বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সম্মেলন এবং কমিটি গঠন নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিএনপির রাজনীতিতে সংশ্লিষ্টরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ১৭ জুনের সম্মেলন নিয়ে। জেলা বিএনপির কাউন্সিলে যারা ভোট দিবেন এ নিয়েও চলছে নানা হিসেব নিকেষ। ভোটের পাল্লা কার দিকে ভারী বেশী, কার সমর্থক বেশী ভোটারদের কিভাবে ম্যানেজ করা যায় এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। কাউন্সিলকে নিজের মতো করে সাজাতে গিয়াসউদ্দিন এবং তার অনুসারীরা কাজ করে যাচ্ছেন। গিয়াসউদ্দিন জেলা বিএনপির সভাপতি হবেন তা নিশ্চিত করার জন্য নানামুখী কাজ করছেন তিনিসহ তাঁর অনুসারীরা। অন্যদিকে থেমে নেই সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। তিনিও তার অনুসারীদের মাঠে নামিয়েছেন ভোটার তার বাগে আনার জন্য। জেলা বিএনপির সভাপতি পদে একাধিক নেতার নাম শোনা গেলেও মূলতঃ হেভিওয়েট প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন এবং মামুন মাহমুদ। এ দু’জনকে ঘিরে কাউন্সিলর এব দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ, আগ্রহ লক্ষকরা গেছে। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্যও একাধিক নেতা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তবে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিবের নাম সর্বত্র শোনা যাচ্ছে। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা এ নেতার গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। বিগত দিনে রাজিবের সাহসিকতার প্রমাণ দিয়েছেন। সব সময় রাজপথে থেকে সামনের সাড়িতে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ফলে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার প্রতিযোগিতা রাজিব সবার চেয়ে কয়েক দাপ এগিয়ে রয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপির একাধিক সূত্র। বিএনপির রাজনীতিতে সংশ্লিষ্টরা জানায়, এবারের কাউন্সিল নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ ১৪ বছর পর জেলা বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে তৃনমূলের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। ভাঙ্গা গড়ার খেলার মাঝে সব কিছু ঠিক থাকলে ১৭ জুন যোগ্য নেতৃত্ব পাবেন জেলা বিএনপি। এখন যোগ্য নেতৃত্ব পেতে হলে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে হবে কঠোর ভাবে। কারণ জেলা বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে যে বিরোধ, বিশৃঙ্খলা হয়। আসন্ন কাউন্সিলে এমন প্রত্যাশা করেননা নেতাকর্মীরা। সুশৃঙ্খল একটা কাউন্সিল হবে এমন প্রত্যাশা তৃনমূলের হলেও, জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ কি ভূমিকা পালন করে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল।