
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সিদ্ধিরগঞ্জে চুনা কারখানা বৈধতা হারিয়েও ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় চলছে বহাল তবিয়তে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চলা এসব কারখানা হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন মহলের পকেট ভারি হওয়ার উৎস। তাই এসব কারখানার বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ হলেও কোন ব্যববস্থা না নিয়ে এই ডিমপাড়া হাঁস পোষচেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারা। জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের ঘনবসতিপূর্ণ বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠা ১৫টি চুনা কারখানার পরিবেশ ছাড়পত্র ও ট্রেড লাইসেন্স নবায়ণ করা হচ্ছেনা তিন বছর ধরে। পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বার্থে আবাসিক এলাকা থেকে কারখানা স্থানাস্তরের জন্য একাধিক চিঠি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তর। একেক কারখানাকে একেক মেয়াদে চিঠি দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময় গত হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর কারখানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এসব কারখানার আগুনের তাপ, ধুঁয়া ও ধুলা-বালিতে পরিবেশ দূষিত হয়ে আশপাশের বাসিন্দারা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত ও মানবেতর জীবন যাপন থেকে মুক্তি পেতে পরিবেশ অধিদপ্তরে একাধিক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, থানা এলাকা মোট ১৫টি চুনা কারখানা রয়েছে। তার মধ্যে নাসিক ১নং ওয়ার্ড ১০টি ও ৪নং ওয়ার্ডে ৫টি। কারখানা গুলো হলো সিআইখোলায় ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের জাজিরা লাইমস্, হীরাঝিলে সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুকের মদিনা লাইমস্, ঢাকাইয়া জালাল উদ্দিনের সুরমা লাইমস্, চাঁন মিয়ার রনি লাইমস্, ফয়সাল রানার ফয়সাল লাইমস্, আটিতে আব্দুল হাইয়ের মেঘনা লাইমস্, জালাল উদ্দিনের আশরাফ আলী লাইমস্, পাইনাদী পূর্বপাড়ায় খোরশেদের ঢাকা লাইমস্ ও যমুনা লাইমস্, মক্কীনগরে হযরত আলীর আরাফাত লাইমস্, মিজমিজি পূর্বপাড়ায় আসমা তালেবের ভাই ভাই লাইমস্, মজিববাগে শফিউল্লাহ‘র শরীফ লাইমস্, আটি ওয়াপদা কলোনিতে সোহেলের খাজা লাইমস্, আব্দুল করিমের হারুন লাইমস্ ও শহীদ হাসান বিটুর রহমান লাইমস্। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ ছাড়পত্র ও ড্রেট লাইসেন্স নবায়ন না হওয়ায় কারখানা গুলো বৈধতা হারিয়েছে। ফলে কারখানা চালাতে ম্যানেজ করতে হচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর, তিতাসসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর ও স্থানীয় বিভিন্ন মহলকে। ম্যানেজ প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে চুনা কারখানা মালিকরা একজোট হয়ে প্রতিটি কারখানা থেকে মাসে ২ লাখ টাকা করে চাঁদা নির্ধারণ করেছে। যার মোড়ল বনেছেন এক নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম ও সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুক। তাদের হাত দিয়েই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারে পকেটে যাচ্ছে চাঁদার একটি বড় অংশ। নিজেদের পকেট ভারি হওয়ায় এসব চুনা কারখানার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে সূত্রটির দাবি। এবিষয়ে কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম পরিবেশ ছাড়পত্র নাবায়ন না করার সত্যতা স্বীকার করলেও চাঁদা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর ম্যানেজের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন। নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন আর্থিক সুবিধার বিষয় নাকচ করে বলেন, কারখানা সরিয়ে না নেওয়ার বিষয়টি প্রধান কার্যালয়কে অবগত করানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯