আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | ভোর ৫:২৩

নৌকা প্রত্যাশীরা মাঠে তৎপর

ডান্ডিবার্তা | ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ | ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। এমনকি রমজান মাসেও আওয়ামী লীগ বিএনপি মাঠ ছাড়েন নাই। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে নেতা কর্মীদের নিয়ে ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দল মাঠে নেমেছেন। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটানোর জন্য ২০২২ সনের ডিসেম্বর থেকে ১০ দফা দাবী জানিয়ে যুগপুৎ আন্দোলন করে যাচ্ছের বিএনপি। অপর দিকে সরকারি দলও বিএনপির আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য রাজপথে নেমে শান্তি সমাবেশ করছে। রাজনীতির মাঠে কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। দুই দলের নেতারাই একে অপরকে খোঁবা মেরে বক্তব্য রাখছেন। আর এ নিয়ে রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মাঝেও ব্যপক আলোচনা হচ্ছে। এদিকে আগামী নির্বাচন ঘিরে গত দুই বারের চেয়ে ভিন্ন কৌশলে নেমেছে ক্ষমতাসীন দল। একই সাথে এবার এক বছর আগে থেকে আওয়ামী লীগ প্রচারনায় নেমেছে। পাশা পাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপিদের মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের কারা মনোনয়ন পাবে তাদের বাছাই কার্যক্রম শরু করছে সূত্র জানান। এই বাছাই কার্যক্রমে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট লক্ষ্য করে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। দলীয় সূত্রমতে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে নৌকার প্রার্থী বাছাইয়ে মাঠ জরিপের কাজ চলমান রেখেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মাঠ জরিপের কাজ মনিটরিং করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় নির্বাচনে যারা নৌকার বিরোধিতাকারী, বিতর্কিত, জনবিচ্ছিন্ন, গ্রুপিংবাজ সেই সব সংসদ সদস্যরা দ্বাদশের নির্বাচনে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। এছাড়া বিতর্কিত-জনবিচ্ছিন্ন এমপিদের কপাল পুড়বে বলে মনে করছে দলীয় নীতি-নির্ধারণী সূত্র। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫টি আসনে নৌকার দাবী জানিয়ে আসছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা কর্মীরা। বিশেষ করে ২০১৮ সনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে জেলার ৫টি আসনে নৌকার জন্য জোরলো ভাবে দাবী জানিয়ে আসছে। গত বছরের ২০২২ সনে ১৬ জানুয়ারির নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে তাদের এই দাবী আরও জোরালো ভাবে করা হয়। তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় নেতারা আশ্বস্ত করেন। এছাড়া এবার জাতীয় পার্টির সাথে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শরীক নেই। আর এতে করে জাতীয় পার্টির এমপিদের কপাল পুড়তে পারে। বিশেষ করে সোনারগাঁ এবং সদর-বন্দর আসনে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা বেকায়দায় পরতে পারে বলে মনে করেন সচেতন মহল। কেননা সদর-বন্দর আসনে জাতীয় পার্টির থেকে লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে সেলিম ওসমান দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। অপরদিকে সোনারগাঁ আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছেন। তাদের এই দুই আসন আওয়ামী লীগের প্রার্থী দাবী জানিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন শান্তি সভায় সদর-বন্দর আসনে নৌকার দাবী তুলেছেন। পাশাপাশি তারা লাঙ্গলের উপর ভর করে আর টিকে থাকতে চান না। সেই সাথে তিনি এখানে প্রার্থী হতে চেয়ে সদর বন্দর এলাকা জুড়ে ব্যানার ফেস্টুন টানিয়েছেন। গত ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা আনোয়ার হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনিতো অনেক কিছু পেয়েছেন। এবার অন্যদের পাওয়ার সুযোগ করে দেন। অন্যরাও দলের মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ রাখে। শুধু আপনারাই বার বার খাবেন এটাতো হয় না। দলীয় সূত্রমতে, সদর-বন্দর আসনে নৌকার মনোনয়নের জন্য আগামী নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী মাঠে নেমেছে তাদের মাঝে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি আরজু রহমান ভূঁইয়া, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জলের নাম উঠে এসেছে। এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড খোকন সাহাও পিছিয়ে নেই। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে ক্ষমতাসীন দলের একটি অংশের ক্ষোভ রয়েছে। যা ইতোমধ্যে তার বক্তব্যে ফুটে উঠেছে। এছাড়া এর আগে বন্দরের এক সভায় সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এড. খোকন সাহা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদলকে এমপি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই অনুপাতে তারা আগামী নির্বাচনের জন্য এখন থেকে মাঠ গুছিয়ে নিচ্ছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে আগামী নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ। এখানে যারা জনপ্রিয়তা বেশি এবং গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট যাদের ভালো মনোনয়নে তারা প্রাধান্য পাবে। আর এই ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কে মনোনয়ন পাবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে সদর-বন্দর আসনে এক ঝাক নেতৃবৃন্দ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা মাঠে ময়দানে কর্মীদের সক্রিয় রেখে যাচ্ছেন। তফসিল ঘোষনা হলে পরিস্কার হবে এখানে কে নৌকার মনোনয়ন পাচ্ছেন। কিন্তু সবাই সুযোগ চায়। আর এজন্য সুযোগ সন্ধানী প্রার্থীরা দলীয় সভা নেত্রীর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা