আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:১২

গোপালদী পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

ডান্ডিবার্তা | ২২ জুন, ২০২৩ | ১২:১৩ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আড়াইহাজারের গোপালদী পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী হালিম সিকদারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে মারধর ও হুমকির অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র এক মেয়র প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট। এছাড়া সাংবাদিকদের সামনেই ভোটকেন্দ্রে অন্য প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের নাম-ঠিকানা জানতে চান নৌকার এই প্রার্থী। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, হেরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন। গতকাল বুধবার বিকালে নারকেল গাছ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী তানভীর আহম্মেদের পোলিং এজেন্ট মো. সামসুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি সদাসদী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নারী ভোটকেন্দ্রের ১ নম্বর বুথে পোলিং এজেন্ট হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। নারকেল গাছের এজেন্ট হওয়ায় তাকে মারধর করেছেন হালিম শিকদার। কপালের বাম পাশের ফুলে যাওয়া অংশ দেখিয়ে তিনি বলেন, “দুপুর ১টার দিকে কেন্দ্রে আসেন হালিম সিকদার। আমি নারিকেল গাছের এজেন্ট হয়েছি বলে মুখের উপর কয়েকটি থাবা দেন। আমাকে কেন্দ্র ছেড়ে চলে যেতে বলেন। সবাই এই দৃশ্য দেখেছে, কিন্তু কেউ কিছু বলেনি।” নারকেল গাছের প্রার্থী তানভীর আহম্মেদ তার চাচাতো ভাই জানিয়ে সামসুদ্দিন বলেন, “ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত যামু না।” এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই বুথে দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আনিসুর রহমান বলেন, “রানিং মেয়র ১টার দিকে কেন্দ্রে এসেছিলেন। তখন এমন কোনো ঘটনা ঘটছে বলে দেখিনি। কেউ অভিযোগও করেনি।” মারধর ও হুমকির এমন অভিযোগের ওঠার পর এই কেন্দ্রটির পাঁচটি বুথ ঘুরে তিনটিতেই নারকেল গাছের পোলিং এজেন্ট পাওয়া যায়নি। সদাসদী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নারী ও পুরুষ কেন্দ্রের বুথগুলোয় থাকা অন্য প্রার্থীর এজেন্টরা নাম প্রকাশ না করে জানান, সকাল থেকে এজেন্টরা ছিলেন, কিন্তু দুপুরে মেয়র কেন্দ্রে ঢোকার পর তারা বেরিয়ে যান, আর ফেরেননি। একই কেন্দ্রের ২ নম্বর বুথে থাকা নারকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট মো. ইসমাইল অভিযোগ করে বলেন, “সারাদিন নৌকার এজেন্ট গোপন কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করেছে। ভয়ে কেউ প্রতিবাদও করতে পারেনি।” যদিও এসব ঘটনার কোনো অভিযোগ পাননি বলে দাবি কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়ার। তিনি বলেন, “হালিম সিকদার এসেছিলেন, কিন্তু তিনি কাউকে হুমকি দিয়েছেন এমন অভিযোগ কেউ করেনি। মারধরের কোনো অভিযোগও পাওয়া যায়নি। সকাল থেকে হাতপাখা ছাড়া সব প্রার্থীর এজেন্টই কেন্দ্রে ছিলেন। কেউ হয়তো নিজেদের প্রয়োজনে বেরিয়ে গেছেন।” সদাসদী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্রের ১ নম্বর বুথে জগ ও মোবাইল ফোন প্রতীকের পোলিং এজেন্টদেরও পাওয়া যায়নি। অন্য প্রার্থীর এজেন্টরা জানান, সকালে এলেও দুপুরে চলে যান তারা। বেলা সাড়ে ৩টার এই কেন্দ্র পরিদর্শনে যান হালিম সিকদার। এ প্রতিবেদক সেসময় কেন্দ্রটিতে উপস্থিত ছিলেন। দেখা যায়, কেন্দ্রটির বুথগুলোয় ঘোরার সময় কে কোন প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট হয়েছেন তা জানতে চান তিনি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টদের কার কোন গ্রামে বা কোন পাড়ায় বসবাস তাও জেনে নিচ্ছিলেন নৌকার এই মেয়র প্রার্থী। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুইবারের মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হালিম সিকদার। তিনি বলেন, “প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হেরে যাবার পরিস্থিতি তৈরি হলে এসব মিথ্যা অভিযোগ করেন। আমি কাউকে হুমকিও দেইনি, মারধরও করিনি। এসব অভিযোগ মিথ্যা।” এর আগে সকালে সাংবাদিকদের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আহমেদ অভিযোগ করেছিলেন, নৌকার প্রার্থীর এজেন্টরা গোপন কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা কোন প্রতীকে ভোট দিচ্ছেন তা পর্যবেক্ষণ করছেন। নৌকার বাইরে ভোট দিলে ভোটারদের মারধর করছেন। তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রামচন্দ্রদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরুষ ভোটকেন্দ্রের একটি বুথে দু’জন ব্যক্তিকে গোপন কক্ষের পর্দা সরিয়ে উঁকি দিতে দেখা যায়। তারা নিজেদের কাউন্সিলর প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট বলে পরিচয় দিলেও তাদের একজনের গলায় নৌকার প্রার্থীর কার্ড ঝোলানো দেখা যায়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা