
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মাহনগর বিএনপির বিদ্রোগী গ্রুপের মধ্যে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। একের পর এক বিদ্রোহী গ্রুপ ছেলে মূল গ্রুপে চলে যাচ্ছেন। এতে করে বিদ্রোগীর পাল্লা ছোট হয়ে আসছে। জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটির নেতৃবৃন্দরা বর্তমানে দলকে আরো শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করার লক্ষে ব্যাপক কার্যক্রম অবহৃত রেখেছে। তার পাশাপাশি দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে মহানগর বিএনপি নানা বাধা অতিক্রম করে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেই যাচ্ছে। এমতা অবস্থায় নানা চড়াই উতরাই পাড় করে দফায় দফায় মহানগরের আওতাধীন সকল ইউনিয়ন, ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করেছে। এখন আবার দ্বি-বাষির্কী সম্মেলনের মাধ্যমে মহানগরীর আওতাধীন থানা কমিটিগুলো যোগ্য নেতৃত্বদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। জানা গেছে, ইতিপূর্বে নগর বিএনপি থেকে শুরু করে মহানগর বিএনপি পর্যন্ত যারা নেতৃত্বে এসেছেন তারা আজো পর্যন্ত মহানগরের আওতাধীন সকল কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়নি। কিন্তু দীর্ঘ বছর পর এবার সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বে মহানগরের সকল কমিটি গঠন হয়েছে। এছাড়াও মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের পর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল কমিটি থেকে বেড়িয়ে বিদ্রোহীর পথ বেছেঁ নেয় তার নেতৃত্ব একাংশ নেতাকর্মী কমিটি ছেড়ে বেড়িয়ে মুকলের নেতৃত্বে রাজপথে আলাদা ব্যানারে আন্দোলন সংগ্রাম করতে দেখা গেছে। তারাপাশাপাশি মহানগর বিএনপির মূল কমিটির সাথে পাল্টাপাল্টিভাবে কমিটি গঠন করা শুরু করে। কিন্তু যুদ্ধে নেমে কিছু কমিটি গঠন করেই ঝিমিয়ে পরে। এমনকি দলীয় নানা কর্মসূচি থেকেও পিছিয়ে পরে। কিন্তু কোনভাবে দাবিয়ে রাখা যায়নি মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের তারা সকল ওয়ার্ড কমিটি গঠনের ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে মুকল ব্যথিত বিদ্র্রোহীদের কমিটিকে মূল নেতৃত্ব দেওয়া ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন ও আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নূর উদ্দিন হাজী সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বে একত্মতা প্রকাশ করেন। যার কারণে ভেঙ্গে যাচ্ছে বিদ্রোহীদের অংশ। এমনকি কিছুদিনের মধ্যে আরো বেশ কিছু নেতাকর্মীও বিদ্রোহীদের কাছ থেকে বেড়িয়ে মূল কমিটির সাথে একত্মতা প্রকাশ করতে পারে বলেও মনে করছেন বিএনপির কিছু নেতাকর্মী। জানা গেছে, ভারী পাল্লা হাল্কা হতে শুরু করায় অনেকটাই দুশচিন্তায় রয়েছে আতাউর রহমান মুকুল। বিদ্রোহীদের এক সূত্র দ্বারা জানা যায়, আতাউর রহমান মুকুল মনে করেছিলেন মহানগর বিএনপির মূল কমিটির নেতাদের ভাটায় ফেলবেন কিন্তু অবশেষে সময় তাদেরকেই ভাটায় ফেলে দিয়েছে। এছাড়াও বিদ্রোহীদের হাতে সদর থানা, বন্দর থানা, বন্দর উপজেলার যে কমিটির দায়িত্বরত প্রথম স্বাক্ষর দিয়েছিলেন ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন সে অবস্থায় বিদ্রোহীরা সেই কমিটিগুলোকে বৈধ কমিটি হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে বিদ্রোহীদের থেকে আলাদা হয়ে এড. সাখাওয়াত ও এড. টিপুর নেতৃত্বধীন মহানগরের কমিটিতে যোগদান করেছেন। তাই তার দায়িত্ব দেওয়া কমিটিকে ও বর্তমানে অবৈধ বললেই চলে। এছাড়া মহানগরের মূল নেতৃত্ব পাওয়ার লোভে বিএনপি থেকে ঝড়ে পরার দারপ্রান্তে দাড়িয়ে আছেন বিদ্রোহী নেতৃবৃন্দরা। তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, কেন্দ্রীয় দায়িত্ব থেকে বড় কিছু হতে পারে না। যারা বিদ্রোহীতা করেছেন তাদের এটা করা ঠিক হয়নি। কারণ বর্তমানে দলের দূরসময় চলছে এখন সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকা অতন্ত জরুরী। কিন্তু মূল কমিটির সাথে যুদ্ধ করে হারিয়ে যেতে বসেছেন মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী একাংশ নেতাকর্মী। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্ববর এড. সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহ্বায়ক ও এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে মহানগর বিএনপিকে আরো গতিশীল করার লক্ষে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এই কমিটিকে না মেনে কমিটি থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে মূল কমিটি থেকে বিদ্রোহীত করে। আর আলাদা ব্যানারে মহানগর বিএনপির সকল দলীয় কার্যক্রম পালনে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করেন। বিদ্রোহীরা হলেন, ১নং যুগ্ম-আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন,যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নুরুদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল এবং যুগ্ম আহ্বায়ক সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা, সদস্য আওলাদ হোসেন, হান্নান সরকার অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন। মনোয়ার হোসেন শোখন, আলমগীর হোসেন, ফারুক হোসেন, শহীদুল ইসলাম রিপন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, আমিনুর ইসলাম মিঠু, মো. ফারুক হোসেন ও অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু। কমিটির ৫ জন যুগ্ম আহ্বায়কই ছিলেন বিদ্রোহী যার কারণে সকল সময় উচ্চ স্বরে দাপটে দেখা যেতে বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের। কিন্তু সেই সময় মূল কমিটিতে ও ৫ জন যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন। মাস খানেক পরেই মূল কমিটির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের সাথে একত্মতা প্রকাশ করে। এমনকি আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনায়োর হোসেন আনুও বেড় হয়ে বিদ্রোহীদের সাথে আসার জন্য গড়িমসি করছিলেন শোনা গিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে তাকে আর বিদ্রোহীদের সাথে আসতে দেখা যায়নি। কিন্তু এম এইচ মামুন তাদের সাথে একত্মতা প্রকাশের পর থেকেই তাদের কার্যক্রমের তৎপরতা আরো বৃদ্ধি পায়। সেই সময় তারা মূল কমিটিকে কোন পাত্তা না দিয়েই সদর থানা, বন্দর থানা, বন্দর উপজেলায় কমিটি গঠন শুরু করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সংগঠনটিতে। আর সাখাওয়াত ও টিপুর দায়িত্বরত মূল কমিটিতে ভাঙ্গার নানা মিশন শুরু করে বিদ্রোহী গ্রুপ। কিন্তু নানা বাধা অতিক্রম করে কোন দিকে না তাকিয়ে দলকে সুসংগঠিত করার মিশন বেছে নিলেন মহানগর বিএনপির মূল কমিটির নেতাকর্মীরা। সংযমের মাসে ব্যাপক তৎপরতা দেখিয়ে ওয়ার্ড কমিটি গঠন শুরু করলো মহানগর বিএনপি আর গত ৫জুন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীনের পর সর্ব প্রথম ১৭টি ওয়ার্ড ও ৭টি ইউনিয়নের কমিটির মাধ্যমে সফলতা অর্জন করেন এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপু। বর্তমানে মহানগর বিএনপির সম্মেলন নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছে তারা। এছাড়াও বিদ্যোহী নেতাকর্মীদের থেকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির ও আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নূর উদ্দিন কমিটি থেকে বেড়িয়ে সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বে একতত্মতা প্রকাশ করে। যার কারণে সকলের ঐক্যবদ্ধতায় আরো শক্তিশালী হয়ে উঠে মহানগর বিএনপির রাজনীতি। বর্তমানে বিদ্রোহীদের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক এম এইচ মামুন দেশের বাহিরে ভ্রমন করছেন। আর আরেকজন যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা বিদ্রোহীদের সাথে আন্দোলন সংগামে তাকে অনেকটাই কম দেখা যায়। যার কারণে যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল ও সেন্টুর নেতৃত্বেই বিদ্রোহী বর্তমানে কোন রকম রয়েছে। নেতাকর্মীদের দাবি, কয়েকদিন পর সদস্যদের ও মূল কমিটিতে আসার হিড়িক পরতে পারে। যার কারণে দেখা যাচ্ছে মহানগর বিএনপির সফলতায় ফ্লপে পরে গেছেন বিদ্রোহীরা।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯