কামাল প্রধানের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জের একাধিক পত্রিকার প্রকাশ কামাল প্রধানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে জানা যায়, সম্প্রতি দৈনিক বিজয় ও দৈনিক সবুজ পৃথিবী পত্রিকার প্রকাশক কামাল প্রধান নামে পরিচিত এছাড়াও মানুষ তাকে বলে থাকে পত্রিকা বেচা কেনার প্রকাশক। এদিকে বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার রুবেল মিয়ার কাছ থেকে ২০২২ সালে জমি বিক্রয়ের নামে ৩ শতাংশ জমির বায়না বাবদ ১৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় কামাল প্রধান যার মেয়াদ ছিলো ৩ মাস। দিগুবাবুর বাজার দোকান দেওয়ার নাম করে গোলাম মোস্তফার নিকট হতে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা, আবুল হাসেম মিয়ার কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা, আরিফুল ইসলাম ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, মনির হোসেন এর নিকট থেকে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার, সোহেল রানার নিকট হতে ৫ লক্ষ টাকা গ্রহন করে এছাড়াও সমাজের আরো বেশ কিছু অবুঝ মানুষ হতে প্রায় কয়েক কোটি টাকা আত্মসাত করে বহাল তবিয়তে আছে কামাল প্রধান। বন্দরের রুবেল মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, কামাল প্রধান আমাকে ৩ শতাংশ জমির দেওয়ার নামে ২ দফায় যথাক্রমে ১৬ লক্ষ টাকা, ২য় দফায় ৩ লক্ষ সর্বমোট ১৯ লক্ষ নেয়ার পরে জানতে পায় তার এই জমিটি রুপালী ব্যাংক এর কাছে দায়বদ্ধ। সে ব্যাংকের দায়বদ্ধতা শেষ না করে মাসের পর মাস বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করে আসছে। কামাল প্রধান মানুষের কাছ কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করে বহাল তয়িতে ঘুরা ফেরা করছে কেউ প্রতিবাদ করলে মামলার হুমকিসহ প্রান নাশেরও হুমকি প্রদান করে থাকে বলে অভিযোগ করেন। এদিকে আদালত পাড়ায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় তাঁর বিরুদ্ধে আনুমানিক ৩০ এর অধিক মামলা রয়েছে। যার হাজিরা সপ্তাহের প্রায় দিনই দিতে হয়। এছাড়া বেশ কিছু উকিলের সাথে আঁতাত করে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে ১০৭ ধারা মামলা দিয়ে থাকে কামাল প্রধান। একজন পত্রিকার প্রকাশক হয়ে রক্ষক না হয়ে ভক্ষকের ভুমিকা পালন করে চলছে কামাল প্রধান এতে সংবাদ মাধ্যমের সুনাম ক্ষুন্ন করছে বলে জানান একাধিক ভ’ক্তভোগি। ভুক্তভোগীরা জানান লক্ষ লক্ষ টাকা মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে কামাল প্রধান বহাল তবিয়তে ঘোরা ফেরা করছে, এই বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি তাই এই সকল কুকর্ম থেকে তাকে বিরত না রাখা হলে ভবিষ্যতে আরো সমস্যার সৃষ্টি হবে সেই সাথে সমাজের ভালো মানুষ গুলো প্রতারনার শিকার হয়ে পথে বসবে। অনতি বিলম্বে তাকে প্রেফতার না করা হলে ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবে তাই ভুক্তভোগী সকলেই পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল (পিপিএম বার) এর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে। সূত্র: ফোকাস নিউজ