আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:১৯

রাজপথ থেকে লাপাত্তা আ’লীগ!

ডান্ডিবার্তা | ১৪ জুন, ২০২৩ | ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দাবি ধাওয়া নিয়ে রাজপথে অবস্থান নিয়েছেন জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এমনকি দাবি আদায়ে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের কার্যালয় ভাংচুরসহ লিপ্ত হচ্ছে সংঘর্ষে। এমনকি বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণ সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতা কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো প্রস্তুতি নেই। গণ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা নানাভাবে প্রস্তুতি নিতে থাকলেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একেবারেই নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তাদের কোনো কার্যক্রমই পরিলক্ষিত হচ্ছে না। অবস্থা এমন মনে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে যেন কোনো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীই নেই। তবে, জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ বলছে, বিএনপিসহ তাদের শরীক দলগুলোর রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছেন তারা। দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রের নির্দেশনা পাওয়ার সাথে সাথেই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ রাজপথে অবস্থান করবেন। ক্ষমতাসীনদলের নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ যে সময়টাতে রাজপথে অবস্থান করবেন সে সময় দেখা যাবে বিএনপির একটি কর্মীও রাজপথে নেই। নারায়ণগঞ্জের রাজপথ থাকবে ক্ষমতাসীনদলের দখলে। সূত্র বলছে, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকা বিভাগীয় গণ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। আর এই সভা সফল করা বিএনপি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে শুর” করছে। ইতোমধ্যে তারা বিভাগে বিভাগে গণসমাবেশ করেছেন। সর্বশেষ তারা ঢাকায় গণ সমাবেশ করবেন। যেখান থেকে চূড়ান্ত রূপরেখা আসবে। আর সেই গণসমাবেশ কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জেও বিভিন্ন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা প্রস্তুতি শুর” করেছেন। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং তাদের সহযোগি সংগঠনগুলো ঢাকার সমাবেশে নেতাকর্মীদের বিশাল বহর নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য জোরালোভাবে প্রস্তুতি নিতে শুর” করেছেন। সেই সাথে ব্যক্তি পর্যায়েও অনেকেই প্রস্তুতি চলছে। তবে এই গণ সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতার সম্ভাবনাও থেকে যাচ্ছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। কিন্তু এই ধরনের কোনো ঘটনা এড়াতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং তাদের সহযোগি সংগঠনগুলোতে কোনো ধরণের প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না। সেই সাথে ব্যক্তি পর্যায়েও কোনো প্রস্তুতি নেই। ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হলেও বিএনপির গণ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকলেই যেন নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তাদের কোনো কার্যক্রমই পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এরই মধ্যে দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর পর গত ২৩ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ। শহরের ইসদাইর এলাকার ওসমান পৌর স্টেডিয়ামে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়। সেই সাথে রং বেরঙয়ের ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে দেয়া হয় পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর। পাশাপাশি শহরের প্রধান সড়কে কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানানোর পাশাপাশি সম্মেলনের সফলতা কামনা করে বানানো হয়েছিল বহুসংখ্যক তোরন। নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করে সাজ সাজ রব। সেই সাথে সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কমিটির ঘোষণা দেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে কৃষি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি এবং প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ্য বলেন, তত্ত্বাবধায়কের আশা বাদ দিন। উচ্চ আদালত এটা বাদ দিয়েছে। আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সরকার কোন হস্তক্ষেপ করবে না। আগামীতে মোকাবেলা হবে। ফখর”ল সাহেব কান পেতে শুনুন। আগামী ডিসেম্বরে গর্জন শুনতে পারবেন। সাগরের গর্জন শুনবেন মনে রাখবেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, কাপুর”ষের মত আর রাজনীতি করবে না বলে বিএনপির নেতা লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন। তিনি হলেন হাওয়া ভবনের সেই যুবরাজ। খেলা হবে সেই হাওয়া ভবনের লুটপাটের বির”দ্ধে। এ সময়ে দেশে শেখ হাসিনার চেয়ে সৎ মানুষ, ভালো মানুষ, যোগ্য মানুষ আর রাজনীতিতে নাই। বাংলার মানুষও এ শেখ হাসিনাকে চায়। বৈশ্বিক সঙ্কটে আমাদের দায়ী করবেন না। আগে আমাদের কোন সঙ্কট ছিল না। শেখ হাসিনার ঘুম নাই। সারারাত জেগে থাকেন। শেখ রেহেনা এখন লন্ডনে বাসে যাতায়াত করেন। তাদের ঘুম নাই জনগণের জন্য। তবে এই সম্মেলনের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ যেন নিরব হয়ে পড়েছেন। কয়েকটি দলীয় কর্মসূচিতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের দেখা মিললেও তারা দুইভাগে বিভক্ত ছিলেন। এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে পরপর কয়েকটি কার্যকরি কমিটির সভা হলেও এখন তাদেরও তেমন কার্যক্রম দেখা মিলছে না। সেই সাথে নতুন কমিটিরও আর দেখা মিলছে না। তারাও যেন নিরব হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানও যেন নিরব হয়ে পড়েছেন। তারও কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। অথচ তিনি এর আগে বিভিন্ন সময় অনেকটা নিজ স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়েই বড় বড় সমাবেশ করেছেন। কিন্তু এবার বিএনপির গণ সমাবেশকে কেন্দ্র করে তার কোনো কার্যক্রমই দেখা যাচ্ছে না। বিপরীতে বিএনপি কয়েকদিন পরপরই একের পর এক সমাবেশ করে যাচ্ছেন। যে সকল সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতিও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যা নারায়ণগঞ্জ বিএনপি শক্তিশালী হওয়ার প্রমাণ রাখে। অথচ ক্ষমতায় থেকেও আওয়ামী লীগ সেই প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা