রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে কিশোর অপরাধীরা

ফতুল্লা প্রতিনিধি ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন একটি বৃহত্তর ইউনিয়ন এই ইউনিয়নে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস, মেইল ফ্যাক্টরি হওয়া এখানে বেশির ভাগ মানুষ অন্য দেশ থেকে এসে কর্ম জীবনের পাশাপাশি, বসবাস ও করেন। গত কয়েক বছরে এই ইউনিয়নের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের জাহের করার জন্য গড়ে তুলেছে কিশোর গ্যাং বাহিনী, যার ফলে অনেক নেতার ছত্রছায়া কুতুবপুর এখন কিশোর গ্যাং এর আতংকে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দুই দলের অনেক নেতারি আছে শিশু কিশোর গ্যাং বাহিনী, এরা এদের দিয়ে মিটিং মিছিল সহ নানা অপকর্ম সহ অপরাধ জগত ও নিয়ন্ত্রণ করেন। বেশ করে ইট, বালি, সিমেন্ট সহ বাড়ি গড় তৈরি করার সরানজাম নিয়ে এই কিশোর গ্যাং বাহিনী ধারা এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করায়। কুতুবপুরের প্রত্যেকটি পাড়া মহল্লায় এখন এই কিশোর অপরাধীদের আতংক, চুরি, ছিনতাই, মারা মারি, চাঁদাবাজি, গুম খুনের মত ঘটনাও ঘটেছে এই কিশোর অপরাধীদের নিয়ে। শান্ত কুতুবপুর কে অশান্ত করার চেষ্টা কিছু সার্থ নাশি অসাধু রাজনৈতিক নেতাদের, এরা মূলত এই কিশোর অপরাধীদের শেল্টার দাতা, অনেক নেতার নাম ব্যবহার করে অবাধে চলছে ইয়াবা, হিরোইন, গাজা মত মাদক ব্যবসা, চলছে বিভিন্ন মাদক স্পষ্ট। এদের থেকে মাসিক মাসোহারা নিয়ে এই কিশোরদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে মাদক, করানো হচ্ছে নানা অপরাধ মূলক কাজ, তাছাড়া ডিস, নেট ব্যবসাও এখন এই কিশোর অপরাধী দের হাতে, এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করেও হয়েছে একাধিক মারামারি কে কার ডিস নেট দখল করতে পারে সেই প্রতিযোগিতাও নেমেছে এই কিশোর অপরাধীরা। কুতুবপুরের তক্কামাট এলাকায় কিশোর অপরাধ সহ নানা অপকর্মের মূল হোতা জেলা যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন জুয়েলের ভাতিজা শামীম এর নিয়ন্ত্রণে তক্কামাট এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী এই বাহিনীতে রয়েছ প্রায় শতাধিক ওর বেশি কিশোর অপরাধী। নন্দলাল পুর এলাকায় ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক এইচ এম ইসহাক ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর নিয়ন্ত্রণে নাক্কা সাদ্দাম, সোহেল, পারভেজ, স্বাধীন, কালু, রাব্বি, টাইগার, আলামিন সহ প্রায় ২ শতাধিকরো বেশি কিশোর অপরাধী মাদক, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মারামারি মত ঘটনা করেই চলছে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় রয়েছে একাধিক মামলা, অভিযোগ, জিডির পাহাড়, এরি মধ্যে মাদক সহ এবং মারামারি একাধিক মামলায় জেল খেটে এসেও এরা শান্ত হয়নি করেই চলেছে একের পর এক কিশোর অপরাধ। নয়ামাটি মুসলিমপাড়া এলাকায় ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন হাওলাদার নিয়ন্ত্রণে ইউনুছ, জিহাদ, নিহাদ, নাঈম, শাকিল, রাকিব সহ প্রায় ৫০ জনেরও বেশি একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী রয়েছে, এদের প্রত্যেক বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা, অভিযোগ, জিডি ফতুল্লা মডেল থানায়। শাহীবাজার, বৌউবাজার, সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় কুতুবপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মীরুর নিয়ন্ত্রণে খলিল, গেন্দু, ইমরান, নাঈম, রবিন, মিসাইল, লিটন, রাকিব, সহ প্রায় ২ শতাধিকোর বেশি একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী রয়েছে, এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা, অভিযোগ জিডির পাড়ার। এরা ভয়ংকর অপরাধ জগতে সাথে জড়িত মাদক, চুরি, ছিনতাই, মারামারি সহ গুম খুনের মত অপরাধও করানো হয় এই কিশোর গ্যাং বাহিনী ধারা। নুরবাগ, আদর্শ নগর সহিদ নগর এলাকায় লিখন, আবির, শাওন, রায়হান, আরিফ, মুজাহিদ সহ প্রায় ৫০ জনেরো বেশি একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী রয়েছে এদের প্রত্যেকের রয়েছে আলাদা আলাদা বাহিনী, লিখন, ইব্রাহিম নুরবাগ থেকে আদর্শ নগর এলাকায় রয়েছে কিশোর গ্যাং বাহিনী এদের নিয়ন্ত্রণে মাদক ব্যবসা সহ নানা অপকর্ম করে বেড়ায় এদের বাহিনী, লিখন, ইব্রাহিম মূলত বিএনপির নেতাদের শেল্টারে বেপোয়ারা। সহিদ নগর এলাকার ত্রাস কিশোর গ্যাং লিডার গাজী মোল্লার ছেলে মুজাহিদ ওর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একটি বিশাল গ্যাং বাহিনী ফতুল্লা মডেল থানায় একাধিক অভিযোগের পরও কোন মুজাহিদদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। পুরো কুতুবপুর এখন এই কিশোর গ্যাং বাহিনীর আতংকে জেলা পুলিশের অচিরেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভয়ংকর রুপ ধারন করবে এই কিশোর অপরাধীরা।