আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:১৮

কর্মী সংকটে মহানগর বিএনপি

ডান্ডিবার্তা | ২৮ মে, ২০২৩ | ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে সংঘর্ষের ঘটনায় নেতাকর্মী সংকটে পড়ে যাবেন আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতরা নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই আপাতত মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। সেই সাথে মহানগর বিএনপিরও তেমন নেতাকর্মী নেই। ফলে বিএনপি দলীয় আগামী কর্মসূচিগুলোত সাখাওয়াত হোসেন ও আবু আল ইউসুফ খান টিপু নেতাকর্মী সংকটে পড়তে পারেন। দলীয় সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কর্মসূচিতেই এককভাবে কর্মী সমর্থকদের জোগান দিতে পারেনি সাখাওয়াত হোসেন ও আবু আল ইউসুফ খান টিপু। সবসময় তাদেরকে অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপরে ভরসা করে কর্মসূচি পালন করতে হয়েছে। প্রায় সব কর্মসূচিতেই অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের শোডাউন পরিলক্ষিত হয়। তারই অংশ হিসেবে মহানগর বিএনপির প্রত্যেক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, আড়াইহাজার থানা বিএনপি নেতা মাহমুদুর রহমান সুমন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রনি, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহমেদ ও যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ। মহানগর বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সবসময়ই এসকল নেতারা তাদের অনুসারীদের নিয়ে ব্যাপক শোডাউন করে থাকেন। তাদের অনুসারী বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী নিয়ে কর্মসূচিতে যোগদান করে থাকেন। সেই সাথে তাদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে মহানগর বিএনপির কর্মসূচিরও পূর্ণতা এসে থাকে। কিন্তু গত ২৩ মে মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এসকল নেতাদের অনুপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবিতে ২৩ মে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়। আর এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। তারই অংশ হিসেবে শহরের খানপুর এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সেই সাথে পদযাত্রা পূর্ববর্তী সমাবেশে বক্তব্য শুরু হয়। বক্তব্য শুরু হওয়ার সাথে সাথেই যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ মিছিল নিয়ে প্রবেশ করেন। এসময় তাকে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ স্বাগত জানিয়ে থামাতে বলেন। আর এতেই জোসেফের লোকজন শাহেদের উপড় ক্ষেপে যায়। এসময় শাহেদ ও জোসেফের অনুসারীদের সাথে বাকবিতন্ডা ও মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে অন্যান্য নেতারা এগিয়ে এসে তাদের শান্ত করেন। তাদের থামাতে গিয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীবের মোবাইল চুরি হয়ে যায়। আর এই চুরির দোষ পড়ে জোসেফের অনুসারীদের উপড়। পরে আবার দ্বিতীয় দফায় তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। রাজীব শাহেদ জোসেফ বারবার তাদের অনুসারীদের থামার কথা বললেও তাঁরা থামছিল না। এসময় সমাবেশস্থলে আসেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আর এসময়ে রিজভীর পাশে দাঁড়ানো নিয়ে বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও আড়াইহাজার থানা বিএনপি নেতা মাহমুদুর রহমান সুমনের লোকজনদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ঘটে। সুমনকে ধাক্কা দেন আজাদের এক অনুসারী। তখন সুমনের পক্ষে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির লোকজন মিলে আজাদের লোকজনদের উপর চড়াও হলে শুরু হয় ফের মারামারি। প্রধান অতিথি রুহুল কবির রিজভী মাইক হাতে নিয়ে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে তাঁরা শান্ত হন। পদযাত্রা শেষে ওই মারামারির ঘটনার রেশ ধরে শহরের মিশনপাড়া এলাকার বৈশাখী হোটেলের সামনে সাখাওয়াত ও টিপুর সাথে কথা বলার সময়ে মশিউর রহমান রনিকে মারতে থাকে আজাদের অনুসারী রফিক। পরে রফিককে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তারপর রনির অনুসারীরা রফিককে একা পেয়ে রাস্তায় ফেলে বেদম মারধর করে। সেই সাথে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটে। খানপুর হাসপাতালে ছাত্রদল নেতা আতা-ই-রাব্বীকে রনির অনুসারী মনে করে রাজীবের অনুসারীরা মারধর করে। আর এই পাল্টাপাল্টি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এসকল নেতারা সকলেই আতঙ্কে রয়েছেন। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে গেলে প্রতিশোধের অংশ হিসেবে তাঁরা একে অন্যের দ্বারা হামলার শিকার হতে পারেন। সেই সাথে সাখাওয়াত হোসেন ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুরও নিরাপত্তা দেয়ার মতো ক্ষমতা রাখেন না। আর তাই তাঁরা আপাতত কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে পারেন। দলীয় সূত্র বলছে, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে অ্যাডভোকেট মো. শাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব হিসেবে অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এই কমিটি ঘোষণার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পরেছেন। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি থেকে ১৫ জন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি একের পর এক ঘটনায় তাঁরা বিতর্কিত হয়ে আসছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা