আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:১৯

না’গঞ্জে চলছে রাজনৈতিক খেলা

ডান্ডিবার্তা | ২০ এপ্রিল, ২০২৩ | ১২:৪৩ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী নির্বাচন ঘিরে রমজানের আগে থেকেই নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির মাঠ গরম হয়ে আছে। আর সুযোগে নারায়ণগঞ্জে চলছে রাজনৈতিক খেলা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ বিএনপির নেতাদের মাঝে পাল্টা পাল্টি বক্তব্য নিয়ে টান টান উত্তেজনা চলমান রয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রী নেতারা বক্তব্য রাখলে কালকে তাদের সেই বক্তব্যের জবাব দেন বিএনপির নেতারা। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও একই দৃশ্য দেখা যায়। রমজানেও তা থেমে নেই। তবে রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মাঝে ২টি আসনে খেলা হবে। কেননা তাদের মতে ইতোমধ্যে এই দুটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সেই প্রার্থীদের মাঝে খেলা হবে। এদিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতা কর্মীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই সাথে তিনি সাংগঠনিক ভাবে দলকে সু সংগঠিত করছে। তার বিপরীতে ক্ষমতাসীন দলের ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমানও দলীয় সভা নেত্রীর নির্দেশে মাঠে নেমেছেন আগে থেকে। সেই সাথে একের পর এক বিএনপিকে বিভিন্ন ভাবে হুশিয়ার করে যাচ্ছেন এই সাংসদ। ২০০১ সনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের বর্তমান এমপি শামীম ওসমান ও একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই হয়। তখন ওই লড়াইয়ে শামীম ওসমানকে পরাজিত করে গিয়াস উদ্দিন সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। আগামী নির্বাচনেও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে তাদের মাঝে সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ খেলা হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে রাজনৈতিক সচেতন মহল। কেননা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সভায় তারা একের অপরকে খোঁচা মেরে বক্তব্য দিয়ে মাঠ গরম করে রেখেছে। বিএনপিকে হুশিয়ারি প্রদান করে ফতুল্লার এক সভায় ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, বিএনপির ভাইয়ের যে বিশৃঙ্খলা শুরু করছেন তারা সাবধান হয়ে যান। আমাদের আগের রুপ দেখলে আপনারা মাঠে নামতে পারবেন না। আপনারা মিছি মিটিং করছেন কিন্তা তাতে আমরা কোন বাধা দেয় না। অনেক সভায় আপনারা আমার নেত্রীকে নিয়ে নানা বিরুপ মন্তব্য করছেন। সামনে তা আর মেনে নেয়া হবে না। বিএনপির একজন নেতা আছেন তিনি ইদানিং অনেক কথা বলছেন। তিনি কোন ফ্যক্টর না। অপরদিকে সাংসদ শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে গিয়াস উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা তলানীতে। তাদের কোন এমপি মন্ত্রীরা সরকারি বিভিন্ন অফিসে তদবীর নিয়ে গেলে প্রশাসনের লোকেরা তাদের কর্ণপাত করেন না। উল্টো তাদের বলেন আপনারা কিভাবে নির্বাচতি হয়েছেন তা আমরা জানি। তাদেরকে এখন মানুষ খয়রাতি এমপি বলে। অপরদিকে সদর-বন্দর আসন নিয়ে আগামী নির্বাচন ঘিরে এবার আগে থেকে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এই আসনটি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে। কেননা এক যুগের বেশি সময় ধরে সদর বন্দর এলাকা নিয়ে নির্বাচনী আসনটি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বেদখলে রয়েছে। টানা ১৪ বছর যাবৎ এখানে জাতীয় পার্টির এমপি জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বিগত নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের শরীক দল হওয়ায় এই আসনটি ক্ষমতাসীন দলের ছেড়ে দিতে হয়। কিন্তু আগামী নির্বাচনে এখানকার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এই আসনটি ছাড় দিতে নারাজ। তারা সদর-বন্দর আসনে নৌকার প্রার্থী দাবী জানিয়ে আসছেন। জাতীয় পার্টির উপর আর ভর করে তাকতে চান না। ২০০৮ সনে সদর-বন্দর আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমান নির্বাচতি হন। পরবর্তিতে ২০১৪ সনে তিনি মারা যাওয়ার পর এই আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন নিয়ে সেলিম ওসমান নির্বাচিত হন। ২০১৮ সনের জাতীয় সংসদ একাদশ নির্বাচনেও এস আকরামকে পরাজীত করে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এর আগে আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টির শরীক থাকায় ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তার পক্ষে কাজ করেন। কিন্তু আগামী নির্বাচনে তারা আর জাতীয় পার্টির উপর ভর করে থাকতে চান না। এছাড়া ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাথে জাতীয় পার্টির শরীক নেই। আগামী নির্বাচনের আগ মুহুর্তে তারা কোন পথে যাবে তাও বলা যাচ্ছে না। তাই আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এখানে নৌকার প্রার্থী চান। নৌকার প্রার্থী বাছাই তালিকায় সদর-বন্দর আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছে। তাই এই আ্সনটিতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আসলে তখন জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সাথে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। এছাড়া এই আসনে বিএনপির পরীক্ষিত খেলোয়ার আবুল কালামও এই আসনে কয়েকবার সাংসদ হয়েছেন। তাই সব কিছু মিলিয়ে রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করেন ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ এবং সদর-বন্দর এই আসন দুটিতে আগামী নির্বাচনে খেলা হবে। সেই সাথে এখানে হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। তবে এই লড়াই কে জিতবে আর কে হারবে তা নিয়ে এখন থেকে আলোচনা হচ্ছে। যা নির্বাচনের মাধ্যমে পরিস্কার হয়ে যাবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা