
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে তরুণ নেতারা দিন দিন এগিয়ে চলছেন। সেই সাথে তরুণদের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনগুলোও জেগে উঠেছে। আগামী দিনে হয়তো তারাই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। ঠিক সেভাবেই নিজেদের গড়ে তুলছেন। জেল জুলুম নির্যাতন নিপীড়নের মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে জ্বালাই কলে তুলছেন। যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতিতে নিজেদেরকে মানিয়ে নেয়ার মতো যোগ্য হিসেবে গড়ে উঠছেন তারা। সে হিসেবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতিতে তারাই নেতৃত্বে থাকবেন। কিন্তু তাদের বিপরীতে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তরুণ নেতারা দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় পদ পদবীর বাইরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে তারা যেন হারিয়ে যাচ্ছেন। অথচ তারা একসময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসলেও বর্তমানে তারা নির্বিকার হয়ে পড়েছেন। নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা হচ্ছে না। রাজনীতি বাইরে থেকে দিনের পর দিন তাদের অলস সময় পার করতে হচ্ছে। তরুণ নেতৃত্বে বিকাশ ঘটছে না। যা আওয়ামী লীগের রাজনীতি মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে। বিএনপির রাজনীতিতে এই তরুণদের তালিকায় রয়েছেন বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা, কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সদস্য শওকত হাসেম শকু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রনি ও মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ প্রমুখ। তাদের বিপরীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তরুণদের তালিকায় রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু ও সাফায়েত আলম সানি প্রমুখ। জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বাড়তে শুরু করেছে বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপুর। জেলা ও মহানগরের মূলদল বিএনপি থেকে শুরু করে সকল অঙ্গসহযোগী সংগঠনেই নেতাকর্মীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন তিনি। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তিনি সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। সম্মেলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মুখে মুখে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু। সকলেই তার সাংগঠনিক দক্ষতার প্রশংসা করছেন। স্থানীয় সূত্র বলছে, তরুণ ও উদ্যমী নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু নাম হলেও রূপগঞ্জের কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ প্রায় সকলেই তাকে সম্পন্ন নামের চেয়ে ‘দিপু ভূঁইয়া’ নামে ডাকতেও বলতে ভালোবাসেন। দিপু ভূঁইয়াও খুব সহজেই সাধারণ মানুষকে কাছে টানে বলে রূপগঞ্জ অবস্থান থাকলে মানুষের ভিড় থাকতে দেখা যায়। এছাড়াও বিএনপির রাজনৈতিক প্রবীণ ও নবীন নেতাকর্মীদের অসুস্থতা, সমস্যা ও কারাবান্দি হলেও ছুটে যাওয়ার ফলে তাদের কাছের আত্মীয় হয়ে উঠেছেন তিনি। আর তরুণ সমাজের কাছে তিনি হলেন আইকন। দিপু ভূঁইয়া ছাত্র জীবন থেকেই রাজনৈতিক কর্মকা- সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তবে তখনও কোন পদ পদবী ছিল না। এলাকায় মানুষের সমস্যা ও সেবায় সবর্দা কাজ করে যেতেন তিনি। রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও মানুষের ভালোবাসায় দলীয়ভাবে বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে ২০০৭ সালে বিএনপি সহযোগী সংগঠন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। বর্তমানে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশাও দিন দিন তার অবস্থান থেকে ফুটিয়ে তুলছেন। নারায়ণগঞ্জ কলেজের ভিপি থেকে শহর ছাত্রদলের নেতৃত্বে দেয়ার পরপরই তিনি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন। সেই সাথে অল্প বয়সেই কাউন্সিলর পদে জয়ী হয়েছেন। সবশেষ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদেও জায়গা করে নিয়েছেন। মহানগর বিএনপির আগামী দিনের নেতৃত্বেও তিনি শীর্ষ পদে আলোচনায় রয়েছেন। জেল জুলুম নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়ে ক্রমান্বয়ে তিনি নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নিজেও রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। বাবা আবুল কালাম ছিলেন তিনবারের এমপি। সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সদস্য শওকত হাসেম শকু দিন দিন নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষমতাসীন দলের দ্বারা অসহনীয় নির্যাতন নীপিড়নের শিকার হয়েও নিজেকে মানিয়ে নিয়ে বিএনপির রাজনীতি থেকে কখনও পিছু হটেনি। টানা তিনবার সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হিসেবে জয়ী হয়ে আসছেন। মহানগর বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতিতে তিনি শীর্ষ পদে আলোচনায় রয়েছেন। জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিও ক্রমান্বয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পরপরই তিনি যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়গা করে নেন। আগামী দিনের হয়তো তিনি যুবদলের শীর্ষ পদে চলে আসবেন। তার কাছে জেলা যুবদলের দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই অবস্থান ধরে রাখতে গিয়ে তাকে বহুবার জেল জুলুম নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। তারপরেও কখনও পিছু হটেনি। বরং আরও কয়েকগুণ বেশি সাহস নিয়ে তিনি এগিয়ে চলছেন। বিএনপিও তাকে ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করে যাচ্ছে। সেই সাথে ছাত্রদলের রাজনীতি করতে গিয়ে নিজেকে একজন পরীক্ষিত নেতা হিসেবে তৈরি করেছেন শাহেদ আহমেদ। দলীয় সকল আন্দোলন সংগ্রামেই তিনি সরব ভূমিকা রেখেছেন। বিএনপির কঠোর আন্দোলনের সময়ে যখন কোনো নেতাকর্মী পাওয়া যেত না ঠিক সেই সময়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথ দাবিয়ে বেড়াতেন। আর এই সংগ্রামী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে গিয়ে অনেকবার কারাবরণ করেছেন। পেয়েছেন বিভিন্ন তকমা। তারপরেও তিনি দমে যাননি। বর্তমানে ছাত্র জীবন পেরিয়ে এসেছেন যুবক বয়সে পরিণত হয়েছেন এই শাহেদ আহমেদ। আর এই সময়ে নিজেকে একজন যুবদল নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে যাচ্ছেন। যুবদলের সকল আন্দোলন সংগ্রামে তিনি নারায়ণগঞ্জের রাজপথ দাবিয়ে রাখছেন। নিজের হাতে তৈরি করা একঝাঁক সাহসী কর্মীদের নিয়ে সকল আন্দোল সংগ্রামেই তিনি সরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। যুবদলের পাশাপাশি নিজের কর্মীবাহিনী দিয়ে মহানগর বিএনপিকেও শক্তি যুগিয়ে আসছেন এই শাহেদ। প্রায় সকল কর্মসূচিতেই তার সরব ভূমিকা দেখা যায়। সেই সাথে ছাত্রদলকেও অভিভাবকের মতো করে আগলে রাখছেন। ছাত্রদলের যে কোনো কর্মসূচিতে তিনি দিক নির্দেশনা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। সেই সাথে আগামী দিনে মহানগর যুবদলের শীর্ষ পদে তিনি আলোচনায় রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অন্যতম আলোচিত পরিবার হচ্ছে সারোয়ার পরিবার। সারোয়ার পরিবারের সদস্যরা সবসময় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগি হিসেবে কাজ করে থাকেন। শামীম ওসমানের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকেন। আর সেই পরিবারের একজন সদস্য হচ্ছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে যুবলীগের রাজনীতিতে একসময় নারায়ণগঞ্জের রাজপথ দাবড়িয়ে বেড়ালেও সঠিক মূল্যায়নের অভাবে তার নেতৃত্বের বিকাশ ঘটছে না। পদ পদবী বাইরে থেকেই তার দিন পার হয়ে যাচ্ছে। অথচ তার স্লোগান আর বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ কেঁপে উঠতো। নেতৃত্বে ধারাবাহিকতা না থাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে তাকে হারিয়ে যেতে হচ্ছে। এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত ১৯৯১ সালে নবম শ্রেণিতে থাকাবস্থায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে সেøাগানে ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়েই তার রাজনীতি শুরু। ১৯৯২ সালে দেওভোগ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হন। একসময় শহর ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে দেয়ার প্রক্রিয়া চললেও পরবর্তীতে বিএনপির আমলে নানা হামলা মামলা নির্যাতনের কারনে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। কারণ ১৯৯৪ সালে ৪টি রাজনৈতিক মামলায় আসামী হন জিএম আরাফাত। অনেকটা আত্মগোপনে থেকেই আন্দোলন সংগ্রাম করেন। ১৯৯৫ সালে গ্রেফতার হলে সাড়ে তিন মাস কারাভোগ করতে হয়েছিল তাকে। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের সুনজরে চলে আসেন জিএম আরাফাত। ২০০২ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন হলে সেখানে কারাগারে থেকেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি হন লিয়াকত আলী শিকদার ও বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু হন সাধারণ সম্পাদক। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখায় নজরুল ইসলাম বাবুর সুদৃষ্টি আসলে জিএম আরাফাত কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে পরিচিত লাভ করেন। মূলত নজরুল ইসলাম বাবুর মাধ্যমেই তার কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। চারদলীয় জোট সরকার আমলে ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায় বঙ্গবন্ধ এভিনিউতে। সেই সম্মেলনে এহসানুল হাসান নিপুকে সভাপতি ও জিএম আরাফাত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ও আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা সহ জেলার প্রত্যেকটি থানা এলাকার কমিটিগুলো গঠনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে। যে কারনে তার ফলস্বরুপ সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিএম আরাফাতকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। ওই সময় ৬৪ জেলার মধ্যে একমাত্র নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অধিষ্ট হন তিনি। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। কিন্তু জিএম আরাফাতের এই অতীত রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের যেন কোনটাই প্রাধান্য পাচ্ছে না মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ক্ষেত্রে। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উদীয়মান নেতা হিসেবে আলোচনায় ছিলেন। কিন্তু তার যথার্থ মূল্যায়ন না হওয়ায় তিনি বারবার পিছিয়ে পড়েন। প্রত্যেকবারই সংসদ নির্বাচনের সময়ে তার নানটি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। কিন্তু নির্বাচনের মনোময়ন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সাথে সাথেও তিনি মিইয়ে যান। এরপর আর তাকে নিয়ে তেমন কোনো আলাপ আলোচনা শুনা যায় না। তাকে শোডাউনেও দেখা যায় না। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় এহসানুল হক নিপু আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ও আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা সহ জেলার প্রত্যেকটি থানা এলাকার কমিটিগুলো গঠনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে। সেই সাথে তিনি স্বচ্ছ ইমেজও ছিলো ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। কিন্তু পরবর্তীতে সেই ধারাবাহিকতা আর ধরে রাখা হয়নি। যুবলীগের রাজনীতিতে তার নাম আলোচনায় থাকলেও এখন পর্যন্ত তাকে পদে বসানো সম্ভব হয়নি। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন সাফায়েত আলম সানী। তার সময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ কোনো বিতর্কে জড়াতে পারেনি। তাকে কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়নি। কিন্তু ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষ হওয়ার পর এরপর আর তাকে কোনো পদে মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়নি। কোনো পদ পদবী ছাড়াই নির্বিকার সময় পার করছেন। রাজনীতিতে তাদের বিকাশ ঘটছে না।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯