আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:১০

জাপার বগলদাবায় বন্দর আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা | ১৭ জুন, ২০২৩ | ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই সদর-বন্দর আসনে একাধিক নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দেখা মিলে। এছাড়া নেতাদের মুখে মুখে খই ফুটতে থাকে সদর-বন্দর আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী চাই না, নৌকার প্রার্থী চাই। কিন্তু লক্ষ্য করা গিয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগসহ মহানগর আওয়ামীলীগের আওতাধীন ওয়ার্ডে নেতৃত্বে আসতে চাওয়া পদপ্রত্যাশী নেতারা সদর-বন্দর আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদ সেলিম ওসমানের নিকট দারস্থ হয়েছে। আওয়ামীলীগ নেতাদের ভাষ্য জাতীয় পার্টির সংসদ আমাদের মহাজোটের সংসদ তার আমন্ত্রণে সাক্ষাৎ করাটা স্বাভাবিক। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাংসদের সাথে সাক্ষাৎ স্বাভাবিক ভাবে নিলেও মহানগর আওয়ামীলীগের আওতাভুক্ত বন্দরের ৯টি ওয়ার্ডে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে পদ প্রত্যাশীত নেতাদের সদর-বন্দর আসনের সাংসদ সেলিম ওসমানের সাথে সাক্ষাৎ করতে দেখা গিয়েছে। এতে করে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ তাদের প্রতিনিধিত্বে ওয়ার্ডের নেতারা দেখা না করলেও তাদের অবগত না করেই উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাও মহানগর আওয়ামীলীগের এক বহিষ্কৃত নেতার প্রতিনিধিত্বে দেখা করেছে। তবে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের মতে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বন্দরের ওয়ার্ডের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে। যার কারণে তাদের অতিক্রম করেই জাতীয় পার্টির সংসদের সাথে সাক্ষাৎ করেছে। সূত্র বলছে, গত ১৩ জুন রাতে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন সহ মহানগর আওয়ামীলীগের আওতাধীন ৯টি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতারা স্থানীয় এমপির দ্বারে দ্বারে। তবে বন্দরের আওয়ামীলীগ নেতাদের সদর-বন্দর আসনের জাতীয় পার্টির সংসদের সাক্ষাৎ ব্যাপক ভাবে সমোলচিত হচ্ছে রাজনৈতিক বোদ্ধামহলে। কারণ সদর-বন্দর আসন বন্দরে নৌকার প্রার্থী নিশ্চিত করতে বরাবর বিভিন্ন সভা সমাবেশের সদর-বন্দর আসনে নৌকা চাই নৌকা চাই বক্তব্যে ঝড় তুললেও বন্দরের সেই আওয়ামীলীগ নেতারাই সদর-বন্দর আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে জানা যায়, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহার নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামীলীগের আওতাধীন ৫টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সংসদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তবে সেখানে দেখা যায় মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ক্রীড়া বিষয়ক পদ থেকে বহিষ্কৃত নেতা হুমায়ন কবির মৃধাকে। সূত্রে আরও জানা যায়, সংসদ সেলিম ওসমানের সাথে সাক্ষাৎ করতে যান মহানগর আওয়ামীলীগের আওতাভুক্ত ৯টি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে আসতে চাওয়া পদ প্রত্যাশী নেতারা। কিন্তু ৯টি ওয়ার্ডের নেতারা মহানগর আওয়ামীলীগের নেতাদের অবগত না করেই বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাকে অতিক্রম করেই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন মহানগর আওয়ামীলীগের নেতা হুমায়ন কবিরে নেতৃত্বে সদর-বন্দর আসনের সংসদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। যেটা মহানগর আওয়ামীলীগের অগ্রভাগের নেতাদের কাছেই দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই মহানগর আওয়ামীলীগের আওতাভুক্ত ৯টি ওয়ার্ডে সম্মেলন শেষ হয়েছে। এছাড়া ওয়ার্ডগুলোতে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নেতৃত্বে আসতে চাওয়া নেতাদের নেতৃত্ব প্রদান করতে তাদের পূর্বের রাজনৈতিক ইতিহাস নেতৃত্বের সক্ষমতা নিয়ে যাচাই বাছাই করছেন মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা। সেখানে ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নেতৃত্বে আসতে চাওয়া নেতারা জাতীয় পার্টির সংসদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এরমধ্যে হল ২৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জুয়েল, ২৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হুমায়ন, ২৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জনি, ২২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জাকির হোসেন, ২১নং ওয়ার্ডের সভাপতি প্রার্থী নাজমুল হোসেন আরিফ, ২০নং ওয়ার্ডের সভাপতি প্রার্থী শহিদুল ইসলাম মৃধা, ১৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইউসুফুর রহমান বাবু। তবে জাতীয় পার্টি সংসদের কাছে ওয়ার্ডে নেতৃত্বে আসতে চাওয়া নেতাদের দারস্থ হওয়া স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছে না স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা। কারণ তারা মূলত মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের প্রতিনিধিত্বে সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করার কথা সেখানে তারা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও মহানগরের বহিষ্কৃত নেতার প্রতিনিধিত্বে স্থানীয় সংসদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। যার কারণে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ তাদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে গিয়ে ওয়ার্ডের নেতারা জাতীয় পার্টির ছাঁয়াতলে স্থান নিয়েছে। ওয়ার্ডের নেতাদের এমন কান্ডে মাথা ব্যাথা নেই মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের। এটা নিয়েও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা ব্যাপক সমালোচনা করছেন। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য তার এলাকার ভোটারদের ডাকতে পারে তার সাথে মতবিনিময় করতে পারে এটা নিয়ে দলের কোন ব্যাপার না। সে দলের লোক হিসেবে ডাকে নাই এমপি হিসেবে আওয়ামীলীগের লোকজনদের ডাকছে এটা দলের কোন ব্যাপার না একজন সাংসদ ডাকতেই পারে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি বলে ফোন কলটি কেটে দেন। এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কলটি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম বলেন, আমাদের মহাজোটের এমপি উনি যদি আমাকে ডাকে আমরা যেতে পারি। উনি আমাদের সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ডেকেছে এই জন্য আমরা গিয়েছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা