আজাদ মনিরকে ফেলে আলোচনায় দিপু

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে নানা শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সবকিছুকে ছাপিয়ে সম্মেলন সফল করে আলোচনায় উঠে এসেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু। একই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সমালোচনায় পড়েছেন দলের নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান। সম্মেলনকে ঘিরে একের পর এক প্রার্থী দিয়ে, মনোনয়ন নেননি এমন প্রার্থী যারা নির্বাচনে ছিলেন না তাদের পক্ষে ভোট চেয়ে ও তাদেরকে নির্বাচন করতে প্ররোচনা দিয়ে সমালোচিত হন দুজন। এর মধ্যে কাউন্সিলকে ঘিরে নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সম্মেলনকে ঘিরে ভোট চেয়েছেন কাজী মনিরুজ্জামানের স্ত্রীও। দলের নেতাকর্মীরা জানান, সম্মেলনকে ঘিরে দলের প্রার্থী দিতে চেষ্টা ছিল আজাদ ও মনির দুজনের। এর মধ্যে একজন বিএনপি নেতা মোশারফকে ও আরেকজন শরীফ আহমেদ টুটুলকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন। আজাদ নেতাকর্মীদের নিয়ে মোশারফকে ঘিরে দফায় দফায় কথা বলে তার জয়ের ব্যাপারে কাজ করতে চেয়েছিলেন। একই অবস্থা কাজী মনিরুজ্জামানেরও। তাদের জন্য ভোটও চেয়েছেন দুজন। শেষ পর্যন্ত এদের দুজনের কেউই প্রার্থী না হওয়ায় বিপাকে পড়েন তারা। নেতাকর্মীরা আরো জানান, যখন নিজেদের পছন্দের প্রার্থী দিতে পারেননি দুজন তখন জেলা বিএনপির সম্মেলনের আরেক প্রার্থী মাসুকুল ইসলাম রাজীবকে নিয়ে কাজ শুরু করেন। রাজীবের পক্ষে ভোট চান এবং কাজ করেন। শুধু আজাদ কিংবা কাজী মনিরুজ্জামান নয় ভোট চেয়েছেন কাজী মনিরুজ্জামানের সহধর্মিনীও। তবে শেষ পর্যন্ত মাসুকুল ইসলাম রাজীব প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলে ব্যাকফুটে চলে যান দুজন। পরে তাদের অনেকটা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সম্মেলন সফল করা হয় এবং বর্তমান নেতৃত্বই বহাল থাকে। সম্মেলন সংশ্লিষ্টরা জানান, শুরু থেকেই সম্মেলনের পক্ষে নানা কাজ করে আলোচনায় আসেন দিপু। তিনি দায়িত্ব নিয়ে সম্মেলনকে সফল করতে একের পর এক কাজ করে এবং সবাইকে সমন্বয় করে দলের আগামীর নেতৃত্ব ঠিক করতে পরিশ্রম করে শেষ পর্যন্ত সফল হন। এতে করে নতুনভাবে আলোচনায় আসেন তিনি। আর এ কাজে একাধিক প্রার্থী ঠিক করে দলের বিভাজনের চেষ্টা করে একাধিক নেতা সমালোচিত হয়েছেন। যদিও তাদের এ অপচেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। তবে দলের এ দুঃসময়ে দিপু ভুঁইয়ার মত বলিষ্ঠ যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন এবং এ সময়ে সবাইকে বিবাজন ভুলে তার মত একতার রাজনীতি করতে সকলের প্রতি আহবান জানান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।