আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ১০:০৩

কাজী মনির ও নূরজাহান মাহবুবকে নির্বাহী কমিটির পদে চায়না তৃণমূল

ডান্ডিবার্তা | ২২ জুন, ২০২৩ | ৭:৫৪ অপরাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জ জেলার কোটায় জেলা থেকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পদ পাওয়া দুজন নিষ্ক্রিয় নেতার সদস্য পদ অপসারণ চেয়েছেন দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এরা হলেন- দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান ও নুরজাহান মাহবুব।
দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সুত্রে জানা গেছে, এদের দুজনের কাউকেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে কোন কর্মসূচী পালন করতে দেখা যায়নি। দুজন তো নয়ই তাদের পক্ষেও কাউকে দেখা যায়নি কর্মসূচী পালন করতে। এ নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন হলে শাহাদাৎ বার্ষিকীর কয়েকদিন পর কাজী মনিরুজ্জামান রূপগঞ্জে একটি কর্মসূচী পালন করেন।
দলীয় সুত্রমতে, এদের দুজন কেন্দ্রে পদ পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সাবেক নেতা কোটায়। সেই পদ পাবার আগে নুরহাজান মাহবুবকে কেউ চিনতেন না। তাকে এখনো দলের জেলার ৮০ ভাগ নেতা চেনেন না। অনেকে তার নামই জানেন না। এমন একজনকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে পদায়ন করে রেখে দলের অনেক ত্যাগী ও যোগ্যদের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা।
এর মধ্যে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান সাবেক নেতা হবার সুবাধে জেলা কোটায় পদ পেয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে। তবে তিনি পদ পাবার পর তাকে নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। জেলা বিএনপির সর্বশেষ আহবায়ক কমিটির আগে সভাপতি ছিলেন কাজী মনিরুজ্জামান। সেই কমিটি থেকে তাকে ব্যর্থতার দায় নিয়ে বিদায় দেয় কেন্দ্র।
জানা যায়, কাজী মনিরুজ্জামান জেলা বিএনপির সভাপতি হবার পর বিএনপির কর্মসূচীকে নিয়ে গিয়েছিলেন অলিগলিতে। তখন জেলা বিএনপির কর্মসূচীগুলো পালিত হতো শহরের প্রেসক্লাবের গলিতে ভেতরে গেলে একটি এলাকার সড়কে তিতাস গ্যাস কার্যালয়ের সামনে। এই গলির কর্মসূচী পালন শুরু হয় কাজী মনিরুজ্জামানের সময়ে। সেসময় তিনি পুলিশ দেখে একাধিকবার মোটরসাইকেলে করে নেতাকর্মীদের রেখে কর্মসূচী রেখে পালিয়ে গেছেন বলে ছবিসহ স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে ইউনিট কমিটি করতে না পারার ব্যর্থতা ছিল তার বড় ব্যর্থতাগুলোর একটি। এর মধ্যে কর্মসূচী করতে না পারা, ইউনিট করতে না পারা, সব নেতাদের একত্রিত করতে না পারা, দলে বিভাজন দূর করতে না পারা, সম্মিলিত কর্মসূচী না করা, রাজপথে না নামতে পারার গ্লানি ছিল তার অন্যতম। এসব কারণে এখন দলের নেতাকর্মীরা তার প্রতি ক্ষুব্দ।
সবকিছু মিলিয়ে এত এত যোগ্য নেতা থাকতে শুধুমাত্র নারায়ণগঞ্জের কোটায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে এরকম দুজন নেতার পদ দেয়াকে বর্তমান এ সময়ে অপ্রয়োজনীয় মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় এবং রাজপথের এমন অনেক নেতা আছে যাদের এসব পদে পদায়ন করলে দলে আরো গতি বাড়বে আর তাই এই মুহুর্তে দলের নির্বাহী কমিটি মত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন নেতাদের পদ থেকে অপসারণ দাবি করেন নেতাকর্মীরা।



Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা