আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:১৯

বির্তকে জেলা ও মহানগর যুবদল

ডান্ডিবার্তা | ২৫ মে, ২০২৩ | ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় যুবদল নেতাকর্মীরা। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও আড়াইহাজার বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমনের অনুসারিরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় এ সংঘর্ষে অন্তত দশ নেতাকর্মী আহত হয়। যুবদলের এই সংঘর্ষে আজাদের হয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর যুবদলের সদস্য মনিরুল ইসলাম সজল ও সুমনের হয়ে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির কর্মীরা অংশ নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে নিজেদের মধ্যে মারামরির ঘটনায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ যুবদল। জেলা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতারা বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না। এমনকি কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিজেও এ ঘটনায় বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। দলীয় কর্মীদের সংঘর্ষ থামাতে মাইক হাতে হুমকিও দিতে হয়েছে তাকে। তবুও তারা নিবৃত হয়নি। এদিকে জেলা যুবদলের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মূলত: ব্যানারের সামনে আড়াইহাজার বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমনের দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে পড়েন নজরুল ইসলাম আজাদ অনুসারিরা। তারা সুমনকে ব্যানারের সামনে থেকে বের করে দিতে চাইছিলেন। এ সময় সুমনের ঘনিষ্ট জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বাধা দেন। আর তখনি আজাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, সদর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান ও মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজলের কর্মীরা হামলে পড়ে রনির উপর। এনিয়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। একাধিক যুবদল নেতা জানান, জেলা ও মহানগর যুবদলের নতুন কমিটি কিছু দিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে। এ দু’টি কমিটিতে নিজ দখলে রাখতে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি। কিন্তু বিষয়টি সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। তিনি চাইছেন শুধু মহানগর নয়, জেলা যুবদলেও তার আধিপাত্য ফিরিয়ে আনতে। আজাদ মূলত: জেলা বিএনপির রাজনৈতিক গডফাদার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতেই সব অঙ্গসংগঠনে নিজ বলয় তৈরি করতে ব্যস্ত। এজন্য কমিটি পেতে কেন্দ্রে দু’হাতে টাকা খরচ করতেও ওস্তাদ তিনি। তাই কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই তার অনুসারিদের দিয়ে জেলা যুবদল সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির সাথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করান। তাদের লক্ষ ছিল রনিকে কেন্দ্রে বিতর্কিত করা। এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি জানান, জেলা যুবদলের কোন নেতাকর্মী হামলার সাথে জড়িত নয়। যারা মারামারি করেছে তারা পরিকল্পিতভাবে সমাবেশে এসে হামলা করেছে নিরিহ কর্মীদের উপর। কারন তারা লাঠি, লোহার রড নিয়ে হামলা করে। পরিকল্পিত না হলে লাঠি-লোহার রড আসলো কোথা থেকে? তবে আমি এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক জানতে পারিনি। মিডিয়ার মাধ্যমে পরে জানতে পেরেছি। আমার সামনে সাংঘর্ষিক ঘটনা ঘটেনি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা