আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | ভোর ৫:১৪

আ’লীগকে চাঙ্গা করতে বিভিন্ন কৌশল!

ডান্ডিবার্তা | ০৭ মে, ২০২৩ | ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বন্দরে সরকারদলীয় রাজনীতিতে সক্রিয়তা ধরে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে শীর্ষ নেতারা। বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদ একজন কর্মীবান্ধব নেতা। দল, সংগঠন ও নীতির ক্ষেত্রে আপোসহীন নেতা এম এ রশিদ চলতি বছরের শুরুতেই নানা প্রকার কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। মহানগর আওয়ামীলীগের বন্দরের ওর্য়াড কর্মী সভা শুরু করেছে। ২২ ও ২৩নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগের কর্মী গত শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মী সভায় হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। শনিবার বিকেলে ২৪ ও ২৫নং ওর্য়াড আওয়ামী লীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মী সভাসহ নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে এ কর্মসূচীগুলোর সাথে আরো গতানুগতিক পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে প্রবীণ আওয়ামী লীগের নেতা এম এ রশিদ জানান। সূত্র মতে, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ(সরকার দলীয়) রাজনীতিকে গতিশীল ও চাঙ্গা করে রাখছেন সাবেক ছাত্র নেতারা। বন্দর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলপ্ত ঘোষনা না করলেও প্রায় ১৭ বছর পূর্বে গঠিত কমিটির নেতারা বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। বন্দরে ছাত্রলীগের নেতারা অতীতে যেভাবে দলের ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানেও বন্দরে সরকার দলীয় রাজনীতিকে গতিশীল রাখার পেছনে প্রায় ৮০ শতাংশ ভূমিকা পালন করছে। তবে বন্দর উপজেলা বা থানা ছাত্রলীগের একটি প্রধান কার্যালয় থাকলে সংগঠন আরো গতিশীল হত আর জাতির জনকের প্রানের সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি বন্দরে সবচেয়ে সু-সংগঠিত থাকতো বলে জানান বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক ও যুবলীগ নেতা খান মাসুদ। যদিও কমিটি বিলপ্ত করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, দল ক্ষমতায় প্রায় ১৪ বছর ৪ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের ২৩ তারিখ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ছাত্রলীগের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দুঃখ- সুখ বলার একটা জায়গা নেই। ছাত্রলীগের বন্দর থানা বা উপজেলার প্রধান কোন কার্যালয় নেই। বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ ভাই আমাদের অনুপ্রেরনা ও অভিভাবক। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছে মাত্র ৪ বছর হতে চলছে। চেয়ারম্যান হওয়ার পর এম এ রশিদ ভাই নিয়মিত অফিস করায় দলের নেতাকর্মীরা কোন প্রয়োজন হলে দ্রুত উপজেলায় গিয়ে তার কথা বলার স্থান পেয়েছে। সরকার ক্ষনতায় টানা বার। দ্বিতীয় বার পর্যন্ত (১০ বছর) উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিল বিএনপির। আমাদের সবচেয়ে দুঃখ ও কষ্ঠের বিষয় ছাত্রলীগের প্রধান কোন কার্যালয় নেই। নাজমুল হাসান আরিফ বলেন, সংগঠনের প্রধান কার্যালয় না থাকলেও ব্যাক্তিগত সংগঠনের কার্যালয় আছে। আমার নিজের একটি অফিস আছে, যা মাসে ভাড়ায় চলে। বন্দর থানা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি এম এ সালাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাগবুবুর রহমান কমল, সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদের কার্যালয় আছে। ছাত্রলীগের নেতারা বন্দরে সরকার দলীয় রাজনীতি গতিশীল ও চাঙ্গা রাখতে সিংহভাগ ভূমিকা পালন করছে। সূত্র আরো প্রকাশ, বন্দর থানা ছাত্রলীগের ২০ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন হয় ২০০৫ সালে। নাজমুল হাসান আরিফকে আহবায়ক করে সম্মেলনের মাধ্যমে ২০ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। ২০০৬ সালে বন্দরের আলী নগরস্থ সাবেক সাংসদ এস এম আকরামের বাড়িতে সম্মেলনের মাধ্যমে বন্দর থানা কমিটি ঘোষনা করা হয়। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম এমপি, জি এম আরাফাতসহ জেলার নেতারা। কমিটিতে নাজমুল হাসান আরিফ সভাপতি, সহ সভাপতি এম এ সালাম, শেখ কামাল। সাধারন সম্পাদক আবুল হাসান কায়েশ। যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কমল, সাইফুল ইসলাম। সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, খান মাসুদসহ পুনাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করেন। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে (তৃনমূল) উঠে আসা নেতারাই বন্দরে সরকার দলীয় রাজনীতির অক্সিজেন বলে অনেকে মনে করেন। এম এ সালাম, বর্তমানে মদনপুর ইউনিয়নের হেট্রিক বিজয়ী চেয়ারম্যান। বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে যারা চেয়ারম্যান হয়েছিলেন বর্তমানে ওই চেয়ারম্যানদের উপর দল প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আস্থা ও ভরসা রেখে পুনরায় নমিনেশন দিয়েছে। বন্দর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১টি তে নৌকা প্রতীককের চেয়ারম্যান। নাসিক ২৬নং ওর্য়াড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে হাতেখড়ি। ছাত্রলীগ দিয়ে শুরু, তারপর উপজেলা যুবলীগ,বর্তমানে মহানগর শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সাবেক কাউন্সিলর ২৬ নং ওয়ার্ড। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি বলতে ওসমান পরিবারকেই বুঝি। জাতির জনকের আদর্শে অনুপ্রানিত নারায়ণগঞ্জের প্রত্যেকটি কর্মীই ওসমান পরিবার থেকে শক্তি, সাহস, অনুপ্রেরনায় চালিত। নাসিক ২৩নং ওর্য়াড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান বলেন, ১৯৯৩ সালে জাকিরুল ইসলাম হেলাল ও আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল ভাইয়ের পরিষদে ছাত্রলীগের রাজনীতি করি। নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজ দিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা ছিল। দল ক্ষমতায় আসার পর ওসমান পরিবারের সার্বিক প্রচেষ্ঠায় সিটি কর্পোরেশন হয়। সেই সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওর্য়াড বন্দর এলাকায় জনগন আমাকে দুইবার ভোট দিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছে। বর্তমানে মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও সংগঠন ও ছাত্রলীগের অতীত ইতিহাসগুলো শুধু উপলব্দী করি। যে দল ক্ষমতায় এখন নেতার অভাব নেই। ২০০১ সালে চারদলীয়জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঘটি কয়েকজন নেতা ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি। ছাত্রলীগ হতে এখন পর্যন্ত রাজপথে সক্রিয়তা দেখে একাধিক চক্র ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এগুলো কে বা কাদের মাধ্যমে হচ্ছে তা জানি। যেহেতু ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে আজকের অবস্থান। এ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোর জবাব দেয়ার ক্ষমতা থাকলেও তা করতে পারি না। কারন আমার নেতা প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান ভাই ও বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ রশিদ চাচাদের কাছ থেকে শিখেছি। আঘাতের বদলে আঘাত না, ষড়যন্ত্র হবে ত্যাগীদের নিয়েই, আতাতকারীদের নিয়ে না। এগুলো ধর্য্য করার নামই আওয়ামীলীগের রাজনীতির মূলধারা। বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল হাসান কায়েশ পদ পাওয়ার ২ বছরের মধ্যেই চাকরি হওয়ায় তিনি চাকরি নিয়ে ব্যাস্ত থাকলেও প্রায় ১৩ বছরে এ শূণ্যপদ পূরন করা হয়নি। যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কমল ও সাইফুল ইসলাম হলেও কমল রাজপথে সক্রিয় অপরজন বিদায় নেয়ার অবস্থায়। মাহবুবুর রহমান কমলের সংগঠনের কার্যালয় আছে,বর্তমানে মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে অধিকাংশ নীরব হয়ে থাকলেও খান মাসুদ বন্দর পেরিয়ে জেলার রাজনীতিতে একটি বিশাল ফ্যাক্টর। খান মাসুদ বন্দরের ঐতিহ্যবাহী খান বাড়ির সন্তান। প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জয়নাল আবেদিন খানের হাত ধরে রাজনীতিতে পর্দাপন। ১৯৯৮ সাল থেকে খেলাধুলাসহ সামাজিক কর্মকান্ড নিয়ে সময় কাটাতেন। ২০০১ সালের চারদলীয়জোট সরকারের সময় যখন নৌকা প্রতীক তথা জয় বাংলার শ্লোগান নিতে সাহস পেত না। তখনই তার ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। বন্দর শহর এলাকায় তার অবস্থান তবে কোন পদের অধিকারী না থাকলেও টার্গেটে পরেন বিএনপি-জামায়ত ইসলামীর। তৎসময়ে সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতন, একাধিক মামলা হামলার শিকার হওয়ার পরেও রাজপথে সক্রিয়তা দেখে ২০০৬ সালে বন্দর থানা ছাত্রলীগের সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান খান মাসুদ। সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে যখন তিনি অবিচল, সেই সময় থেকে নিজ দলীয় কাউয়া মার্কা, বিএনপি-জামায়াতেরর একাধিক চক্র সক্রিয় হয়ে গোপন মিশনে নামেন তারা। বিশেষ করে ওসমান পরিবারের রাজনীতিতে আপোসহীন বলেই তাদের ১ম টার্গেটে পড়েন খান মাসুদ। সকল ষড়যন্ত্রকে পিছনে ফেলো রাজনীতি মানে জনকল্যাণে কাজ করার নীতিকে অবলম্বন করে অবিরাম চলে যাচ্ছে। বন্দরের ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুম আহম্মেদ ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু। তার পরিবারে আওয়ামীলীগের রক্তের আর্দশ মিশে আছে। তিনি ঢাকা কলেজে লেখাপড়া করা কালীন হতেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। তার পিতা, চাচারা আওয়ামীলীগ তথা ওসমান পরিবারের রাজনীতিতে অবিচল ছিল। বর্তমানে তাদের নিয়ে চলছে খেলা। ২০০১ সালে যাদের বয়স ৪/৫ ছিল তাদের মত কিছু নব্ব হাইব্রিট ও ব্যানার নেতাদের সাথে কৌশলে আতাত করে তৃতীয় শক্তি তাদের ফয়দা লুটার চেষ্টা চালাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা যতই খেলুক, আমাদের মূল খেলোয়ার ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান ভাই ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগেরর অভিভাবক এবং চেয়ারম্যান এম এ রশিদ ভাই। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা নেতারা রাজপথে যেমন সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে তা অন্য কোন সংগঠনের নেতাদের মাঝে বিন্দু পরিমান দেখা মিলেনি। বন্দর থানা যুবলীগের থানা ও পৌর যুবলীগের পুণার্ঙ্গ কমিটি থাকলেও রাজপথে বা দেশের কোন ক্লান্তিলগ্নে তাদের দেখা মিলেনি। ঘুরেফিরে ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা ত্যাগী নীতিতে আপোসহীন ওসমান পরিবারের অনুগামীরা ইউপি চেয়ারম্যান, সিটি কাউন্সিলর হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ব্যার্থতা ও কোন্দলের কারনে নাসিক বন্দরের ৯টি ওর্য়াড কাউন্সিলরের মধ্যে ৩ জন আওয়ামীলীগের, ১ জন জাতীয় পার্টির ও বাকি ৫ টি স্বাধীনতা বিরোধী দল বিএনপির দখলে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মাসুম আহম্মেদ দলকে সুসংগঠিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বন্দরের লাঙ্গলবন্ধস্থ চেয়ারম্যান মার্কেটে মাসুম আহম্মেদ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান করে আলোচনায় আসে। ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে উপস্থিত থেকেছে। সার্বিক বিশ্লেষনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় রাজনীতিকে চাঙ্গা করতে নানা কৌশলে হাঁটছে বন্দরের শীর্ষ নেতারা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা