আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:২০

কাউন্সিলর শাহেনশাহ’র ডিগবাজি

ডান্ডিবার্তা | ১২ জুন, ২০২৩ | ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ

বন্দর প্রতিনিধি বন্দরের এক সময়ের আলোচিত-সমালোচিত ত্রাস ও দূর্ধষ সন্ত্রাসী কাউন্সিলর শাহেনশাহ আহমেদ পুনরায় বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুধু যোগদান নয়, রীতিমত বিএনপির রাজনৈতিক মহলে অনেকটা আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু শাহেনশাহ আহমেদ। গত ৯ জুন কাউন্সিলের মাধ্যমে মহানগর (বন্দর থানা) শাখা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিএনপির রাজপথের সক্রিয় ও কারা নির্যাতিত নেতা নূর মোহাম্মদ পনেছ। এক সময়ের ইন্টারপোলের আসামী দীর্ঘদিন পলাতক থেকে সরকারদলীয় শীর্ষ নেতাদের আর্ষিবাদে মহাজোট সরকার আমলে জন্মস্থান নাসিক ২০ নং ওর্যাডের সোনাকান্দা এলাকায় আসেন। বিএনপির রাজপথের সক্রিয় নেতা হয়েও সরকারদলীয় নেতাদের মত এলাকায় পূর্বের দাপট দেখাতে শুরু করেন। রড, বালু, সিমেন্টের ব্যবসার পাশাপাশি জায়গার ব্যবসাসহ সোনাকান্দা হাট সংলগ্ন বিশাল ডক ইর্য়াডের মালিক বনে গেছেন শাহেনশাহ আহমেদ। নিজের অবস্থান জানান দিতে স্থানীয় সরকার দলীয় রাজনৈতিক শীর্ষ নেতাদের শেল্টার নেয়া শুরু করেন। ঝোপ বুঝে কুপ মারতে ভুল করেননি শাহেনশাহ আহমেদ। বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহেনশাহ আহমেদ ২০ নং ওর্য়াডকে নিজের আয়ত্বে নিতে নতুন কৌশল আটেন ২০২১ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর। বিএনপি-জামায়াত ইসলামীর কোন নেতাকর্মীকে আওয়ামীলীগে প্রয়োজন নেই, এবং তাদের যোগদান বিষয়ে কঠোরভাবে নিষেধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই শেখ হাসিনার জন্ম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে বিএনপির ত্রাস শাহেনশাহ আহমেদ ফুল দিয়ে নৌকায় পালে উঠেন। বন্দর উপজেলা প্রাঙ্গনে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর-বন্দর আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধানসহ দলীয় নেতাকর্মী। ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শুধু ফুলের তোরা হাতে আওয়ামীলীগে যোগদানের নাটক করে। যা জজ মিয়ার নাটককে হার মানিয়েছে। তার মনের বাসনা পূরন হওয়ার পূর্বের রুপে অবস্থান নিয়ে আরো আলোচনায় এসেছেন। কাউন্সিলের মাধ্যমে গত ৯ জুন বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন কাউন্সিলর শাহেনশাহ আহমেদ। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাওয়াকে ভাল দৃষ্টিতে দেখছে না রাজনৈতিক বৌদ্ধরা। বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান কোন উদ্দেশ্য শাহেনশাহ আহমেদকে নিজ দলের সমর্থন দিয়েছিল এমনই প্রশ্ন সর্বত্র। বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কাজিম উদ্দিন প্রধান কি নিজের কোন অবস্থান সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছিল। আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে নাসিক ২০নং ওর্য়াডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন বিএনপির শাহেনশাহ আহম্মেদ। যে ওর্য়াডে আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট প্রার্থী থাকলেও দলেও পরোক্ষে সমর্থনে শাহেনশাহ কাউন্সিল নির্বাচিত হন। আওয়ামীলীগে যোগদান করার পর এক প্রতিক্রিয়াই শাহেনশাহ আহমেদ বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি তথা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। বন্দর থানা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম। দল করে জেল, জুলুম সহ্য করেছি, নিজে কিছু পাইনি। তাই আমি সব ভুলে আওয়ামী রাজনীতি মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যোগদান করলাম। এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান বলেন, শাহেনশাহ একজন খারাপ প্রকৃতির লোক। এক সময়ের দূর্ধষ সন্ত্রাসী নানা অপকর্মের হোতা। আমাদের দলে তারমত লোককে যোগদান করানো হয়নি। ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলায় একটি অনুষ্ঠান চলছিল। যে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ভাই। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে শাহেনশাহ বিএনপির লোকজন নিয়ে ফুলের তোরা নিয়ে এমপি সাহেবের হাতে দিতে চাইলে এমপি সাহেব বলেন কাজিম ভাই ও রশিদ ভাইয়ের হাতে ফুল দেন। তিনি আরো বলেন, আমি স্ট্যাজে বলেছি ওই খারাপ লোক। ওদের মত লোক সুবিধা নিতে এসেছে। ফুল দেয়ার পর একটি অনুষ্ঠানেও তাকে দেখাতে পারবেন না। ওর ইচ্ছে ছিল কাউন্সিলর হওয়ার সেটা পূরণ হয়েছ। বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি (সোনালী অতীত) নাজমুল হাসান আরিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর কণ্যা পরিস্কার ভাষায় বলে দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াতে কোন লিষ্টেট আমার দলে প্রয়োজন নাই। আমার দূর সময়ের ১১ লাখ কর্মী দূরে সরে আছে। যে কর্মীবাহিনী নিয়ে রীতিমতো আরেকটা যুদ্ধ করে দল ক্ষমতায় এসেছে। সেই অভিমানী কর্মীদের মূল্যায়ন করুন। দল ও সংগঠন চাঙ্গা হবে। দলে কোন অনুপ্রবেশকারীদের প্রয়োজন নাই। বন্দর থানা আওয়ামীলীগের নেতা ও যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস আই জুয়েল বলেন, একটি অনুষ্ঠানে শাহেনশাহ ফুল দিয়েছে কিন্তু কখনো আওয়ামীলীগ করে নাই। তারমত সন্ত্রাসীকে মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের শক্তি আওয়ামীলীগ গ্রহণ করে নাই। এরকম হাজার হাজার বিএনপি-জামায়াতের লোক কৌশলে ঢুকে পড়েছে। তারা টাকার বিনিময়ে পদ পদবীর পায়তারা করছে। তাদের কারনে ত্যাগীরা আজও কোনঠাসা ও অবমূল্যায়ন হচ্ছে। আমাদের রাজপথের ত্যাগী ১১ লাখ কর্মী অভিমান করে দূরে সরে আছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এ নির্দেশগুলো মেনে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন। যুবলীগ নেতা খান মাসুদ বলেন, শাহেনশাহ আহমেদ একজন বিএনপির ও এ সময়ের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। আওয়ামীলীগের মত এমন বৃহত্তম সংগঠনে তারমত তারকাখ্যাত সন্ত্রাসী একটি অনুষ্ঠানে শুধু ফুল দিতে শুনেছি। যে অনুষ্ঠানে ফুল দিয়েছিল তারপর কোন সরকারদলীয় কর্মসূচীতে তাকে দেখেনি। এমনকি আওয়ামীলীগ তারমত সন্ত্রাসীকে গ্রহণ করেনি। এ বিষয়ে নাসিক ২০নং ওর্য়াড কাউন্সিলর ও বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহমেদের মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিলেও রিসিভ করেনি। এদিকে শাহেনশাহ আহমেদ’র ছন্দ পতনকে (দল বদলকে) ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন সচেতন মহল।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা