আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:২১

বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না জেলা আ’লীগকে

ডান্ডিবার্তা | ২৫ জুন, ২০২৩ | ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীও জেলা আওয়ামীলীগে ঐক্যতা ফিরাতে পারেনি। দলটি বিতর্কের বাইরে যেতেই পারছে না নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। একের পর এক ঘটনায় তারা বিতর্কের জন্ম দিয়েই আসছেন। সবশেষ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের বিভক্তি নিয়ে বির্তক রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের এবারের নেতৃত্বে আসার পর থেকেই তারা একসাথে বসছেন না। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আলাদাভাবেই কর্মসূচি পালন করছেন। দলীয় সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের মধ্যে বিভক্তি পরিলক্ষিত হচ্ছে। একের পর এক কর্মসূচিতে তারা বিভক্ত অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। কমিটি ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের কোনো কর্মসূচিতে একত্রে দেখা মিলেনি। ২২ মে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি ছিলো প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। তারই অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জেও এই কর্মসূচি পালিত হয়। আর এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল দুইভাগে বিভক্ত ছিলো। এদিন বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। আর এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন সভাপতি আব্দুল হাই। তার সাথে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এদিন সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। আর এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। তার সাথে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতার দেখা মিলেনি। তিনি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন। এর আগে গত ১৭ মে ছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। আর এই দিবসটি উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করেছেন সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। এদিন সকালে শহরের দুই নং রেল গেইট এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আর এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। একই দিন বিকেলে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আর এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। সভা শেষে তারা একটি র‌্যালীও করেন। তবে সেই কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের উল্লেখিত কোনো নেতা ছিলেন না। তার আগে গত ১১ মার্চ সকালে শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের নেতৃত্বে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে তিনি এই কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু এখানে অনুপস্থিত ছিলেন সভাপতি আব্দুল হাই। সেই সাথে অন্যান্য নেতারাও অনুপস্থিত ছিলেন। শুধুমাত্র কয়েকজন নেতার উপস্থিতিতে আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল এই কর্মসূচি পালন করেন। তার আগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশব্যাপী বিএনপির জামায়াতের সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তির সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নং রেলগেইট এলাকার আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের এই শান্তির সমাবেশ চলাকালিন সময়েই আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের নেতাকর্মীরা সমবেত হন তাদের কর্মসূচি পালনের জন্য। আর সেই কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। আর তাকে দেখে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশ থেকে বাদলের উপস্থিতির ঘোষণা দেয়া হলেও সেখানে গিয়ে তিনি উপস্থিত হননি। একই সাথে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সহ সারাদেশেই যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের মতো এবারও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শ্রদ্ধাঞ্জলী ও আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়। এদিন সকালে প্রথমে শহরের দুই নং রেলগেইট এলাকার আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করা হয়। এরপর কার্যালয়ের ভিতরে এক আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। কিন্তু এখানে অনুপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আলাদাভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করেন। আর এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু, দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল ও সাবের নারী সংসদ সদস্য হোসনে আর বেগম বাবলী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এদিকে দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর শহরের ইসদাইর এলাকার ওসমান পৌর স্টেডিয়ামে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আর এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। সেই সাথে সম্মেলনের শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলকে আবারও পুনর্বহাল করা হয়েছিলো। এই কমিটি গঠনের প্রায় ৯ মাস পেরিয়ে যেতে থাকলেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দ্বারা। তবে তারা আলাদা আলাদাভাবে কমিটি জমা দিয়েছেন। কিন্তু সেখানেও রয়ে গেছে বিতর্ক। গত ৩০ এপ্রিল অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের স্বাক্ষরিত জেলা আওয়ামী লীগের প্যাডে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে একটি প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়া হয়। প্রস্তাবিত এই কমিটিতে সহ সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে ১১ জনকে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রাখা হয়েছেন ৩ জনকে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে তিনজকে। সেই সাথে কমিটিতে ১নং সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে রাখা হলেও তার অনুসারী কাউকেই জায়গা দেয়া হয়নি। একই সাথে আইভীর সাথে অথবা হিসেবে চন্দন শীলকেও রাখা হয়েছে। সেই সাথে কমিটিতে বাদ পড়েছেন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর অনুসারীরা। সেই সাথে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারাও বাদ পড়েছেন। যাদেরকে কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায় না তাদেরকে কমিটিতে জায়গা করে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের স্বাক্ষরিত জেলা আওয়ামী লীগের প্যাডে গত ১৮ মার্চ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। আর প্রস্তাবিত এই কমিটিতে সহ সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে ১১ জনকে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রাখা হয়েছেন ৩ জনকে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে তিনজকে। সেই সাথে কমিটিতে ১নং সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে রাখা হয়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা