আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:২৩

যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ভাঙ্গছে

ডান্ডিবার্তা | ২০ জুন, ২০২৩ | ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে শীগ্রই হচ্ছে নতুন কমিটি। আর নতুন কমিটিতে রদবদল হয়ে আসছে নতুন মুখ। আর যেকোনো দিন ঘোষণা আসতে পারে জেলা যুবদলের নতুন কমিটি এমনটিই জানা গেছে কেন্দ্রীয় যুবদলের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে। জানাগেছে, জেলা যুবদলের বর্তমান আহ্বায়ক গোলাম ফারুক খোকন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বনে গেছেন। সুতরাং তিনি আর যুবদল থাকছেন না। আর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেন পাড়ি জমিয়েছেন সপরিবারে আমেরিকা। ফলে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি একাই চালাচ্ছেন যুবদলের কার্যক্রম। ফলে আগামী দিনের রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে বেগমান করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিকে ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করতে চলে কেন্দ্র। আর শীঘ্রই গঠন করা হবে নতুন কমিটি। আর নতুন আহবায়ক কমিটিতে স্থান পেতে কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন জেলা যুবদলের সম্ভব্য প্রার্থীরা। এছাড়াও কেন্দ্রে চলছে লবিং ও গ্রুপিং। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিতে পদ-পদবী পাওয়ার আশায় বর্তমান এবং সাবেক যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন কেন্দ্রে। যারা জীবনবৃত্তন্ত জমা দিয়েছেন তারা কেউ আহ্বায়ক, কেউ যুগ্ম-আহ্বায়ক আর কেউ সদস্য সচিব পদে। আবার কেউ কেউ আহবায়ক কমিটির সদস্য হতেও দৌড়ঝাঁপ করছেন। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের বর্তমান সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখেই রদবদল হয়ে আসছে জেলা যুবদলের নতুন কমিটি এমনটাই জানিয়েছেন একটি বিশ্বস্ত সূত্র। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের নতুন কমিটিতে আলোচনা আছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের ১ম সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবির সজিবসহ সাবেক যুবদল ও ছাত্রদলের আরও বেশ কয়েকজন নেতা। জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ভেতরে গ্রুপ কিংবা নেতার অভাব নেই। বর্তমানে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত রয়েছে জেলা যুবদল। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে শিগগিরই ঘোষণা আসছে জেলা যুবদলের নতুন কমিটি এমন খবরে সবগুলো গ্রুপের নেতাকর্মীরা পদ-পদবি পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। দেশ- বিদেশে চলছে লবিং। তবে তৃনমূল পর্যায়ের নেতা- কর্মীদের দাবী, যুবদলের রাজনীতিকে ধরে রাখতে হলে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে। নইলে এ ভুলের মাসুল বেশ চড়া মূল্যে দিতে হবে। যুবদলের নেতৃত্বে ভাগিয়ে নিতে জোড় লবিং তদবির অব্যাহত রেখেছেন বেশ কিছু নেতা। এদিকে জেলা যুবদলের নেতৃত্বে আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের ১ম সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক। জেলা যুবদলের নতুন কমিটিকে ঘিরে আলোচনায় আছেন তিনি। সাদেক ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন। বিগত দিনে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামসহ দলের সকল কর্মসূচিতে ছিল তার সক্রিয় অংশগ্রহণ। ছাত্রদল ও যুবদলের রাজনীতি করতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খেটেছেন। জেলার প্রতিটি কর্মসূচীতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন তিনি। এছাড়াও ঢাকার কর্মসূচিতে তার নিয়মিত অংশগ্রহণ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের বর্তমান সদস্য সচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান রনি জেলা যুবদলের নতুন কমিটির নেতৃত্বের দৌড়ে বেশ এগিয়ে আছেন। ছাত্রদলের সংগঠক হিসেবে নিজেকে সফল প্রমান করেছেন তিনি। দলীয় সভা সমাবেশসহ সকল কর্মসূচিতে বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। জেলা জুড়েই রনির রয়েছে নিজস্ব বিশাল কর্মী বাহিনী। রাজনীতি করতে গিয়ে হামলা- মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাগার ভোগও করেন। তারপরও রাজনীতি থেকে পিছপা হননি রনি। দলের স্থানীয় রাজনীতির পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ের কর্মসূচিতে ঢাকাতেও আছে রনির সক্রিয় অংশগ্রহণ। জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূইয়াও আলোচনায় আছেন। তোলারাম কলেজ থেকে ছাত্র রাজনীতি পথচলা। ছিলেন তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি। বিগত দিনে রাজপথে নেতাকর্মীদের নিয়ে বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। ২০১৩ সাল থেকে বিএনপির হরতাল, অবরোধসহ নানা আন্দোলন সংগ্রামে তার অগ্রনী ভূমিকা ছিল। দলীয় কর্মসূচি সফল করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন তিনি। জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজীব রয়েছেন জেলা যুবদলের নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনায় আছেন। সজীব বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের ছেলে। সজিবকে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বানানোর জন্য মান্নান জেলা বিএনপি’র কাউন্সিলে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গোলাম ফারুক খোকনকে সমর্থন করেন। পরবর্তী যদিও খোকন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তবে জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির শুরুতেই মান্নান গিয়াস ও খোকনের বিরোধীতা করে আসছিল। জেলা বিএনপির কাউন্সিলে আরেক সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিবকে শুরুতে মান্নান সমর্থন দিলেও কাউন্সিলের একদিন আগে মান্নান তার ছেলে সজিবকে জেলা যুবদলের সেক্রেটারি বানানোর জন্য শেষ পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর সাথে হাত মিলায় এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে নেতাকর্মীদের নিয়ে খোকনকে সমর্থন দেন। যদিও শেষ পর্যন্ত দলের বৃহত্তর ঐক্যের কথা চিন্তা করে রাজিব তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। শুধু তাই নয় ছেলের জন্য বিএনপির উপর মহলে মান্নান নানানভাবে তদবির করছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ মার্চ জেলা যুবদলের তিন সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। গোলাম ফারুক খোকনকে আহবায়ক, মশিউর রহমান রনিকে সদস্য সচিব ও ভিপি কবিরকে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আহবায়ক করে কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের তৎকালীর সভাপতি সাইফুল আলম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। গত ১৫ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসললাম আলমগীর ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক সাংসদ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের গোলাম অনুমোদন দেন খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। এরপর গত শনিবার জেলা বিএনপির দ্বি- বার্ষিক সম্মেলনে সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন সভাপতি ও গোলাম ফারুক খোকন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা