আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৭:২২

বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয় কাঠ ব্যবসায়ীর দখলে

ডান্ডিবার্তা | ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ | ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় কার্যালয় দখল করে নিয়েছে কাঠ ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে তীব্র ক্ষোভ। এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাঠ ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সুত্রে জানা যায়,গত ১২ই এপ্রিল ২০২৩ বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচির পালনকালীন সময় দেখা গিয়েছে বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে কাঠের দোকানে পরিণত হয়েছে। বিএনপি’র কার্যালয়ের ভিতরে ভরপুর কাঠের স্তুপ। দেলোয়ার কে কাঠ সরিয়ে দিতে বললে দেলোয়ার কোন উত্তর না দিয়ে অবস্থান থেকে চলে যায়। পরে বিক্ষিপ্ত নেতাকর্মী কিছু কাঠ সরিয়ে তারা প্রোগ্রাম শেষে দেলোয়ারের কাঠের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকে বলা সত্বেও। সে উত্তর দেয় দেলোয়ার কাঠ সরাতে নিষেধ করেছে পরে বিএনপির আহ্বায়ক সুমন আকবর দুটি তালা কিনে একটি সামনে দরজায় আরেকটি পিছনের শাটারে তালা লাগিয়ে দেন। গত রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাহাদ প্রধান ও বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবদলের ৩ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক দিদার প্রধান বিএনপির পার্টি অফিস পরিদর্শনে গেলে দেখা যায় পার্টি অফিসের পিছনের সাটারের তালা ভেঙে আবারো কাঠের ব্যবসায়ী কাজ শুরু করেছে অফিসের ভিতরে। কাঠ আনা নেওয়া শুরু করে ব্যবসায়ী কাজ চালাচ্ছে তখন রাহাত প্রধান ও দিদার প্রধান জিজ্ঞেস করে যেন তালা কেন ভাঙ্গা হয়েছে। সে উত্তর দেয় ভেঙেছি বেশ করেছি এতে কথা কাটাকাটি হয়। আজ ১৭ এপ্রিল ২০২৩ বিএনপির বক্তব্যের আহ্বায়ক আকবর আলী সুমনকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে উত্তরে বলে যে আমি আহ্বায়ক দেলোয়ার কে বলা সত্বেও সে কাঠ সরায় নাই এবং আমি নিজে তালা কিনে তালা লাগিয়ে আসছি। এ তালা দেলোয়ার ভাঙ্গে কোন সাহসে কার উস্কানিতে সে আরো বলে, আমি ১২ এপ্রিল ২০২৩ ইং যখন অবস্থান কর্মসূচির জন্য পার্টি অফিসে ঢুকি তখন দেখি দেলোয়ারের কাঠ ভরপুর এবং উপরে টিন গুলো নেই কিছু অ্যাঙ্গেল নেই পরে জানতে পারি বক্তব্য ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব হাসান আলী কেটে এবং ট্রেনগুলো খুলে বিক্রি করে ফেলেছে। সে কার অনুমতিতে কাকে জিজ্ঞেস করে ট্রেন খুলে বিক্রি করল..? মূলত হাসান আলীর অনুসারী হচ্ছে এই কাঠ ব্যবসায়ী দেলোয়ার এই দুজন মিলেই বিএনপির পার্টি অফিসটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে। পরে বক্তবলী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম প্রধানকে জিজ্ঞেস করলাম সেও উত্তরে বলল যে একটি বিএনপি’র প্রতিষ্ঠান কেউই তার নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে পারেনা আর যেখানে বিএনপির আহবায়ক আকবর আলী সুমন সাহেব পিছনের দরজায় এবং সামনের দরজায় তালা লাগিয়েছেন সেখানে কাঠ ব্যবসায়ী দেলোয়ার তার নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য কি করে অনেক বড় অন্যায় করেছেন। তাই নজরুল ইসলাম প্রধান বলেন যে সাংগঠনিকভাবে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হোক। বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক দিদার হোসেন তিনিও বলেন, দেলোয়ার এটি কি কাঠের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পেয়েছেন নাকি আমাদের কার্যালয় কে কাঠের দোকান বানালো মোটেও সে ঠিক করেনি এবং বিএনপি’র পার্টি অফিসের তালা সে ভাঙ্গে কি করে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বিএনপির আরো এক যুগ্ম আহবায়ক মীর আলমগীর সেও বলেন যে দেলোয়ার সম্পূর্ণ ভুল করেছে প্রথমত সে পার্টি অফিসের ভিত ধরে কাউকে জিজ্ঞেস না করে কাঠের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করেছেন এবং পরের তালা ভেঙে আবার আরো একটি অপরাধ করেছেন দল এর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হোক এটা আমরা সবাই চাই। ইউনিয়ন বিএনপি’র অন্যতম যুগ্ম আহবায়ক তিনিও বলেন, দেলোয়ার সম্পূর্ণ ভুল করেছেন পার্টি অফিস কে কাঠের দোকান বানিয়েছে পরে আবার তালা ভেঙে আবার ব্যবসায়ী কাজ শুরু করেছে এত দুঃসাহস পায় কোথায় তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হোক। একটি সুত্র হতে জানা যায়,২০০১ সালে চাষাড়া আওয়ামী লীগের অফিসে বোমা হামলার পরের দিন বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজউদ্দিন ভূইয়া বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় নিজের জমি দাবী করে রাতের আধারে দখল করে নেন। পরে পার্টি অফিসের জমি বিএনপির দাবী করে নেতাকর্মীরা কোর্টে মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ শুনানী শেষে বিএনপির পক্ষে ২টি রায় আসে। রায় পাওয়ার পরও বিএনপি নেতাদের চরম ব্যর্থতায় বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আকবর আলী সুমন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম প্রধান,যুগ্ম আহবায়ক দিদার হোসেন, ইউসুফ মোহাম্মদ, মীর আলমগীর হোসেন, মতিউর রহমান জানান,গত ১২ এপ্রিল কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পার্টি অফিসে পালন করবো বলে দেলোয়ার হোসেন কে কাঠ সরিয়ে পরিস্কার করতে বললেও তিনি তা করেননি। আহবায়ক আকবর আলী সুমন নিজে তালা কিনে মেরে দেন।সেই তালা দেলোয়ার হোসেন রবিবার বিকেলে ভেংঙ্গে ফেলে। এ সংবাদ নেতাকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হাসান আলী বলেন, এ অভিযোগ মিথ্যা। ১৫ বছর মামলা চালিয়েছি। দেলোয়ার টাকা ও সাক্ষী দিয়ে সহযোগিতা করেছে। ৭/৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে তখন এ পন্ডিতরা কই ছিল। দেলোয়ার হোসেন বলেন, অফিস টি পরিত্যক্ত ছিল বিধায় ৬ মাস ব্যবহার করেছি। এখন পরিস্কার করে দিয়েছি। আমার কোন কাঠ নাই অফিসে। আমার ভাতিজা তামিমকে মারধর করা হয়েছে।আমি পার্টি অফিস দখল করেছি তা সত্য নয়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা