেন্দ্র এটা আমাদের বুঝে আসে না। এটার ভিতরে কিছু নেতার কারসাজি রয়েছে। পদত্যাগপত্র জমা না দিয়েও গ্রহণের বিষয়ে জানতে গত ৬ এপ্রিল দলীয় কার্যালয়ে দলের মহা-সচিবের সাথে সাক্ষাৎ করতে যায়, বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা। তারা সকলেই মহা-সচিবকে বলেছেন আমরাতো কোন পদত্যাগপত্র জমা দেয়নি। কিন্তু কিভাবে দুইজন নেতার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন কেন্দ্র তা নিয়ে চলছে মহানগর বিএনপির বিদ্রোহীদের মাঝে নানান আলোচনা। এমনকি তারা বলছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন কিছুদিনের মধ্যে একটি সুরাহা আমরা দিব। এই আশ্বাস দেওয়া হয়। ও আগামীতে সকল কিছুর বিষয়ে নজর রাখবেন বলে ও তিনি জানান। অপর দিকে মহানগর বিএনপির মূল কমিটির নেতৃবৃন্দরা দাবি করছেন, যদি পদত্যাগপত্র জমা না দেওয়া হয় তাহলে কিভাবে কেন্দ্র তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন। আর তারা কমিটি গঠনের পর পরই আলাদাভাবে সকল কর্মসূচি পালন করার লক্ষেই কমিটি থেকে বেড়িয়ে আসেন সেই পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি হওয়ার কিছুদিনের মাথায় এড. তৈমূর আলম খন্দকারের বাসায় এক মিলাদ মাহফিলে তারা উপস্থিত হয়ে তারা পদত্যাগ করেছেন। আর এটা নারায়ণগঞ্জের সকল লোকাল পত্রিকা ও অনলাইনে ও প্রকাশ হয়েছে। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, পদত্যাগপত্র তারা যদি না দিয়ে থাকে তাহলে কেন কেন্দ্র পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন। এটা কেন্দ্র ভালো বলতে পারবে। আর কমিটি হওয়ার পর মহানগর বিএনপি থেকে যে ১৫জন নেতা পদত্যাপত্র জমার মাধ্যমে পদত্যাগ করছিলেন এটা কেন্দ্রসহ সকলের জানা। আর এখন তারা বলছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়নি। তাহলে কেন্দ্র বলতে পারবে তাদের এ বিষয়ে। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমি কোন পদত্যাগপত্র জমা দেয়নি। এ বিষয়ে আমরা কেন্দ্রে আসক্ত করেছি মহানগর বিএনপির কর্মকান্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চলছে। মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এইচ মামুন বলেন, কিছুদিন আগে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল ও আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নূর উদ্দিন সাহেবের পদত্যাগপত্র কেন্দ্রে গৃহীত হয়েছে। তখনই আমরা সরাসরি বিএনপির মহা-সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বাসায় যাই। ঢাকার বিভাগীয় সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম আজাদ সাহেবের বাসায় যাই। আর তাদেরকে আমরা বলি মুকুল ও হাজী নূর উদ্দিন সাহেব তারা পদত্যাগপত্র জমা দেয় নাই। একটা সময় পদত্যাগের কথা উল্লেখ হয়েছিল তখন আতাউর রহমান মুকুল ও হাজী নূর উদ্দিন মহা-সচিব ফখরুল সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করে তারা তাকে বলে যে আমরা এড. সাখাওয়াত ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্ব মানি না। আমরা তাদের সাথে কাজ করতে চাই না। তখন মহা-সচিব তাদেরকে আশ্বাস দেয়। আপনারা এখন পদত্যাগ করিয়েন না। আমি সকলের সাথে যোগাযোগ করে বসে এটার একটা সমাধান করে দিব। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবকে ও আমরা এই কমিটির বিষয়ে জানাবো। সেই সূত্র ধরে মুকল ও নূর উদ্দিন সাহেব কেন্দ্রে কাউর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেয়নি। কিন্তু কমিটি গঠনের ৬ মাস পর এসে নতুন কাহিনী উৎগঠন হলো। কি কারণে এটা হলো এটা আমরা বোধগম্য নয়। আর যখন শুনলাম পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে তখন আমরা আবার মির্জা ফথরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের সাথে দেখ করি। তখন মহা-সচিব আমাদেরকে পরামর্শ দিয়েছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের কাছে আপনারা এই ব্যাপারটা খুলে বলেন। তখন মুকুল ও নূর উদ্দিন সাহেব তারেক রহমান সাহেবের নিকট একটি চিঠি লিখে আর মহা-সচিব আমাদের আশ্বাস দেয় অতি শীঘ্রই তারেক রহমান সাহেবের কাছে চিঠিটি পৌছে যাবে। পরবর্তীতে আমরা বাংলাদেশ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সালাম ভাইয়ের সাথে দেখা করলাম তিনি ও আমাদের বললো তোমরা তোমাদের মতো করে দলের কার্যক্রম চালিয়ে যাও। আর যেহেতু আপনারা পদত্যাগপত্র জমা দেননি তাহলে আমরা কিছুদিনের মধ্যেই এটার বিষয়ে আপনাদের জানাবো।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯