আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:১৫

ক্ষমতাসীনদের রাজনীতিতে ভাটা

ডান্ডিবার্তা | ০৫ জুন, ২০২৩ | ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বন্দরে ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিকে নিস্ক্রিয় করতে নানা কৌশলে অগ্রসর হচ্ছে বিরোধীদলসহ নিজ দলীয় কতিপয় স্বার্থন্বেশী মহল। এ চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত নানা ছক আটছেন। বন্দরে সরকারদলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় নেতাদের টার্গেট করে শুরু করেন তাদের নীল নকশা। রাজনৈতিক ভাবে ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারকে ঘায়েল করার জন্য একাধিক চক্র ঐক্য হয়ে কাজ করছে। চক্রটি বিশাল অংকের টাকা নিয়ে বিগত প্রায় ২০১৪ সাল হতে উঠে পরে লেগেছে। প্লাস- মাইনাস ফর্মূলার রাজনৈতিক গ্যাড়াকলের শিকার হচ্ছেন ত্যাগী ও আপোসহীন নেতারা। সরকারদলীয় নেতাদের যোগসাজশে চলছে এই খেলা। ২০১৪ সাল থেকেই বন্দর উপজেলা এলাকায় এ রাজনীতি চলছে বলে রাজনৈতিক বোদ্ধাদের ভাষ্য। দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবার ওসমান বলয়কে দূর্বল করার জন্য আমলা, বাম, জামায়াত-বিএনপিসহ সরকার দলীয় হাইব্রিট কাউয়ারা ঐক্য হয়েছে। বিশাল এক বাজেট নিয়ে চক্রটি বন্দরে কাজ করছে বলে একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওসমান পরিবার অর্থাৎ শামীম ওসমানের পরিক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের টার্গেট পূর্বক চালিয়ে যাচ্ছে তাদের খেলা। তাদের ১ম টার্গেটের কবলে পরে খান মাসুদ। ৫ অক্ষরের এ নামটিকে টার্গেট করে চালায় খেলা। বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ বন্দর ১নং খেয়াঘাট নিয়ে নাসিক মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। কারন তিনি খেয়াঘাট ইজারা দিলেও জায়গাটা সিটির না। যে কারনে তিনি ইজারা দিতে পারেন না বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ্য করে। তাই ১ম টার্গেটের কবলে পরেন খান মাসুদ। দ্বিতীয় টার্গেটের কবলে পতিত হোন। খান মাসুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো চলমান। গত বছরের ডেডলাইন ১০ ডিসেম্বর নিয়ে বন্দরের রাজনৈতিক মাঠ শীর্ষ নেতাদের নিয়ে এককভাবে দখলে রাখে। ৯ ডিসেম্বর রাত হতে বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তার অনুগামী হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এত ষড়যন্ত্র করেও কোন সুবিধা করতে না পেরে পুনরায় শুরু করেছে নতুন ফর্মূলায় খেলা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বন্দর শহর এলাকায় খান মাসুদের মত নেতাদের রাজপথে অনেক বেশি প্রয়োজন। বন্দর শহর এলাকায় খান মাসুদ মানে হাজারো নেতাকর্মীদের সমাগম। দ্বিতীয় টার্গেটের কবলে পতিত হন মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও নাসিক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান। দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারে শেষ সময়ে কুচক্রি মহল দুলাল প্রধানকে নিয়ে শুরু করেছে খেলা। সেই খেলায় অনেকটা সফল হয়েছে বিরোধীরা। সূত্র মতে, বন্দর থানা ছাত্রলীগের (সোনালী অতীত) কমিটির নেতারাই বন্দরে সরকারদলীয় রাজনীতিতে অক্সিজেন হিসেবে আছে। সেই টার্গেট নিয়ে চলছে খেলা। বন্দরের উত্তরাঞ্চলের মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের হেট্রিক বিজয়ী চেয়ারম্যান গাজী এম এ সালামকে নিয়েও কম খেলেনি। নিজ দলীয়, বিরোধী দলের সকল বাঁধা পেরিয়ে রীতিমতো সংগ্রাম করে তাকে বর্তমান অবস্থানে থাকতে হয়েছে। জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব মাসুম আহম্মেদ নৌকা প্রতীক নিয়েও আওয়ামী লীগের ঘাটি ধামগড় ইউনিয়নে পরাজয় বরন করতে হয়েছে। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের শাহীন তাহেরী সিনহা, মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগ সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কমল, সাইদুর রহমান কুদ্দুস মৃধা, মোসাদ্দেক আলী আঙ্গুর, মহানগর ছাত্রলীগ সাবেক সহ সভাপতি রাজু আহমেদ সুজনসহ সচ্ছ নেতাদের কোনঠাসা করার কৌশলে বিগত সময়ে সফল হতে না পারলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেকটা সফলের দিকে। এ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের অভিভাবক প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদের জরুরি এবং কঠোর অবস্থানে গিয়ে তাদের রাজপথে নামার নির্দেশ দেয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হবে বলে রাজনৈতিক বৌদ্ধদের অভিমত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতাকর্মীরা ফোন, মেসেজ দিয়ে জানিয়েছে যে, রাজনীতিতে শেষ বলে কোন কথা নাই। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় ছন্দ-পতনের মত রাজনৈতিক মাঠে তা বহন করছে। যে ছন্দ পতনকে কখনো সে ভাল দৃষ্টিতে দেখেনি। আর ছন্দপতন সবচেয়ে ভয়ংকর একটি রুপ। বন্দরে রাজনৈতিক মাঠে ছন্দ পতনের ইঙ্গিত ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের দখলে প্রায় ১৪ বছর রাজনৈতিক মাঠ থাকলেও তা ভিন্ন দিকে মোড় নিয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর যার ছিটোফুটো পালন না করলেও ইতিমধ্যে শুরু করেছে রাজপথ দখলে নিতে। ক্ষমতাসীন দলের এমন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা থাকলেও তারা কেমন জানি নীরব। বন্দরের মধ্যেঞ্চল এলাকায় কর্মীবান্ধব নেতা থাকলে একজনই খান মাসুদ। বন্দরের কারা নির্যাতন নেতা হাজারো মানুষের আইকন যুবলীগ নেতা খান মাসুদ কি কারনে যে হঠাৎ নীরব ভূমিকা পালন করছে তা বুঝতে পারছি না। বন্দরের প্রান কেন্দ্র ১নং খেয়াঘাট এলাকা হতে ২২, ২৩, ২৪, ২১, ২০, ১৯নং ওর্য়াডসহ কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ও বন্দর ইউনিয়ন এলাকায় খান মাসুদের রয়েছে বিশাল এক কর্মী বাহিনী। তারপর আবার দল মত নির্বিশেষে তার রয়েছে আরো হাজারো সুশীলরা। খান মাসুদ মানে সরকার দলীয় রাজনীতিতে বিশাল এক ফ্যাক্টর। যার সামান্যতম ষড়যন্ত্রের কথা শুনলে দল মতের বাহিরে গিয়ে বিভিন্ন এলাকার সুশীল সমাজ প্রায় ২৫-৩৫টি সমাজ ও পঞ্চায়েত কমিটি মানববন্ধন করে আরো আগেই জানান দিয়েছে। যার ফলসূতিতে খান মাসুদ হঠাও মিশন নিয়ে কিছু ঘরের শত্রু বিভেষন হয়ে কাজ করছে। তারপর আবার নিজ দলীয় পূর্বের শত্রুসহ বিএনপির এজেন্টা একত্রিত হয়ে কাজ করছে। নানা মুখী ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিতে হাই কমান্ডের নির্দেশে খান মাসুদ নীরব মানে বন্দরের রাজনীতির মাঠে বিএনপি রাজ করবে। খান মাসুদ নীরব থাকলে কার লাভ? খান মাসুদ নীরব থাকলে তার কর্মী বাহিনী কিন্তু ঠিকই প্রস্তুত আছে। অথচ সরকার দলীয় রাজনীতি বন্দরে চাঙ্গা রাখতে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান এম এ রশিদ নানাভাবে ছক আটেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা মিলেছে তার ছক উল্টো। বন্দরে যুবদলের বিশাল বিশাল মিছিল, শোডাউন, সভায় সরকার বিরোধী নানা মন্তব্য করলেও সকলে কেমন জানি নীরব! অথচ গত বছরের ডেডলাইন ১০ ডিসেম্বর নিয়ে বন্দরের রাজনীতিতে খান মাসুদের নানামুখী কর্মসূচী ছিল। এমনকি বিরোধী অপশক্তিকে কঠোর বার্তা দিয়ে রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়ে ঠিকই তার একাধিক গ্রুপ রাজপথে ছিল। খান মাসুদের বক্তব্য ও কর্মকান্ড ছিল রাজনৈতিক মাঠে বিরোধীদের জন্য অনেকটা চ্যালেঞ্জ পূর্বক। বর্তমান সময়ে খান মাসুদকে নিয়ে ঘরে বাহিরেসহ বিরোধীদের নতুন কৌশলে ষড়যন্ত্রের খেলা চলছে। যা দলের হাইকমান্ড অনেকটা জানে। তাদের নির্দেশে খান মাসুদ অনেকটা রহস্যময় অবস্থানে গিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে। তার নীরবতাকে পুজি করে বন্দরের রাজপথ দখলে নিতে কঠোর অবস্থানে বিএনপি। খান মাসুদ নীরব থাকলে কার লাভ? সরকার ক্ষমতায় অথচ অপশক্তির দখল কেন রাজপথ? দলের সিনিয়র নেতাদের উচিত ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে কালি লেপনের মাধ্যমে খান মাসুদকে রাজপথে নামার নির্দেশ দেয়। বন্দরে সরকারদলীয় রাজনীতিতে খান মাসুদের মত ত্যাগীদের এখন খুব বেশি প্রয়োজন। নির্বাচনী বছরে ত্যাগীদের নীরব না, রাজপথে থাকার নির্দেশ দেয়ার প্রয়োজন প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদের।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা