এক দফার আন্দোলনে নামছে বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় এবং চলমান আন্দোলন আরও জোরদার করতে চাইছে বিএনপি। এছাড়া সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বিএনপি এক দফা একা দাবী নিয়ে শক্তিশালীর মাধ্যমে আন্দোলনে নামছে বিএনপি। প্রতিটি দলীয় কর্মসূচির অংশ গ্রহনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জেলা বিএনপি ব্যপক ভুমিকা পালন করেছে। আগাম দিনের আন্দোলনেও জেলা মহানগর বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়ে ভুমিকা পালনের জন্য মাঠে তৃণমূল থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর বিএনপি একের পর এক আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের শক্তির অস্থান জানান দিচ্ছে। এদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর বিএনপির দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাসের দাম, তেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের মুল্য বাড়ানোর প্রতিবাদে একের পর এক বিক্ষোভ সভা করে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর বিএনপি। সেই সাথে নতুন করে তৃণমূল থেকে আবার আন্দোলনকে আরও শক্তিতে রূপান্তর করার জন্য থানা মহানগরে পদযাত্রা করে যাচ্ছে মহানগর বিএনপি। মহানগর পদযাত্রায় নেতৃত্ব প্রদান করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। অপরদিকে তাদের সাথে কোন অংশে পিছিয়ে নেই জেলা বিএনপি। কেননা জেলা বিএনপিতে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তারাও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। জেলা মহানগর বিএনপি যৌত ভাবে শহরের চাষাঢ়ায় একাধিক বিক্ষোভ সভা করে তারা নিজেদের শক্তির অবস্থান জানান দিয়েছে। তাই আগামী দিনের এক দফা আন্দোলনে তারা তৃণমুল থেকে আরও শক্তি নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ মে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর বিএনপি ১০ দফা দাবী বাস্তবায়নে বিক্ষোভ সভা করেন। এই সভার রেশ কাটতে না কাটতেই ২৪ মে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.সাখাওয়াত হোসেন খানের নেতৃত্বে শহরে পদযাত্রা মিছিল বের করেন। পরবর্তিতে গত রবিবার বন্দর উপজেলায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি পদযাতা মিছিল বের করেন। এবং এই মিছিলে বন্দরের সর্বস্তরের লোকজন অংশ গ্রহন করে বলে জানা মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতা এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে ব্যাপক ভুমিকা রেখে যাচ্ছেন। সেই সাথে তারা দলীয় ভাবে সংগঠনকে শক্তিশালী করে নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কেননা ইতোমধ্যে জেলা বিএনপি তাদের অধীনস্থ্য ইউনিটের বেশির ভাগ কমিটি ঘোষনা করেছেন। এছাড়া পিছিয়ে নেই মহানগর বিএনপি। তারা একের পর এক ওয়ার্ড কমিটি গুলো সম্মেলনের মাধ্যমে এখন মেষ পর্যায়ে রয়েছেন। সেই সাথে আন্দোলনেও কোন অংশে পিছিয়ে নেই। মহানগর বিএনপি বন্দর, সদর কমিটি ঘোষনা করে এখন সম্মেলনের মাধ্যমে মহানগরের ওয়ার্ডের সম্মেলন করে যাচ্ছে। খুব দ্রুত তারা মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় সূত্রমতে জানাযায়, গত ২১ মে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র এক জনসভায় বলেছেন, আর দশ দফা নয়, এখন এক দফা শেখ হাসিনার পদত্যাগ। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে নতুন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দিতে হবে। এছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। বিএনপির এই নেতার বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর বিএনপি এই আন্দোলনে নতুন ঢেউ তুলতে চায়। দলীয় সুত্রমতে মাঠ পর্যায়ে শক্তি বাড়িয়ে চলমান আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর বিএনপি মাঠে নেমে নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে যাচ্ছেন। সেই সাথে মহানগর বিএনপি আগের চেয়ে আরও শক্তি নিয়ে মাঠে নেমে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আন্দোলনে ঝড় তুলতে চান। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, দলীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ সহ ১০ দফা দাবী আদায়ের আন্দোলনে আমার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে ভুমিকা পালন করে যাচ্ছি। এছাড়া স্থানীয় ভাবে দলীয় কর্মসূচিতে আমাদের সাথে এখন মানুষ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছেন। আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু আমরা কোন সহিংসতা আন্দোলনে বিশ^াসী নয়। তাই আগামী দিনের এক দফা আন্দোলনে পূর্বের ন্যায় সর্বাত্মক ভুমিকা রেখে ত্বত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সাখাওয়াত পদযাত্রায় বলেন, দেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এখন আমাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন, বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও সেই ১০ দফা দাবি আদায় করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সেই আন্দোলনে নারায়ণঞ্জের গণতন্ত্রকামী মানুষ বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে এবং সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় দেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক দফা দাবি আদায় করেই ছাড়বো। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন বিক্ষোভ সভায় বলেন, এই দেশ কারও ব্যক্তিগত সম্পদ না। যেকোন মূল্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আমরা কাজ করে যাবো। আমরা ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছি। যদি নির্বাচন হয় জনগণ ভোট দেয় তাহলে তারা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই ক্ষমতাসীন দল আবারও জনগণের অধিকার খর্ব করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু তা আর হতে দেয়া হবে না। আন্দোলনের ঢেউ তুলে তাদেরকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে।