আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে চুনা কারখানাগুলি চলছে ম্যানেজ প্রক্রিয়ায়

ডান্ডিবার্তা | ২৯ মে, ২০২৩ | ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সিদ্ধিরগঞ্জে চুনা কারখানা বৈধতা হারিয়েও ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় চলছে বহাল তবিয়তে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চলা এসব কারখানা হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন মহলের পকেট ভারি হওয়ার উৎস। তাই এসব কারখানার বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ হলেও কোন ব্যববস্থা না নিয়ে এই ডিমপাড়া হাঁস পোষচেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারা। জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের ঘনবসতিপূর্ণ বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠা ১৫টি চুনা কারখানার পরিবেশ ছাড়পত্র ও ট্রেড লাইসেন্স নবায়ণ করা হচ্ছেনা তিন বছর ধরে। পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বার্থে আবাসিক এলাকা থেকে কারখানা স্থানাস্তরের জন্য একাধিক চিঠি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর। একেক কারখানাকে একেক মেয়াদে চিঠি দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময় গত হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর কারখানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এসব কারখানার আগুনের তাপ, ধুঁয়া ও ধুলা-বালিতে পরিবেশ দূষিত হয়ে আশপাশের বাসিন্দারা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত ও মানবেতর জীবন যাপন থেকে মুক্তি পেতে পরিবেশ অধিদপ্তরে একাধিক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, থানা এলাকা মোট ১৫টি চুনা কারখানা রয়েছে। তার মধ্যে নাসিক ১নং ওয়ার্ড ১০টি ও ৪নং ওয়ার্ডে ৫টি। কারখানা গুলো হলো সিআইখোলায় ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের জাজিরা লাইমস্, হীরাঝিলে সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুকের মদিনা লাইমস্, ঢাকাইয়া জালাল উদ্দিনের সুরমা লাইমস্, চাঁন মিয়ার রনি লাইমস্, ফয়সাল রানার ফয়সাল লাইমস্, আটিতে আব্দুল হাইয়ের মেঘনা লাইমস্, জালাল উদ্দিনের আশরাফ আলী লাইমস্, পাইনাদী পূর্বপাড়ায় খোরশেদের ঢাকা লাইমস্ ও যমুনা লাইমস্, মক্কীনগরে হযরত আলীর আরাফাত লাইমস্, মিজমিজি পূর্বপাড়ায় আসমা তালেবের ভাই ভাই লাইমস্, মজিববাগে শফিউল্লাহ‘র শরীফ লাইমস্, আটি ওয়াপদা কলোনিতে সোহেলের খাজা লাইমস্, আব্দুল করিমের হারুন লাইমস্ ও শহীদ হাসান বিটুর রহমান লাইমস্। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ ছাড়পত্র ও ড্রেট লাইসেন্স নবায়ন না হওয়ায় কারখানা গুলো বৈধতা হারিয়েছে। ফলে কারখানা চালাতে ম্যানেজ করতে হচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর, তিতাসসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর ও স্থানীয় বিভিন্ন মহলকে। ম্যানেজ প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে চুনা কারখানা মালিকরা একজোট হয়ে প্রতিটি কারখানা থেকে মাসে ২ লাখ টাকা করে চাঁদা নির্ধারণ করেছে। যার মোড়ল বনেছেন এক নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম ও সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুক। তাদের হাত দিয়েই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারে পকেটে যাচ্ছে চাঁদার একটি বড় অংশ। নিজেদের পকেট ভারি হওয়ায় এসব চুনা কারখানার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে সূত্রটির দাবি। এবিষয়ে কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম পরিবেশ ছাড়পত্র নাবায়ন না করার সত্যতা স্বীকার করলেও চাঁদা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর ম্যানেজের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন। নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন আর্থিক সুবিধার বিষয় নাকচ করে বলেন, কারখানা সরিয়ে না নেওয়ার বিষয়টি প্রধান কার্যালয়কে অবগত করানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা