আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:২১

জেলা আ’লীগের কমিটিতে আইভী সমর্থকরা স্থান পাচ্ছে

ডান্ডিবার্তা | ১০ মে, ২০২৩ | ৩:০৫ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আসছে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর অনুগামীরা যেন ঠাঁই পায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট নেতাকে অবহিত করা হয়েছে। আইভীর নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ৬ মে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপির সঙ্গে দেখা করে ওই বিষয়গুলো তুলে ধরেন। ওই সময়ে মির্জা আজম নিশ্চিত করেন যে, কমিটির দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই বাছাই করেই অনুমোদন দিবেন। এতে কারো একক তদবির চলবে না। আইভীর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, সাবেক কমিটির সহ সভাপতি আদিনাথ বসু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত প্রমুখ। আইভীর সঙ্গে থাকা একাধিক নেতা সময়ের নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগের কমিটিতে মেয়র আইভীর অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছিল। এবারো ইতোমধ্যে সভাপতি আবদুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল ৭৫ সদস্যের একটি কমিটি জমা দিয়েছে। কমিটিতে যেন আইভীর সুপারিশের লোকজনও রাখেন সে বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। জবাবে মির্জা আজম নিজেই আইভীকে আশ্বস্ত করেছেন। এবং নারায়ণগঞ্জের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী খোদ দেখভাল করছেন। তিনি দেশের বাইরে আছেন। দেশে ফিরলেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে বলেন, সামনে যেহেতু নির্বাচন। তাই আমরা মির্জা আজম ভাইয়ের সাথে সাংগঠনিক আলাপ আলোচনাই বেশি করেছি। অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি আমাদের। কিভাবে দলকে সু-সংগঠিত রাখা যায় ও মিলেমিশে কাজ করে সামনের নির্বাচনে দলকে জয়ী করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাদেরকে বলেছেন, তোমরা মিলেমিশে কাজ করো। মির্জা আজমের কাছে আসন্ন নির্বাচনে সদর-বন্দর আসনে নৌকার প্রার্থী দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, না সে বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। মেয়রও কিছু বলেনি। তবে আমরা সব সময়ই নৌকা চাই। কখনো লাঙল চাইনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সভানেত্রী ৫ আসনে যেই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা তাতেই খুশি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, ‘আমরা একসাথেই কমিটি জমা দিয়েছি। এবারের কমিটিতে কিছু নতুন মুখ আছে, আবার অনেকে বাদও পড়তে পারেন। নতুন পুরাতন মিলিয়েই কমিটি। সব পুরোনো লোককে তো রাখা যায় না, তাহলে তো নতুন কমিটিই হতো না। সবদিক বিবেচনা করেই খসড়া কমিটি করেছি আমরা।’ গত বছরের ২৩ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আবদুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদলকে পুনরায় নির্বাচিত করা হয়। সেই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে খসড়া কমিটি প্রেরণ করতে বলা হয় তাদেরকে। একই সাথে স্বজনপ্রীতি ও মাইম্যান যেন না দেয়া হয় সেই বিষয়ে সতর্ক করা হয় কঠোরভাবে। যদিও সম্মেলনের প্রায় ছয় মাসেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি আনতে না পারায় সমালোচনা তৈরি হয় হাই ও বাদলকে নিয়ে। জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, সম্মেলন চলাকালে আওয়ামী লীগের সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন হাই ও বাদলকে। অতীতের ভুলের জন্য প্রকাশ্যে সমালোচনা করতেও ভুলেননি। এছাড়া আসন্ন কমিটির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার কথাও জানানো হয় সকলের সামনে। এর ফলে বিতর্কিত, একপাক্ষিক কিংবা বাণিজ্য করে কমিটি দিতে চাইলে খুব একটা সুবিধা পাবেন না সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ফলে খসড়া কমিটি যেমনই দেয়া হোক না কেন, কেন্দ্র জেনে বুঝেই কমিটি এপ্রুভ করবেন। এক্ষেত্রে সুবিধা নিতে চাইলেও লাভ হবে না। সেসময় ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘নতুন নেতাদের তো আসতে দেন না। মশারির ভেতরে মশারি টানান। বসন্তের কোকিল আছে, দুঃসময়ের কর্মীরা নেই। এই আওয়ামী লীগের দরকার নেই। কে কি করেন সব শেখ হাসিনার কাছে রিপোর্ট আছে। পদ বাণিজ্যের কথা যেন না শুনি। পকেটের লোক আমাদের চলবে না। নেত্রী কমিটি দেখবেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। উনি দেখে আমাকে নির্দেশ দিবেন, তারপর আমি এপ্রুভ করবো। এবার তদন্ত করে কমিটি দেব। পয়সা খেয়ে যারা কমিটি করে, এই ধরনের নেতা আমাদের প্রয়োজন নেই। মাথা নাড়ছেন অনেকেই, কে কি করেন সব জানি। ভালো হয়ে যান, আর করবেন না। নিজেদের সংশোধন করুন। ত্যাগী কর্মীদের সাথে প্রতারণা করবেন না।’ বিগত কমিটিতে বেশ কয়েকটি পদ ফাঁকা রেখে মেয়াদ শেষ হয়েছিল। হাই ও বাদলের বিরোধ এবং বলয়ের রাজনীতির প্রভাবে শূন্য পদ পূরণ করা সম্ভব হয়নি দলটির পক্ষে। এছাড়া বিতর্কিত জিকে শামীমকে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়েও বিতর্কের জালে জড়িয়েছেন এই দুই নেতা। ফলে সবদিক থেকেই বেশ চাপের মুখেই আছেন তাঁরা। নতুন কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্তির আগে সবার সামনে কেন্দ্রীয় নেতার ভর্ৎসনার পর নতুন করে বিতর্কে যেতে চাইবেন না এমনটাই ধারণা অনেকের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের কমিটিতে নতুন মুখের পাশাপাশি শামীম ওসমানপন্থী আওয়ামী লীগ নেতাদের আধিপত্য থাকার সম্ভাবনা প্রবল। বিগত কমিটিতে হাই ও বাদলের সাথে দায়িত্বে ছিলেন মেয়র আইভী। এবার তিনি সেই দায়িত্ব পাননি। ফলে আইভী বলয়ের নেতা তুলনামূলক কম থাকবে এমনটাই ধারণা অনেকের। তবে এসব প্রশ্নের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত। যতদিন কমিটি না আসছে, ততদিন এই সংক্রান্ত রহস্য থেকেই যাবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা