
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট অবশেষে দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল। আগামী ১৭ জুন এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। তবে সম্মেলনস্থল এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। এদিকে দীর্ঘদিন পর জেলা বিএনপির এই কাউন্সিলকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। জানা যায়, এবার জেলা বিএনপির কাউন্সিল অন্যান্য সময়ের তুলনায় অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে করা হবে। সেই লক্ষ্যে নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগে ফতুল্লা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এদিকে জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চলছে নানা হিসেব নিকেশ। কে হবে জেলা বিএনপির পরবর্তী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে গিয়াসউদ্দিনের নাম বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। তার সঙ্গে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বি করবে না এমনটাই শোনা গেছে। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী হতে পারেন। সেজন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের নজর এখন ১৭ তারিখের কাউন্সিলের দিকে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক হয়। যে বৈঠকে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মামুন মাহমুদ ছাড়া সবাই উপস্থিত ছিলেন। পরে এ নিয়ে আরেকবার বৈঠক হয়। সম্মেলনস্থল হিসেবে সোনারগাঁ, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের জিআর টেক্সটাইল মিল এই তিনটি স্থান প্রস্তাব করেছে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তবে এখনও সম্মেলনস্থল নির্ধারণ করা হয়নি। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে জেলা বিএনপির সম্মেলন গিয়াস উদ্দিনের মালিকানাধীন জিআর টেক্সটাইল মিলে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এই সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যুক্ত থাকার কথা রয়েছে। এছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে এইসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে তাদের ১০ টি ইউনিটে কমিটির ১০১ জন করে কাউন্সিলর রয়েছেন। সে হিসেবে সারা জেলাজুড়ে ১ হাজার ১০ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এদের থেকে যেকেউ জেলা বিএনপির কমিটিতে প্রার্থী হতে পারবে। সেদিনের সম্মেলনে ভোটাভুটির মাধ্যমে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানা গেছে। জেলা বিএনপির ইউনিটগুলো হলো রূপগঞ্জ উপজেলা, সোনারগাঁ উপজেলা, আড়াইহাজার উপজেলা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, ফতুল্লা থানা, সোনারগাঁ পৌরসভা, কাঞ্চন পৌরসভা, তারাব পৌরসভা, গোপালদী পৌরসভা ও আড়াইহাজার পৌরসভা। এর আগে ২০০৩ সালে জেলা বিএনপি’র সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক রেজাউল করিম ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। ওয়ান ইলেভেনের সময় সংস্কারবাদী হিসেবে অধ্যাপক রেজাউল করিমের নাম আলোচনায় থাকায় ২০০৯ সালের ২৫শে নভেম্বর শহরের আলী আহমেদ চুনকা পৌর মিলনায়তনে জেলা বিএনপি’র সর্বশেষ সম্মেলনে তাকে বাদ দেয়া হয়। সর্বশেষ সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকারকে সভাপতি ও কাজী মনিরুজ্জামানকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাধরণ সম্পাদক করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছরেও তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি। এর ফলে ২০১৭ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ না দেখায় সাড়ে ৩ বছর পর জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে ২০২০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর কেন্দ্র থেকে পুনরায় এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। নির্দেশনা ছিল ৩ মাসের মধ্যে থানা,উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও এই আহ্বায়ক কমিটি সবগুলো ইউনিট কমিটি গঠনের কাজ শেষ করতে পারেনি। এরমধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে মেয়র নির্বাচন করায় তৈমূর আলমকে আহ্বায়কের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় মনিরুল ইসলাম রবিকে। দুই বছরের মাথায় একই বছরের ১৫ই নভেম্বর মনিরুল ইসলাম রবি ও মামুন মাহমুদের আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দিয়ে কেন্দ্র থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই সাথে কমিটিতে ১ম যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন মামুন মাহমুদ। অন্যান্য যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন মনিরুল ইসলাম রবি, শহিদুল ইসলাম টিটু, মাসুকুল ইসলাম রাজীব, লুৎফর রহমান খোকা, মোশারফ হোসেন ও জুয়েল আহমেদ। এই কমিটি হওয়ার পরেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে জেলা বিএনপি। গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে জেলা বিএনপিসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আগের তুলনায় আরো সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী হতে থাকে। এ কমিটি গঠন হওয়ায় ৯ দিন পরই কেন্দ্রের নির্দেশে বড় শোডাউন করে চমক দেখায় জেলা বিএনপি।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯