আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ৪:৪১

টার্গেট নিয়ে রাজপথে বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা | ২০ এপ্রিল, ২০২৩ | ১২:১৫ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ নির্বাচনকে টার্গেট করে রাজনীতি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে বিএনপির অনেক নেতৃবৃন্দ। সরকার বিরোধী আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে নেতাদের মধ্যে রাজনীতি নিয়ে নতুন ভাবনা শুরু হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে। দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পালনে সরকার বিরোধী আন্দোলনে যে সমস্ত নেতৃবৃন্দ সামনের সাড়িতে দাড়িয়ে নেতৃত্ব দিবেন তাদেরকেই মূল্যায়ন করা হবে। অতীতের মত যদি মনোনয়ন প্রত্যাশী কোন নেতৃবৃন্দ মনে করেন, লন্ডনে যোগাযোগের মাধ্যমে মনোনয়ন কিনে আনবেন এমনটা ভাবা বোকার রাজ্যে বাস করার সমান! দলের কঠিন এই ক্রান্তিকাল সময়ে যে সকল নেতৃবৃন্দ মাঠে থেকে নেতা-কর্মীদের সাহস যোগাবেন এবং নেতা কর্মীদের পাশে থেকে নেতৃত্ব দিবেন তাদেরকেই মূল্যায়ন করবে দল। এর ব্যতিক্রম হলে নারায়ণগঞ্জের নেতৃবৃন্দ দলের বিরুদ্ধেই গণআন্দোলন করবেন বলেও হুশিয়ারী উচ্চারন করা হয়েছে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে। তাই মনে করা হচ্ছে, অতীতের ন্যায় এবারের দ্বাদশ নির্বাচনে উড়ে এসে দলের ঘাড়ে জুড়ে বসবে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। মাঠ পর্যায়ে নেতৃত্ব প্রদান করে যোগ্যতা প্রমানের মাধ্যমেই দলীয় টিকেটের দাবিদার হতে পারবেন মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ। অতীতে,বিএনপির রাজনীতিতে নেতৃত্বে থাকা অনেক ব্যবসায়ীও আগামীদিনে বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকবে কিনা এ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। দলের অনেক নেতাকর্মী দল ত্যাগ করারও চিন্তা করছে। তবে আন্দোলন করতে গিয়ে যে সমস্ত নেতা একাধিক মামলার আসামী হয়ে এখনো ফেরারী জীবন যাপন করছে তাদের পরিবারের খোঁজ রাখেনি বিএনপির দায়িত্বশীল শীর্ষ নেতারা। এ নিয়েও বিএনপির এসব ফেরারী নেতা ও তার পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এছাড়া সরকারী দলের সাথে আতাঁত করে যে সমস্ত নেতা প্রকাশ্যে থেকে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করেছে কিংবা নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে তাদের নিয়েও বিএনপির তৃনমূলে ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে বিএনপির একাধিক কর্মীর সাথে আলাপকালে জানাগেছে। তাদের মতে, সুবিধাবাদী নেতারা দল থেকেও সুবিধা নিবে আবার সরকারী দলের সাথে আতাঁত করে সুবিধাজনক স্থানে থেকে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখবে এটা হতে পারে না। তবে যে সমস্ত নেতাকর্মীরা দলের হয়ে রাজপথে নেমে আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা, মামলা, জেল,জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছে আগামীদিনে তাদের সে ভাবে মূল্যায়ন করার দাবি জোরালো হচ্ছে। দলের পরীক্ষীত নেতাকর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন করা না হলে আগামীদিনে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে নেতাদের নেতৃত্ব হুমকীর মুখে পরবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে অনেক নেতাই আর ফিরছে না। বিগত সময়ের আন্দোলন গুলোতে বিএনপির ব্যর্থ হয়ে ঘরে ফিরে যাওয়র পর থেকে এমন গুঞ্জন চলছে বিভিন্ন মহলে। ‘সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না’ কন্দ্রের এমন নির্দেশনায় জেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা আন্দোলনে ঝাপিয়ে পরে। অতীতের আন্দোলনের পর নিজের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা মামলায় জামিন নিয়ে নিরাপদে নিজ ঘরে ফিরে যারওয়ার পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে। কর্মীরা মনে করছেন, দলের প্রধান তার নিজের বিষয়টি চিন্তা করেই নিজের কথা রাখতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে স্বেচ্ছায় এবং নিরাপদে ঘরে ফিরে গেলেন। কর্মীদের মতে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ থেকে একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিবে। দলীয় মনোনয়ন এমন অনেকেই চাইবে দেখা গেছে দলীয় অন্দোলনের সময় রাজপথে থাকাতো দূরের কথা সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে যে সমস্ত নেতৃবৃন্দ হামলা-মামলা ও নির্যাতনের স্বীকার হয়ে ফেরারী জীবন পার করছে তাদের একটু সহাভূতিও প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। এবারের নির্বাচনে দলীয় সমর্থন যদি ত্যাগী নেতৃবৃন্দকে না দেয়া হয় তাহলে দল থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিবেন অনেক নেতাকর্মী। অপরদিকে, নির্বাচনকে টার্গেট করে সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে যে সমস্ত নেতাকর্মীরা একাধিক মামলার আসামী হয়ে গ্রেফতার, জেল,জুলুম থেকে রক্ষা পেতে ফেরারী জীবন যাপন করছে দলের পদে থাকা দায়িত্বশীল নেতারা সে সমস্ত নেতাকর্মীদের কোন খোজঁ খবর রাখেনি। এ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এছাড়া যারা আন্দোলনেও ছিল না উল্টো সরকারী দলের প্রভাবশালী নেতাদের সাথে আতাঁত করে রাজনীতি থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মকান্ড করেছে সে সমস্ত নেতাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে দলের দায়িত্বশীল নেতাদের উপর চাপ বাড়ছে। এছাড়া যারা দলের হয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে হয়রানীর শিকার হয়েছে তাদেরকে আগামীদিন সঠিক মূল্যায়নের দাবি দলের তৃনমূল থেকে জোরালো হচ্ছে। অন্যথায় এ নিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে নেতৃত্বে থাকা নেতাদের নেতৃত্ব হুমকীর মুখে পরতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্লেষক মহল।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা