আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:২৪

আ’লীগে নয়া বলয় সৃষ্টি

ডান্ডিবার্তা | ২০ মে, ২০২৩ | ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের বিভক্তি যেন আর মিটছে না। নতুন করে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই তারা একের পর এক কর্মসূচিতে নিজেদের বিভক্তির প্রকাশ্যে রূপ দেখিয়ে আসছেন। কমিটি গঠনের পর এখন পর্যন্ত কোনো কর্মসূচিতেই তারা এক হতে পারেনি। সবশেষ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসেও তারা আলাদা কর্মসূচি পালন করেছেন। দলীয় সূত্র বলছে, গত বুধবার ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। আর এই দিবসটি উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করেছেন সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। জানা যায়, এদিন সকালে শহরের ২নং রেল গেইট এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আর এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা খবীর উদ্দিন, আদিনাথ বসু, সানাউল্লাহ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বাবলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। একই দিন বিকেলে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আর এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। সভা শেষে তারা একটি র‌্যালিও করেন। তবে সেই কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের উল্লেখিত কোনো নেতা ছিলেন না। এর আগে গত ১১ মার্চ সকালে শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের নেতৃত্বে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে তিনি এই কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু এখানে অনুপস্থিত ছিলেন সভাপতি আব্দুল হাই। সেই সাথে অন্যান্য নেতারাও অনুপস্থিত ছিলেন। শুধুমাত্র কয়েকজন নেতার উপস্থিতিতে আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল এই কর্মসূচি পালন করেন। তার আগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশব্যাপী বিএনপির জামায়াতের সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তির সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেইট এলাকার আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের এই শান্তির সমাবেশ চলাকালীন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের নেতাকর্মীরা সমবেত হন তাদের কর্মসূচি পালনের জন্য। আর সেই কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। আর তাকে দেখে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশ থেকে বাদলের উপস্থিতির ঘোষণা দেয়া হয়। উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নেতাকর্মীরা ধরে নিয়েছিলেন বাদল তাদের সাথে মিলিত হবেন। কিন্তু ঘোষণার অনেক্ষণ পরও বাদল সমাবেশে না যাওয়ায় সমাবেশ থেকে মাইকে আবারও মঞ্চে যাওয়ার আহবান জানানো হয় বাদলকে। কিন্তু আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল সেই আহবানে সাড়া দেয়নি। এভাবে বেশ আরও কয়েকবার তার নামটি জেলা আওয়ামী লীগের সমাবেশ থেকে উচ্চারিত হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সাড়া না দিয়ে যুবলীগের সমাবেশেই দাঁড়িয়ে থাকেন। একই জায়গায় দুইটি সমাবেশ হওয়ায় একটি সমাবেশে মাইকের আওয়াজ আরেকটি সমাবেশের আওয়াজের প্রতিবন্ধকা হয়ে যাচ্ছিল। সেই সাথে কিছুক্ষণ সময় ধরে পাল্টাপাল্টি স্লোগান চলে। এদিকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশেই যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের মতো এবারও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়। এদিন সকালে প্রথমে শহরের দুই নং রেলগেইট এলাকার আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়। এরপর কার্যালয়ের ভিতরে এক আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, আরজু রহমান ভূঁইয়া, আব্দুল কাদির, আদিনাথ বসু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাতসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। কিন্তু এখানে অনুপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আলাদাভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। আর এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু, দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল ও সাবের নারী সংসদ সদস্য হোসনে আর বেগম বাবলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। দলীয় সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের মধ্যে বিভক্তি পরিলক্ষিত হচ্ছে। একের পর এক কর্মসূচিতে তারা বিভক্ত অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। কমিটি ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের কোনো কর্মসূচিতে একত্রে দেখা মিলেনি। এর আগে দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর শহরের ইসদাইর এলাকার ওসমান পৌর স্টেডিয়ামে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আর এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। সেই সাথে সম্মেলনের শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলকে আবারও পুনর্বহাল করা হয়েছিল। তবে এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি তাদের দ্বারা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা