ডিপিডিসির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দাবীকৃত দুই লাখ টাকা না দেয়ায় সহযোগীদের নিয়ে মিটার রিডিং কালেক্টর মো: আনোয়ার হোসেন (৪৬) কে মারধর ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসিতে কর্মরত (চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত) সেই কো-অর্ডিনেটর হাসানুল ইসলাম জনির বিরুদ্ধে। গত রবিবার হাসানুল ইসলাম জনিকে প্রধান আসামী করে ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন মিটার রিডিং কালেক্টর মো: আনোয়ার হোসেন। ভুক্তভোগী মো: আনোয়ার হোসেন কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার বহল বাড়িয়া এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে এবং নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হিরাঝিল আবাসিক এলাকার ৩ নং গলির মফিজুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া। সে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির আওতাধীন সিএসএস এর একজন নিয়মিত মিটার রিডিং কালেক্টর। অভিযুক্তরা হলো, সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির কো-অর্ডিনেটর মো: হাসানুল ইসলাম জনি (৩৫), তার সহযোগী আ: আউয়াল (৩০), রাজিব (২৫), শাহীন (২৫), আরিফ (৩৫), জহির (৩৫), মাইনউদ্দিন (৩২) ও ফয়সাল (২২)। তারা প্রত্যেকেই সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসিতে কর্মরত। অভিযোগে মো: আনোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় অভিযুক্ত কো-অর্ডিনেটর হাসানুল ইসলাম জনি তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে ভুমিপল্লীর শেষ মাথায় চিপা গলির মধ্যে নিয়ে তার সহযোগী আ: আউয়াল, রাজিব, শাহীন, আরিফ, জহির, মাইনউদ্দিন ও ফয়সাল তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবী করে। আনোয়ার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা সবাই মিলে তাকে বেধরক মারধর করে এবং রাতেই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলে। যদি সে এলাকা ছেড়ে না যায় তবে তাকে মেরে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ডিপিডিসির কো-অর্ডিনেটর মো: হাসানুল ইসলাম জনি জানান, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। সে বিভিন্ন গ্রাহককে টাকার জন্য হয়রানী করে। সেজন্য তাকে চাকরী থেকে বের করে দিয়েছি। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: হুমায়ুন কবির-২ জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।উল্লেখ্য, লাল নোটিশ দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কো-অর্ডিনেটর হাসানুল ইসলাম জনির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।