আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:১১

রাজিব-খোকনকে ঘিরে উৎকণ্ঠা তৃণমূলে!

ডান্ডিবার্তা | ১৫ জুন, ২০২৩ | ১২:০৫ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট অবশেষে দীর্ঘদিন ১৪ বছর পর আগামী ১৭জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন। এতে করে দলটির দীর্ঘদিনের আহ্বায়ক কমিটিরও অবসান ঘটতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা মাশুকুল ইসলাম রাজিব ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন। কে হবেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক-এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে রয়েছে উৎকণ্ঠা। জেলা বিএনপির সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে এবার নতুন মুখ আসছে। কারণ, যে দুইজন প্রার্থী হয়েছেন তারা এবার প্রথমই এ পদে লড়াই করছেন। প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। ভোটের আগেই নিজেদের জয় সুনিশ্চিত করতে দুই প্রার্থীই ছুটছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে। তাদের দাবি দীর্ঘদিন যারা দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিল এবং আগামীতে আন্দোলন-সংগ্রামসহ সুখে-দুঃখে নেতাকর্মীদের পাশে থাকবেন, তারাই যেন ভোটের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দলটির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা বিএনপির কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সাহসী কর্মীবান্ধব নেতা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব। জেলা বিএনপিকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার জন্য মাসুকুল ইসলাম রাজিবের বিকল্প নেই। সাফল্যের সাথে ছাত্ররাজনীতির অধ্যায় শেষে এখন মূলদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দক্ষতার সাথে। নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়েই রয়েছে তার বিশাল কর্মী বাহিনী। ২০১৫ সালের ৫ই জানুয়ারি বিএনপির আন্দোলনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন রাজিব। রাজিবের মিছিলে প্রকাশ্যে গুলিও করা হয়েছিল তারপরও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথ ছাড়েননি রাজিব। সরকারবিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে হয়েছেন অর্ধশতাধিক মামলার আসামি হয়ে মাসের পর মাস জেলও খেটেছে। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপির নেতাকর্মীদের জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন রাজিব। আগামী দিনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামকে আর গতিশীল করতে তরুণ নেতৃত্ব মাশুকুল ইসলাম রাজিবকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দেখতে চায় তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করতে রাজিবের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন বর্তমানে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক পদে রয়েছেন। এর আগে তিনি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। খোকন নামেই মাত্র জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক পদে ছিলেন। বিগত দিনে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দলীয় কোনো কর্মসূচিতে খোকনকে সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি। রূপগঞ্জে খোকনের বাড়ি হলেও বিগত সময় বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে রূপগঞ্জের কোন কর্মসূচি পালন করতে পারেনি এই খোকন। শুধু তাই না জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হয়েও খোকন রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও দুটি পৌরসভার সম্মেলন রূপগঞ্জে করতে পারেনি। ঢাকার একটি বাসায় বসে সম্মেলন করে কমিটি গঠন করে। তবে ঢাকার কর্মসূচিতে ঠিকই থাকতেন কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখানোর জন্য। তার বিরুদ্ধে নেই কোনো মামলা এবং জেলও খাটেননি। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় এক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু’র আশিবাদে তিনি এসকল পদে অসীম হয়েছেন। এখন তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন করতে চায়। তবে তৃণমূল জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা নিষ্ক্রিয় খোকনকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চায় না। কিন্তু খোকনকে সাধারণ সম্পাদক করার জন্য উঠে পরে লেগেছেন কেন্দ্রীয় নেতা মুস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া। দিপু ভূঁইয়া জেলা বিএনপিতে একতন্ত্র প্রভাব বিস্তার করার জন্য খোকনের পক্ষে বিশাল পরিমাণ অর্থ নিয়ে কাউন্সিলরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বলে জানা গেছে। জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব হওয়ার পরও দলীয় কোনো কর্মসূচিতে দেখা তেমন দেখা যায়নি খোকনকে। এই নিয়েও দলীয় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার মতো নেতাকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায় না তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীরা এমনটাই দাবি জানিয়েছেন। এদিকে জেলা বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও নির্বাচনকে সফল করার লক্ষ্যে গঠন করা হয়েছে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন। গত মঙ্গলবার ছিল সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার শেষ দিনে সভাপতি পদে সাবেক এমপি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা মাশুকুল ইসলাম রাজিব ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দেন। এসময় সভাপতি প্রার্থী হিসেবে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন একাই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দুজন সংগ্রহ করেন। সভাপতি পদে অন্য কোন প্রার্থী না থাকায় এককভাবে সভাপতি হন মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। এর আগে গত সোমবার রাতে তফসিল ঘোষনা করেন রিটার্নিং অফিসার অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল। সম্মেলনের ভোট গ্রহনের তারিখ ১৭ জুন সকাল ১০টা হইতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ১ হাজার ১০ জনের চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এড. সামসুল আরিফীন। প্রায় ১৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ কাউন্সিল। তাই কাউন্সিলকে ঘিরে রয়েছে ব্যাপক উদ্দীপনা। এর মাঝে কাউন্সিলকে সফল করতে গঠন করা হয়েছে ৬টি উপ- কমিটি। কাউন্সিলে ১০১০ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন ও বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৫০০ ডেলিগেট উপস্থিত থাকবেন। কাউন্সিলে আমন্ত্রণ জানানো হবে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার অন্তত ১শ জন অতিথিকে। এর আগে ২০০৩ সালে শহরের চাষাড়ায় বিএনপির ক্ষমতাকালীন জিয়া হলে দলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত অধ্যাপক রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক হন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা এড. তৈমূর আলম খন্দকার ও সিনিয়র সহ-সভাপতি হন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও তৎকালীন সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা