আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | ভোর ৫:০৩

আ’লীগের বিরোধে সুবিধায় জাপা

ডান্ডিবার্তা | ০৬ মে, ২০২৩ | ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের বহুমুখী অন্তকোন্দলে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। টানা দুই মেয়াদ ধরে সংসদ সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করার পর এবার তৃতীয় মেয়াদেও তিনি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। আর এই সুযোগটি করে দিচ্ছেন স্বয়ং সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কারণ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন লড়াইয়ে এখানে অনেকেই রয়েছেন। যারা সহজে একে অপরকে ছাড় দিতে রাজী না। আর এ নিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগও বিরক্তি প্রকাশ করে আসছেন। সূত্র বলছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সে হিসেবে দিন যাওয়ার সাথে সাথে ঘনিয়ে আসছে এই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সরব হতে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট এলাকাকে ঘিরে। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জেও মনোনয়নপ্রত্যাশীরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিবারের মতো এবারও সোনারগাঁ তথা সোনারগাঁ আসনে আওয়ামী লীগের অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন। সেই সাথে এই আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কয়েকভাবে বিভক্ত অবস্থায় রয়েছেন। সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেয়াকে কেন্দ্র করে এই বিভক্তি শুরু হলেও সেটা গিয়ে সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত গড়াতে যাচ্ছে। যদিও সোনারগাঁ আওয়ামী লীগ সহ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতারা অনেকদিন ধরেই নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই নৌকা প্রতিকের দাবী জানিয়ে আসছেন। তাদের অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ সদর ও সোনারগাঁ নৌকা প্রতিকের এমপি না থাকার কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্যাতিত নিপেড়িত হয়ে আসছে। সেখানকার আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা দেখাতে পারছে না। বরাবরই তাদের নানা বিভক্তি পরিলক্ষিত হচ্ছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশায় সরব রয়েছেন সাবেক সংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু ও সাবেক সংসদ সদস্য মোবারক হোসেনের ছেলে এরফান হোসেন দিপ। এছাড়াও আরও প্রায় ৮ থেকে ১০ জন মনোনয়ন চাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসকল মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কেন্দ্র করেই সোরারগাঁ আওয়ামী লীগ কয়েকভাবে বিভক্ত অবস্থায় রয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ১৫ জুলাই সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এবং সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল। তখন কমিটিতে অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া আহবায়ক ও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমানকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু ওমর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সী ও জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন খান আবুকে নতুন কমিটিতে সদস্য করা হয়। কিন্তু এই কমিটি নিয়ে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তা নিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগে অনেক ঘটনা ঘটে যায়। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদেরও হেনেস্তার শিকার হতে হয়। তারপর ২০২১ সালের ২৩ মার্চ পূর্বে ঘোষণা করা আহ্বায়ক কমিটিকে পূর্ণ বিন্যাস করে এ কমিটিতে অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ্ আল কায়সার এবং ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হাই ও সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল। সবশেষ গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সেদিন সম্মেলনকে ঘিরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সাজসাজ রবরব অবস্থা বিরাজ করলেও বাধসাধে ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপির বক্তব্যে। সেদিনের সম্মেলনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সামনে নৌকা প্রতিকের জোড়ালো দাবী তুলেন। আর সেই দাবীর প্রেক্ষিতে ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেন, আপনারা নৌকার মনোনয়ন মনোনয়ন করেন, আমরা প্রার্থী দিলাম আপনারা বিধাবিভক্তি হয়ে নৌকা ডুবানোর নজির স্থাপন করলেন। আবার নৌকা দিবো আপনার নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ করে নৌকা ডুবাবেন তার চাইতে সোনারগাঁয়ে জাতীয়পার্টিই ভালো। জোটের একটা কোঠা পূরণ হবে। তার এই বক্তব্যের পরই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁয়ে আবারও জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার অনেকটাই পরিস্কার হয়ে রয়েছে সেটা স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। সবমিলিয়ে সবকিছু ঠিক থাকতে আগামী সংসদ নির্বাচনেও হয়তো লিয়াকত হোসেন খোকা সুযোগ পেয়ে যাবেন। তার জন্য এই আসনটিকে আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিবে। যদিও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এখনই হাল ছেড়ে দিচ্ছেন না। তারা নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশায় সংশ্লিষ্ট এলাকাজুড়ে সরব রয়েছেন। সেই সাথে তারা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বরে জানা গেছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা