বিরোধে পিছিয়ে যাচ্ছে বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দলীয় বিরোধে পিছিয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। দলকে সাংগঠনিক ভাবে এগিয়ে নিতে কাজ না করে কিভাবে দলের মধ্যে বিরোধ ধরে রাখা যায় দলের কিছু নেতা সে কাজই করে যাচ্ছে এমন অভিযোগ বিএনপির সাধারন নেতাকর্মীদের। কর্মীদের দাবি, বিএনপির বিরোধ দিনে দিনে বেড়েই চলছে। কোন নেতা উদ্যোগ নিয়ে এ বিরোধ কমানোর কোন চেষ্টা না করে কী ভাবে এ বিরোধ আরো বেশী বৃদ্ধি পাবে নেতারা সে কাজই করে যাচ্ছে। সম্প্রতি, জেলা বিএনপির সম্মেলনের আগ মুহুর্তে দলীয় কোন্দলের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। এক পর্যায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপে প্রাথমিক পর্যায়ে দলীয় কোন্দল কিছুটা সহনশীল পর্যায়ে আসলেও এর রেশ দলের মধ্যে চলতে থাকলে বিএনপির জন্য সামনের দিনগুলো আরো কঠিন হয়ে উঠবে। আর এর জন্য দায়ি থাকবে দলের শীর্ষ নেতারা। তবে বিএনপির নেতৃত্বে পরিবর্তনের পাশাপাশি দলকে তৃনমূল থেকে সাজানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিএনপির রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্টরা। দলের অপর একটি সূত্রে জনাগেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা ও মহানগর বিএনপির পাশাপাশি তৃনমূল থেকে দলকে গোছানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। যারা দলের সক্রিয় ও মাঠ পর্যায়ের নেতা রয়েছে তাদের সঠিক মূল্যায়নের মধ্যদিয়ে দলের পূর্নগঠনের কাজ শুরু করতে হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় একটি সূত্রে জানাগেছে, দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার বিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি দল গঠন প্রক্রিয়াও অব্যাহত রাখা হবে। তবে বিএনপির রাজনীতিতে পরিবর্তন না আসলে দলীয় বিরোধ মিটবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল। বিএনপির তৃনমূলের অভিযোগ, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি সাংগঠনিক ভাবে দূবর্ল ও পিছিয়ে পরার পেছনে দলের শীর্ষ নেতাদের বিরোধই দায়ি। দলের শীর্ষ নেতারা বিরোধে জড়িয়ে যাওয়া দলের সাংগঠনিক ভীত নড়বড়ে হয়ে পরেছে। নেতারা বিরোধে লিপ্ত থাকায় দলের সাধারন নেতাকর্মীদের কাছ থেকেও তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। এই বিরোধের কারণে অনেক নেতাকে এখন আর প্রকাশ্যে দেখা যায় না। দলীয় কর্মীরা ধীরে ধীরে দলের শীর্ষ নেতাদের উপর থেকে আস্থা হারাতে শুরু করেছে। কর্মীদের অভিযোগ, যারা দলের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি করছে এসব নেতাদের অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের নেতা এমপিদের সাথে বসে সভা-সেমিনারে অংশ নিচ্ছে। আর যারা দলের হয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছে তাদের অনেকে এখনো ঘর ছাড়া ও স্বজনদের কাছ থেকে অনেক দূরে বসবাস করছে। তবে দলের এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য দলের নেতৃত্বে পরির্বতন এখন সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। এছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই বলে মনে করছেন বোদ্ধা মহল।