আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ১০:১২

আজ সেই ভয়াল ১৬ জুন

ডান্ডিবার্তা | ১৬ জুন, ২০২৩ | ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে সবচে’ ঘৃণিত ও ভয়াবহ একটি দিন ১৬ জুনের বোমা হামলা। যা আজও অনেককে করে শিহরিত। ২০০১ সালের এই দিনে চাষাড়ার শহীদ মিনারের পাশে আওয়ামী লীগের অফিসে বোমা হামলা হয়। এতে নারী-পুরুষসহ ২০ জন নিহত হয়েছিলেন। তারা প্রায় সকলেই ছিলেন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। চাষাড়া আওয়ামী লীগের অফিসে বর্বরোচিত বোমা হামলার ঘটনার ২২ বছর পেরুল আজ। দীর্ঘ এত বছর পরও এই ঘটনার বিচার এখনও পায়নি নিহতের স্বজনেরা। অভিযোগ রয়েছে, বোমা হামলার ঘটনায় ২২ বছর ধরে কেবল রাজনীতিই হয়েছে, বিচারের দাবিতে জোরালো কোনো পদক্ষেপ কেউ গ্রহণ করেনি। বোমা হামলা ঘটনার পর দায়ের করা দু’টি মামলায় আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েলেও বিচারকার্য সম্পন্ন করা এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়ে ওঠেনি। প্রতিবছর এ দিনটি ঘটা করে পালন করা ছাড়া আর কিছুই হয়নি। তবে সূত্র বলছে, চার্জশিট প্রদানের পর থেকে এখনও পর্যন্ত স্বাক্ষ্য গ্রহণই শেষ করতে পারেনি আদালত। যার কারণে এই মামলার রায় প্রদান করা সম্ভব হয়নি ২২ বছরেও। ১৬ জুন বোমা হামলার ঘটনায় নিহত ২০ জনের মধ্যে একজন নারীর পরিচয় আজও শনাক্ত করতে পারেনি প্রশাসন। কে ছিল সে নারী তার হদিস এখনও পর্যন্ত জানাতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ আওয়ামী লীগ দলীয় কেউ। ১৬ জুন বোমা হামলায় ২০জন নিহত হওয়া ছাড়াও আহত হয়েছিলেন তৎকালীন ও বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ শতাধিক নেতাকর্মী। ওইদিন চাষাড়া শহীদ মিনারের পাশে আওয়ামী লীগ অফিসে এমপি শামীম ওসমানের পূর্ব নির্ধারিত গণসংযোগ কর্মসূচি চলাকালে এ বোমা হামলা হয়। ঘটনার পরদিনই শহর (বর্তমানে মহানগর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বাদী হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করে হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা করেন। চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। তবে দীর্ঘ তদন্ত শেষে সবশেষ ২০১৪ সালের ২ মে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে মুফতি হান্নানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। কিন্তু উপযুক্ত সাক্ষী-প্রমাণের অভাবে শেষ হয়নি মামলার বিচারিক কাজ। চার্জশিটে অভিযুক্ত ৬ জনের একজনকে ইতিমধ্যে অন্য মামলায় ফাঁসি দেয়া হয়েছে আর একজন কারাগারে ও দুইজন ভারতের কারাগারে এবং একজন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ও একজন ক্রসফায়ারে নিহত। আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এর এক যুগ পর তথা ২০১৪ সালে ২ মে ৯৪৭ পাতার চার্জশিট প্রদান করে সিআইডি। চার্জশিটে বিএনপির ৩১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং অভিযুক্ত করা হয় ৬ জনকে। অভিযুক্তরা হচ্ছেন, ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার ঝিলটুলী গ্রামের নজরুল বারীর ছেলে আনিসুল মোরসালিন এবং তার ভাই মাহবুবুল মোত্তাকিন, ক্রসফায়ারে নিহত যুবদল নেতা মমিনউল্লাহ ডেভিড ও মাহবুবুল্লাহ তপনের ছোট ভাই শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, উত্তর চাষাড়া এলাকার ওবায়দুল হক এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন কিসমত হাশেমের ছোট ভাই ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু। তাদের মধ্যে মোরসালিন ও মোত্তাকিন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ভারতের একটি কারাগারে রয়েছেন। তাদের এদেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। তারা ১৬ জুন বোমা হামলার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথাও স্বীকার করেছেন। মুফতি হান্নান ও শাহাদৎ উল্লাহ জুয়েল ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলাও মামলায় অভিযুক্ত। তাদের একজন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অপরজন মুফতি হান্নানের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। অপর দুই অভিযুক্তর মধ্যে ওবায়দুল হক দীর্ঘদিন ধরে বিছানায় শায়িত এবং শওকত হাসেম শকু ১২নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাকে প্রায় সময় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের সাথে দেখা যায়। ১৬ জুন চাষাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে বর্বরোচিত বোমা হামলার পরদিন অ্যাডভোকেট খোকন সাহার দায়ের দুইটি মামলায় (একটি বিস্ফোরক অন্যটি হত্যা) জেলা বিএনপির তৎকালিন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে প্রধান করে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের মোট ২৭ জনকে আসামি করা হয়। ২২ মাস পর ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে উভয় মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দেয় পুলিশ। এতে বলা হয়, ‘উল্লেখিত ২৭ জনের কেউই চাষাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে ১৬ জুন ২০০১ সালের বোমা হামলায় জড়িত নয়। যদি ভবিষ্যতে অত্র মামলার তথ্য সম্বলিত ক্লু পাওয়া যায় তবে, মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার ব্যবস্থা করতে হবে।’ এর আগে ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বোমা হামলার ঘটনায় নিহত চা দোকানি হালিমা বেগমের ছেলে আবুল কালাম বাদি হয়ে শামীম ওসমান, তার ভাই নাসিম ওসমান, সেলিম ওসমান সহ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৫৮ নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরবর্তি সময়ে উচ্চ আদালত এ মামলাটি খারিজ করে দেন। এমন নাটকিয়তায় এবং ২০০৩ সালে আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট করার মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এই বোমা হামলা মামলাটি চলে যায় গিমাগারে। ছয় বছর পরে সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ২ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয় এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত শেষ করে তা নিষ্পত্তি করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয। আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এর এক যুগ পর তথা ২০১৪ সালে ২ মে মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট প্রদান করলেও এ নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। চার্জশিটে বিএনপির ৩১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং অভিযুক্ত করা হয় ৬ জনকে। ১৬ জুন চাষাড়ায় বোমা হামলায় অজ্ঞাত মহিলাসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ২০ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়। এ বছর রাত পৌনে ৯টায় ভয়াবহ ওই বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারা। এদিন চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনে অবস্থিত আওয়ামী লীগ অফিসে শামীম ওসমানের পূর্ব নির্ধারিত গণসংযোগ কর্মসূচি চলাকালে রাত পৌনে ৯টায় বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ২০জন নিহত ছাড়াও শামীম ওসমানসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। বোমা হামলায় পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন শামীম ওসমানের ব্যক্তিগত সহকারি (তৎসময়কার) এবং বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীলসহ অনেকেই। বোমা হামলার ঘটনায় নিহতরা হলেন, শহর (সাবেক) ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সাইদুল হাসান বাপ্পী, সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রছাত্রী সংসদের সাবেক জিএস আকতার হোসেন, তাঁর ছোট ভাই সংগীত শিল্পী মোশারফ হোসেন মশু, সংগীত শিল্পী নজরুল ইসলাম বাচ্চু, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভাসানী, নারায়ণগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবিএম নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইদুর রহমান সবুজ মোল্লা, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পলি বেগম, ছাত্রলীগ কর্মী স্বপন দাস, কবি শওকত হোসেন মোক্তার, পান সিগারেট বিক্রেতা হালিমা বেগম, সিদ্ধিরগঞ্জ ওয়ার্ড মেম্বার রাজিয়া বেগম, যুবলীগ কর্মী নিধু রাম বিশ্বাস, আব্দুস সাত্তার, মো. আবু হানিফ নূরী, এনায়েত উল্লাহ স্বপন, আব্দুল আলীম, শুক্কুর আলী, স্বপন রায় ও অজ্ঞাত এক মহিলা নিহত হন। ১৬ জুন চাষাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে হামলার ২২ বছরেও শনাক্ত করা যায়নি নিহত হওয়া অজ্ঞাত নারীর পরিচয়। সেদিনের ওই নারী কে ছিলেন, কোথা থেকে এসেছিলেন তিনি, এর কোনো খোঁজ ২২ বছরেও মিলেনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী আজও পর্যন্ত তার পরিচয়, ঠিকানা এবং এখানে আসার কি কারণ ছিলো তার সন্ধান দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরাও জানেন না ওই মহিলাটি কে ছিলেন, এমনকি আজও পর্যন্ত ওই মহিলার কোনো স্বজনও খোঁজ করেনি তাকে। যার ফলে অজ্ঞাত সেই মহিলা আজও অজ্ঞাতই রয়ে গেছেন। রেখে গেছে কিছুটা রহস্যও। তবে এই অজ্ঞাত মহিলাটি কে ছিলেন, তা জানার যে আগ্রহ, কৌতূহল মানুষের মাঝে তা বুঝি আর কখনোই শেষ হবার নয়। যদিও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বলেছিলেন, ঘটনার দিন শামীম ওসমানের পূর্বনির্ধারিত গণসংযোগ কর্মসূচি ছিলো। এই কর্মসূচিতেই হয়তো কারো সাথে না কারো সাথে ওই মহিলা এসেছিলেন। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, মহিলাটি যদি কারো সাথে এসেই থাকেন তাহলে তিনি নারায়ণগঞ্জের হবেন। আর তা হলে তার পরিবার থেকে কেউ না কেউ তাকে খুঁজতে আসতেনই। কিন্তু দীর্ঘ ২২ বছরেও কেউ তার খোঁজ নেননি। ‘এমন বিভৎস আর বিভিষিকাময় পরিবেশ আমার জীবনে আর কখনো দেখিনি। ওই একবারই দেখেছিলাম নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনায়। এমন বিভৎস দৃশ্য রাব্বুল আলামিন যেন বাকি জীবনে আর না দেখায়।’ ২০০১ সালের ১৬ জুন রাত পৌনে ৯টার দিকে চাষাড়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনার স্মৃতিচারন করতে গিয়ে এভাবেই কথাগুলো বলেছিলেন ফতুল্লা মডেল থানার সাবেক অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শাহ্ মো. মঞ্জুর কাদের। তখন তিনি ছিলেন ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)। তৎকালিন পুলিশ সুপারের নির্দেশে বোমা হামলার পরপরই ফতুল্লা থানা থেকে অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের সাথে তিনিও ছুটে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ক্ষতবিক্ষত লাশ বহন করতে হয়েছিলো তাকে। আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতাল ছুটোছুটি করেছিলেন শাহ্ মো. মঞ্জুর কাদের। তিনি বলেন, ‘আমি তখন এই থানারই (ফতুল্লা মডেল থানা) সাব-ইন্সপেক্টর ছিলাম। সন্ধ্যার পর খবর পেলাম নগরীর চাষাড়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে যেখানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার তখন তার পিছন দিকটাতেই ছিলো জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়। তাৎক্ষনিক সেখানে আমাদের ডাক পড়ে।’ মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘ডাক পেয়েই মুহূর্তে সেখানে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে যে দৃশ্য দেখলাম তাতে কিছু সময়ের জন্য হতভম্ব হয়ে পড়ি। দেখি অফিসটির টিনের চালা উড়ে গেছে আর ভেতরে অসংখ্য মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এ সময় তাদের আত্মচিৎকারে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারাতে দেখি কয়েকজনকে।’ কিছুক্ষণ থেমে দীর্ঘশ^াস ফেলে তিনি আবার বলেন, ‘পরবর্তীতে নিজেকে সামলে নিয়ে আহতদের নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠাই। এরই মধ্যে নিজেই একজনকে কাঁধে তুলে নিয়ে খানপুর হাসপাতালে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে এ ঘটনায় নিহত আরও কয়েকজনের লাশ দেখতে পাই। শুধু তাই নয়, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমানকেও সেখানে অজ্ঞান ও রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি। অর্থাৎ এ ঘটনায় তিনিও মারাত্মকভাবে আহত হন। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।’




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা