আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:২৩

জেলা আ’লীগে পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব

ডান্ডিবার্তা | ১৪ মে, ২০২৩ | ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট চলতি সপ্তাহের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা হতে পারে। ইতিমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল আলাদা ভাবে কমিটির পুর্ণাঙ্গ খসরা তালিকা জমা দিয়েছেন। তালিকায় অনেকটা মিল থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এর নিজস্ব পছন্দ পরিলক্ষিত হয়েছে। এক্ষেত্রে, সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন দেখা গেছে সহ সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক পদ নিয়ে। দুই নেতার পছন্দ ভিন্ন। কেননা এই দুটি পদ কমিটিতে বেশ প্রভাবশালী হিসেবে গণ্য করা হয়। জানা গেছে, বিলুপ্ত হওয়ার আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সহ সভাপতি হিসেবে ছিলেন ৯ জন। তারা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান বাচ্চু, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, আরজু রহমান ভুইয়া, মুক্তিযোদ্ধা খবির উদ্দিন, মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, আব্দুল কাদির, মোহাম্মদ শিকদার গোলাম রসুল, আদীনাথ বসু, খাজা রহমত উল্লাহ। এছাড়া যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে ছিলেন ৩ জন। তারা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক ডা: আবু জাফর চৌধুরী বিরু, ইকবাল পারভেজ। তবে, এবার এই দুই পদেই নামের পরিবর্তন এসেছে। এক্ষেত্রে আলোচনায় এসছে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দুই যুগ্ম সম্পাদককে নিয়ে। জাহাঙ্গির আলম ও অধ্যাপক ডা: আবু জাফর চৌধুরী বিরু। কেননা সভাপতির পাঠানো খসরা কমিটির তালিকায় প্রথম যুগ্ম সম্পাদক রাখা হয়েছে জাহাঙ্গির আলমকে। অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদকের পাঠানো খসরা কমিটির তালিকায় প্রথম যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক ডা: আবু জাফর চৌধুরী বিরু। দুজন নেতাই ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে এসেছে বলে জানা গেছে। খোজঁ নিয়ে জানা যায়, সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এক বিশাল অংশের নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক ডা: আবু জাফর চৌধুরী বিরু। সোনারগাঁ আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতারাই তার নেতৃত্বে রাজনীতি করেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক বিভিন্ন সভা সমাবেশও বেশ ঘটা করে পালন করতে দেখা যায় তাকে। বিভিন্ন সময় শত শত নেতাকর্মীদের নিয়ে নানা দলিও কর্মসূচিও পালন করতে দেখা গেছে তাকে। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি গুলোতেও তার উপস্থিতি সরব। অন্যদিকে, জেলার প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে জাহাঙ্গির আলমের রয়েছে ভালো সক্ষতা। তবে, সমর্থক বা রাজনৈতিক কর্মীর কোনটাই তার নেই। জেলা আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচিতেই তার দেখা মিলে। কিন্তু আলাদা ভাবে নেতাকর্মীদের নিয়ে কোন কর্মসূচি পালন করতে তাকে কখনোই দেখা যায়নি। বিভিন্ন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ও শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দদের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হওয়াতেই সিমাবদ্ধ তিনি। এদিকে, অধ্যাপক ডা: আবু জাফর চৌধুরী বিরুকে ঘায়েল করতে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেকে তাকে সাবেক শিবিরের কর্মী হিসেবেও প্রমান করতে চাছেন বলেও জানা গেছে। তবে বিষয়টি সম্পুর্ন ভুয়া বলে জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের এই পোড় খাওয়া নেতা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা: আবু জাফর চৌধুরী বিরু বলেন, ‘আমি যখন ছাত্রলীগ করতাম সেই সময় ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন মোয়াজ্জেম ভাই, যিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আমার রাজনৈতিক জিবন স্পষ্ট করতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ভাই মোয়াজ্জেম ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে আমি কি ছাত্রলীগ করতাম নাকি? তখন মোয়াজ্জেম ভাই জানিয়ে ছিলেন যে আমি ছাত্রলীগ করতাম। তখন মোয়াজ্জেম ভাইকে মির্জা আজম ভাই বলেছিলেন আমি নেত্রীকে আপনার রেফারেন্স দিলাম? মোয়াজ্জেম ভাই বললেছিলেন অবশ্যই। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও তো বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এবং যাচাই বাছাই করেই নিশ্চিত করেছে। এখন অনেকে তো অনেক কিছু বলবেই। সেটা নিয়ে পরে থাকলে তো হবে না।’




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা