আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:২০

কর্মব্যস্ত রূপগঞ্জের জামদানি পল্লী

ডান্ডিবার্তা | ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ | ১:৩০ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট পহেলা বৈশাখ এবং ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের জামদানি পল্লীর কারিগররা। এখানে বিভিন্ন দামের জামদানি শাড়ি পাওয়া যায়। ফলে চাহিদা অনুযায়ী জামদানি সংগ্রহ করতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ক্রেতারা। শুধু জামদানিই নয় এখন পাঞ্জাবী,সালোয়ার কামিজও তৈরি হচ্ছে এখানে। এ নিয়ে জামদানি পল্লীর আরও প্রচারণা দরকার এমন দাবি জামদানি সংশ্লিষ্টদের। তাঁত পল্লীর কারিগররা জানায়, পহেলা বৈশাখ এবং ঈদুল ফিতরকে ঘিরে বেচাকেনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে রাতদিন কাজ করছেন তাঁরা। সামনের দুটি উৎসবকে ঘিরে সরব হয়ে উঠেছে পুরো তাঁত পল্লী। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ এখানে ছুটে আসছে। নানা ডিজাইনের শাড়ীর পসরা সাজিয়েছে তাঁতিরা। দুই হজার টাকা থেকে শুরু লক্ষাধীক টাকা মূল্যের শাড়ী রয়েছে এখানে। ক্রেতারা তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী শাড়ী কিনছেন। জামদানির আতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার নোয়াপাড়া গ্রামটি। কিন্তু এ নিয়ে তেমন প্রচারণা নেই এমন অভিযোগ মালিক, তাঁত শিল্পীদের। তাঁদের দাবি প্রচারণা বেশী হলে বিক্রি বাড়বে। স্থানীয় সূত্র থেকে জানাযায়, প্রাচীনকাল থেকেই শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় বরাবর সোনারগাঁও-রূপগঞ্জ-আড়াইহাজার অঞ্চলটি ছিল এ কাপড় তৈরির প্রাণকেন্দ্র। বর্তমানে রূপগঞ্জের নোয়াপাড়া, রূপসী, সুইসগেট, গঙ্গানগর, বরাবো, পবনকুল, মৈকুলী, খাদুন ও পার্শ্ববর্তী সোনারগাঁও এবং সিদ্ধিরগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় এই শিল্প বিদ্যমান। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও জামদানি তাঁতশিল্প রয়েছে। জামদানি কার্পাস তুলা দিয়ে প্রস্তুত এক ধরনের সূক্ষ্ম বস্ত্র। প্রাচীনকালের মিহি মসলিন কাপড়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে জামদানি বেশ জনপ্রিয়। কাপড়ের ওপর নকশা করে জামদানি কাপড় তৈরি করা হয়। আবার সুতি সুতার সঙ্গে সিল্ক সুতার সমন্বয়েও তৈরি করা হয় জামদানি কাপড়। জামদানি বলতে সাধারণত শাড়িকেই বোঝানো হয়। তবে জামদানি দিয়ে নকশি ওড়না, সালোয়ার, কামিজ, ফতুয়া, কুর্তা, পাগড়ি, রুমাল, পর্দা প্রভৃতি তৈরি করা হয় বলে জানান তাঁতিরা। জামদানি তাঁতিদের কাছ থেকে জানা যায়, এই শিল্পের মানোন্নয়নে সরকারকে আরও উদ্যোগ গ্রহন করার পাশাপাশি তাঁতিদের সুযোগ সুবিধার বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিতে হবে।। তাঁতিদের মতে, বিসিকের কাছ থেকে প্লট ছাড়া কোনো সুযোগ-সুবিধা পাননি। বিসিক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন প্রকল্প ও নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় তারা জামদানি পল্লী নিয়ে চিন্তা করার সময় পান না। বিসিক, নোয়াপাড়া জামদানি পল্লীর হাটে বৃষ্টির সময় পানি পড়ে, বাতাস ও বৃষ্টি হলে দোকান গুটিয়ে বসে থাকতে হয়। নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জের জামদানি বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা বায়েজিদ হোসেন জানায়, এক সময় সমাজের বিত্তবানরা তাঁতের শাড়ী ব্যবহার করলে এখন সব শ্রেণীর মানুষ তাঁতের শাড়ীর প্রতি ঝুঁকছে। শাড়ীর মূল্য হাতের নাগালে চলে আসায় এটা এখন আর বিত্তবানদের পণ্য নয়। তবে এখনও অনেক মানুষ জানে না জামদানি কোথায় তৈরি হয়। এর জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা দরকার। এতে ক্রেতারা সরাসরি পল্লিতে এসে নিজেদের পছন্দমতো জামদানি কিনতে পারবেন এবং কারিগর ও তাঁতিরাও লাভবান হবেন। ২০১৩ সালে ইউনেস্কো জামদানি বয়নশিল্পকে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজের মর্যাদা ও স্বীকৃতি দেয়। দেশ-বিদেশে জামদানি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জের জামদানি জিআই পণ্য হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা