আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:২৩

ফতুল্লা বিএনপি ৩ ভাগে বিভক্ত

ডান্ডিবার্তা | ১০ মে, ২০২৩ | ৩:২৪ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে এখন তিনটি ধারা বিরাজমান রয়েছে। এই তিন ধারার মাঝে অন্যতম প্রধান ধরাটি রয়েছে জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিনের হাতে। এই গ্রুপে যারা রয়েছেন তারা সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ ও অভিজ্ঞ এবং পূরনো। এদের মাঝে রয়েছেন অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, স ম নূরুল ইসলাম, হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, এডভোকেট বারী ভুইয়া, আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, লোকমান হোসেন, সুলতান মাহমুদ মোল্লা, হাসান আলী, মঈনুল হোসেন রতনসহ আরো অনেকে। এরা সকলেই সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিনের লোক। ফতুল্লা থানায় এরা আপোষহীন নেতা হিসাবে পরিচিত। দলের চরম দুঃসময়ে এরা কখনোই বিএনপির আদর্শ এবং নেতা পরিবর্তন করেননি। গিয়াস উদ্দিন আহবায়ক হওয়ার আগ পর্যন্ত এদেরকে বিএনপির কোনো পদে আসতে দেয়া হয়নি। বিশেষ করে বিএনপি থেকে পদত্যাগী নেতা আলহাজ¦ মোহাম্মদ শাহআলমের হাতে থানা বিএনপির নেতৃত্ব আসার পর এদেরকে কখনোই কোনো দলীয় কর্মসূচিরত ডাকা হয়নি। তবে এরা গিয়াসউদ্দিনের নেতৃত্বেও প্রতি অবিচল থেকে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। তাই এবার গিয়াসউদ্দিন নেতৃত্বে আসার পর আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। অপরদিকে এই দলে দ্বিতীয় ধারাটি শাহআলমের অনুসারী হিসাবে পরিচিত। এদের মাঝে রয়েছেন জাহিদ হাসান রোজেল, পান্না মোল্লা ও সাবেক যুবলীগ নেতা একরামুল কবির মামুন প্রমুখ। এই ধরাটি শাহআলমের আর্থিক অনুদানে টিকে আছে বলে মনে করেন বিএনপির অনেকে। শাআলম দল থেকে চলে গেলেও এদেরকে পৃষ্টপোষকতা দিয়ে চলেছেন। এই গ্রুপটি কিছুতেই জেলা বিএনপির আহবায়ক গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্ব মানতে নারাজ। দলের কোনো দায়িত্বে না থাকলে এই গ্রুপের নেতা জাহিদ হাসান রোজেল এবং পান্না মোল্লা এখনো নিজেদেরকে থানা বিএনপির আহবায়ক এবং সদস্যসচিব দাবি করেন। মূলত এরা শাহআলমের লোক এবং এরা মনে করেন মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে হলেও শেষ পর্যন্ত শাহআলম বাগিয়ে নেবেন বিএনপির মনোনয়ন। তাই এরা কোনো মতেই গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্ব মানতে রাজী নন। এছাড়া অপর একটি ধারা রয়েছে যারা নাকি গিয়াস উদ্দিন এবং ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি শামীম ওসমানের মাঝামাঝি অবস্থানে। এই গ্রুপের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন থানা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক শহীদুল ইসলাম টিটু এবং বিএনপি নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। এরা একদিকে যেমন সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনের নেতৃত্ব মানেন অপরদিকে তেমনি তারা শামীম ওসমানের সাথেও যোগাযোগ রাখেন বলে অনেকে মনে করেন। তবে টিটু এবং রিয়াদ চৌধুরী এখন আর শাহআলমকে নেতা মানতে রাজী নন। ফতুল্লার রাজনীতিবিদদের মাঝে অনেকের পরিস্কার বক্তব্য হলো যে যাই মনে করুক না কেনো টিটুর মূল নেতা হলেন কুতুবপুরের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু। তবে সেন্টুতে আওয়ামীলীগে যোগদানের পর থেকে তাকে শামীম ওসমানের লোক হিসেবে গণ্য করেন আওয়ামীলীগ নেতারা। তবে বেলা শেষে সেন্টুর মাধ্যমে শামীম ওসমানের হাতে টিটুর এক ধরনের সুতার টান থেকেই যায়। অপরদিকে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেলের মাধ্যমে শামীম ওসমানের সাথে এক ধরনের সখ্যতা রেখে চলছেন বলে অনেকে মনে করেন। যদিও শামীম ওসমানের সাথে কখনোই রিয়াদ চৌধুরীকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তাই এখানে রাজনৈতিক কৌশলের বিষয়টি রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। তবে বিএনপির নেতা কর্মীরা মনে করেন তারা যে যে ধরাতেই পরিচালিত হোন না কোনো সকলেই বিএনপি করেন। তাই গিয়াস উদ্দিনের উচিৎ হবে কারো কোনো কথা না শুনে সবাইকে এক কাতারে নিয়ে আসার চেষ্ঠা করা। তার কাছে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এমনটাই প্রত্যাশা করেন বলে জানান। এখন গিয়াস উদ্দিন কি করেন সেদিকেই রয়েছে সকলের নজর।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা