আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:২৯

নেতাদের দ্বন্দ্বে বিভক্ত তৃণমূল

ডান্ডিবার্তা | ১৯ মে, ২০২৩ | ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, তত্বাবাধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন-সমাবেশ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। তৃণমূলকে ঐক্যবদ্ধ করে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দলটি। আর ঢাকার পাশের জেলা হিসেবে এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে নারায়ণগঞ্জ। তবে জেলায় নেতাদের মধ্যেকার দ্বন্দ্বের কারনে দিশেহারা হয়ে পরছে তৃণমুল। সুত্রমতে, বিএনপির জন্মলগ্ন থেকেই নারায়ণগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। এ জেলা থেকে বিএনপির বহু নেতা হয়েছেন মন্ত্রী, অনেকে আবার পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তবে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকায় পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। জেলা পর্যায়ে রাজনীতির মধ্যেই প্রকাশ্যে আসছে বিভেদ-দ্বন্দ্ব। মুলত কমিটিতে নিজ কর্তৃত্ব বজায় রাখতে গিয়েই নেতারা এসব দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি থেকে শুরু করে প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে বিভক্ত বিএনপির নেতারা। শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করলে, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নাম প্রথমে আসবে। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে তাদের দুজনেরই রয়েছে বিশাল কর্মী সমর্থক। তবে আলাদা ভাবে বিভিন্ন দলিও কর্মসূচি পালন করায় সেই বিশালত্ব কখনো দেখা যায়নি। পাশাপাশি এতে করে তৃণমূলের কর্মীরাও এক হওয়ার সুযোগ পায়নি। এদিকে, আড়াইহাজারে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তজার্তিক বিষযক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক মন্ত্রী আতাউর রহমান আঙ্গুর ও মাহমুদুর রহমান সুমন। তিন জনেরই রয়েছে আলাদা কর্মী সমর্থক। রূপগঞ্জে আলাদা ভাবে বিএনপির রাজনীতির চালিয়ে যাচ্ছেন কাজী মনিরুজ্জামান ও মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দিপু। বিভিন্ন দলিও কার্যক্রমও আলাদা ভাবে পালন করেন তারা এবং তাদের অনুশারীও ভিন্ন। অন্যদিকে, সদর-বন্দর আসনে রয়েছে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নজর। যার কারণে এক সাথে সকল কর্মসূচি পালন করলেও তাদের মতানৈক্য অনেবারই গণমাধ্যমে উঠে এসছে। যদিও যেহেতু বিএনপি বর্তমান সরকারের অধিনে কোন নির্বাচনে অংশ নিবে না, তাই তাদের এই খায়েশটাও প্রকাশ্যে জানান দেন না মহানগর বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নেতাদের মধ্যকার এমন বিরোধ-দ্বন্দ্ব তৃণমূলের উপর ব্যপক প্রভাব ফেলে। কারণ যুগপৎ আন্দোলনের ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ তৃণমূল ছাড়া বিএনপির বিকল্প নেই। আর নেতাদের এমন দ্বন্দ্বে বিএনপির আন্দোলন ঝুকির মধ্যে রয়েছে। চলিত বছরের শেষ দিকেই অনুষ্ঠিত হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর আগেই যে কোন একটি সিদ্ধান্তে পৌছাতে হবে বিএনপিকে। তাই প্রতিনিয়তই আন্দোলন বেগবান করতে নানান কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে দলটি। দলটি স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের অধীন কোনো নির্বাচনে যাবে না। এমনকি ১৩ মে ঢাকায় নয়াপল্টনের সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মানলে নির্বাচন রুখে দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা