আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:২১

হারিয়ে যাচ্ছে বিএনপির বিদ্রোহীরা

ডান্ডিবার্তা | ০৭ জুলাই, ২০২৩ | ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট এবারের ঈদে নেতাকর্মীদের পাশে দেখা যায়নি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী নেতাদের। দলীয় কর্মসূচি পালন করা থেকে শুরু করে সবসময় নেতাকর্মীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেও এ ঈদে মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী নেতাদের নিরব ভূমিকা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঈদ ও ঈদ পরবর্তী সময়ে তাদের যেন কোনো ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না। দিন দিন যেন তারা ফুটো বেলুনের মতো মিইয়ে পড়ছেন। দলীয় সূত্র বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবারের ঈদুল আজহা বেশ শুরুত্বপূর্ণ ছিলো। দলীয় আন্দোলন সংগ্রাম থেকে শুরু করে সবদিক দিয়েই সামনে মোক্ষম সময় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই ঈদ উপলক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ বাড়ানোর সুযোগ ছিলো। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার বেশ সুযোগ ছিলো। কিন্তু সেই সুযোগের স্বদ্যবহার করতে দেখা যায়নি মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী নেতাদের। নেতাকর্মীদের সাথে কোনো রকমের যোগাযোগ করতে যায়নি নেতাকর্মীদেরকে। দলীয় সূত্র বলছে, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে অ্যাডভোকেট মো. শাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব হিসেবে অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এই কমিটি ঘোষণার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি থেকে ১৫ জন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। পদত্যাগকারী নেতারা হলেন- মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে থাকা আব্দুস সবুর খান সেন্টু, হাজী নুরুদ্দিন, বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ও সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা। সেই সাথে সদস্য পদে থাকা পদত্যাগকারী নেতারা হলেন- আওলাদ হোসেন, হান্নান সরকার অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন শোখন, আলমগীর হোসেন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, শহীদুল ইসলাম রিপন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, আমিনুর ইসলাম মিঠু, ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, মো. ফারুক হোসেন। পরবর্তীতে তাদের সাথে যোগ দেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন। কমিটি ঘোষণার পর তিনি দূরে থাকলেও কয়েকটি কর্মসূচির পর বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে থাকা আতাউর রহমান মুকুল ও আব্দুস সবুর সেন্টুর সাথে মিলে কর্মসূচিতে অংশ নেন। সেই সাথে কর্মসূচির নেতৃত্বও দেন। আর কিছুদিন পর তাদের সাথে যোগ দেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এইচ মামুন। তারা সকলে মিলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অধীনে থাকা থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো পাল্টা কমিটি ঘোষণা দিতে থাকেন। সেই সাথে তারা আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করতে থাকেন। যেখানে সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বে আয়োজিত নেতাকর্মীদের থেকে বেশি নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ দেখা মিলে। তাদের একের পর কর্মসূচিতে অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলো মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। মূল নেতৃত্বে থেকেও বিদ্রোহীদের সাথে কুলিয়ে উঠতে পারছিলো না। কিন্তু বিদ্রোহীদের সেই অবস্থান বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি। ধীরে ধীরে তাদের বলয়ে থাকা নেতারা সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বলয়ে ফিরতে শুরু করেন। তাদের সাথে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সেই সাথে সাখাওয়াত ও টিপু সাংগঠনিক দিক দিয়েও মহানগর বিএনপিকে গুছিয়ে নিয়ে এসেছেন। সবশেষ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপ ছেড়ে সাখাওয়াত হোসেন ও আবু আর ইউসুফ খান টিপুর বলয়ে ফিরেছেন হাজী নুরুদ্দিন আহমেদ। গত ৮ জুন আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে ফুল দিয়ে তিনি বলয় পরিবর্তন করেন। সেই সাথে তারাও হাজী নুরুদ্দিনকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। এর আগে তাদের বলয়ে ফিরেন অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন। এভাবে দিন দিন মহানগর বিএনপির সাখাওয়াত ও টিপুর বলয়টি শক্তিশালী হয়ে উঠে। বিপরীতে বিদ্রোহী বলয়টি শক্তি হারায়। শেষ পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সাথেও তাদের যোগাযোগটা কমে এসেছে। দলীয় কর্মসূচিতে নিরব থাকার পাশাপাশি এবার যেন তারা নেতাকর্মীদের থেকেও দূরে সরে যাচ্ছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা