আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:১৮

নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ

ডান্ডিবার্তা | ২৫ জুন, ২০২৩ | ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ কয়েকদিন পরেই। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকলেও নাড়ির টানে ব্যস্ততম নগর ছেড়ে নৌ ও সড়কপথে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন যাত্রীরা। এদিকে, ঈদ মানেই পরিবারের সাথে আনন্দময় মুহুর্ত কাটানো। তাই শতবাধা পেরিয়ে ঈদের ছুটিতে নাড়িরটানে ঘরমুখী হয় লাখো মানুষ। নারায়ণগঞ্জ শিল্পাঞ্চল জেলা হওয়ায়, দেশের প্রায় সকল জেলার মানুষই এখানে বসবাস করে। তাই কোরবানির ঈদে বাড়ি ফেরার একটা হিড়িক থাকলেও এবার বাস টার্মিনাল থেকে মহাসড়কগুলোতে বেশ ফাঁকাই বলা চলে। তবে পরিবহন চালকদের দাবি আগামী সোমবার থেকে বাড়তে পারে যাত্রী চাপ। গতকাল শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেখা যায় যানবাহনের তুলনায় ঘরমুখো মানুষের মোটামুটি একটা চাপ তৈরী হয়েছে। কোথাও কোথাও যানজট দেখা মিললেও অধিকাংশ পথ জুড়েই ফাকা। গরমে গদাগদি এড়িয়ে প্রকৃতির সাথে ছন্দ মিলাতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আলাদা প্রাইভেট কার ভাড়া করে বাড়ি যাচ্ছেন অনেকে। নববধূ নিয়ে পরিবারের সাথে ঈদ পালন করতে ‘ফেনী’ যাবে পোষাক শ্রমিক ইমরান খান। যাত্রীচাপের ভোগান্তি এড়াতে আগে ভাগে হাজির হচ্ছে টিকিট কাউন্টারে। তিনি জানান, বিয়া কইরা নারায়ণগঞ্জ আহি বউ নিয়া। চাকরির লাইগা বাড়িত যাইতে পারি না। কিন্তু কোরবানির ঈদের ছুটিডা এবার পরিবারের লগেই কাটামু ভাবছি। একসাথে প্রতিবছর আমরা ভাইয়েরা কোরবানি দেই। টাকা বেশী লাগলেও বাড়ি যাওয়া লাগবো। হোসিয়ারি শ্রমিক আশিক বলেন, কোরবানির ঈদে বাড়ি না গেলে মন ভরে না। বাবা মায়ের সাথে না থাকতে পারলে ঈদকে ঈদ মনে হয় না। তাই সব সমস্যা দূর করে বাড়ি যাচ্ছি। বাবা মায়ের সাথে ঈদ কাটাবো। কিন্তু সকাল থেকেই অপেক্ষা করছি গাড়ির জন্য, কোন গাড়ি মিলছে না। রাস্তায় যানজট নেই কিন্তু গাড়ির সংখ্যা একেবারেই কম। ভাড়াও অনেক বেশী। দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে যাত্রীদের মোটামুটি চাপ থাকলে তেমন কোন বাসের সংকট নেই। কয়েকদিন পর যানবাহনের চাপ বাড়বে। টিকিট কাউন্টারগুলোতেও চাপ কম। আগামী সোমবার থেকে চাপ বাড়বে বলে ধারণা করছে পরিবহন শ্রমিকরা। দূরপাল্লা বাসের টিকেট কাউন্টারে বসে থাকা আরিফ হোসেনের সাথে কথা হয়। তিনি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, কোরবানির ইদের বাড়ি যাওয়া সবেমাত্র শুরু হয়েছে। আস্তে আস্তে শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে মানুষজন। এখনো তেমন কোন যাত্রী চাপ এখনো হয়নি। তবে কয়েকদিন পর যাত্রী চাপ বাড়বে। তিনি জানান, রাতের মোটামুটি একটা যাত্রী চাপ থাকে। তবে এটা আগামী সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে দিগুণ হবে। কথা হয় পরিবহন চালক হেয়ামত আলীর সাথে। তিনি বলেন, এখনো রাস্তা ঘাট মোটামুটি খালি আছে। তেমন কোন চাপ নেই। তবে বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী গরুর হাট হওয়ায় কিছু কিছু জায়গায় যানজটের কবলে পড়তে হয়। সামনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রুহুল আমিন সাগর বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ট্রাফিক বিভাগ সদা প্রস্তুত আছে। জানযট নিরসনসহ সকল ধরণের নিরাপত্তায় আমাদের পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এখন সড়কে যদিও একটু চাপ কম আছে। হয়তো ২৬ তারিখ থেকে মোটামুটি একটা চাপের মধ্যে থাকবে শহর ও মহাসড়ক। সেই ক্ষেত্রে আমাদের পুলিশের যথেষ্ট এলার্ট আছে। এছাড়া মোবাইল টিম ও সাদা পোশাকে পুলিশ থাকছে কোরবানির ইদকে কেন্দ্র করে। মানুষকে কোরবানির ঈদে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। এদিকে, কাচঁপুর হাইওয়ে থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) মো. ইব্রাহীম হোসেন বলেন, আমাদের হাইওয়ে পুলিশ কোরবানির ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে কাজ করছে। প্রতিটি পয়েন্টে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা