মহানগর যুবদলে পরিবর্তন চায় তৃণমূল

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের রাজনীতিকে বর্তমানে ধ্বংসের দিকে ঢেলে দিচ্ছে কমিটির আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল। এই দুই নেতা আড়াইহাজারের এক বিতর্কিত নেতার দিক নির্দেশনায় মহানগর যুবদলকে লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। এমনকি এই দুই নেতার বিরুদ্ধে মহানগর যুবদলের কমিটি নিয়ে অর্থ স্বার্থের লড়াইয়ে ব্যাপকভাবে লিপ্ত হয়ে পরেছেন। আর তাদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় কয়েকটি কমিটি বানিজ্যের অভিযোগ ও কেন্দ্রে গিয়েছে। এছাড়াও নানা বিতর্কের মাধ্যমে মহানগর যুবদলের সংগঠনকে ধ্বংসের রূপ দিয়েছে। এ ছাড়া জানা গেছে, মহানগর যুবদলের সুপার ফাইভ কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব একক আধিত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহানগর যুবদলকে গ্রুপ উপগ্রুপে বিভক্ত করে দিব্যি মহানগর যুবদলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিভক্তি সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি করে আর্থিক সুবিধার মাধ্যমে কমিটি গঠনের বিস্তর অভিযোগে জড়িয়ে মহানগর যুবদলের কমিটিকে পূর্ণতা দিতে গিয়ে বেশ কয়েকবার কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতাদের নিকট ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। এছাড়াও মহানগর যুবদলে যে হারে আজাদের কালো ছায়া পড়েছে সেটা যেন আরো অন্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর না পরে সেই লক্ষ্যেই এবার মন্তু-সজলের বদলে নেতাকর্মীরা মহানগর যুবদলে নতুন নেতৃত্বে চায়। ইতিমধ্যে ব্যাপক হারে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রামের ভূমিকা আরো বৃদ্ধি করে দিয়েছে ইতিমধ্যে আলোচনায় রয়েছে মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, বর্তমান মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ এমন আরো ডজন খানিক পদপত্যাশী নেতাকর্মী। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর মমতাজউদ্দীন মন্তুকে আহ্বায়ক এবং মনিরুল ইসলাম সজলকে সদস্য সচিব করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট মহানগর যুবদলের সুপার ফাইভ কমিটি গঠন করা হয়। মহানগর যুবদলে মন্তূ-সজল নেতৃত্বে আসার পর থেকেই নানা রকম বিতর্কে জড়িয়ে মহানগর যুবদলকে একটি বিতর্কিত সংগঠনে রূপ দেয়। এছাড়াও তারা বিগত দিনে মহানগর যুবদলে যে চেইন অব কমান্ড ছিল তা ভেঙ্গে সংসঠনটিকে লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। এমনকি বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে কমিটিতে স্থান দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরেই মন্তু-সজলের নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনা চলমান ছিল এবং তাদের অযোগ্য নেতৃত্ব অপসারণের দাবি উঠছিল। মন্তু-সজলের সকল বিতর্কিত কর্মকান্ড সম্পর্কে কেন্দ্র অবগত এবং তাদের বিতর্কিত নেতৃত্বের উপর কেন্দ্র তেক্ত বিরক্ত। যার কারণে মহানগর যুবদলে রদ-বদলের মাধ্যমে কমিটি করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে ডজন খানিক নেতাকর্মী দায়িত্ব পেতে যে যার যার মতো করে লবিং চলমান রেখেছে। মহানগর যুবদলে নেতৃত্ব প্রত্যাশায় ক্লিন ইমেজের দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত রাজপথের নেতা হিসেবে আলোচনার সর্বশিখড়ে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জোসেফ। মহানগর যুবদলে সাম্প্রতিক সময়ে আন্দোলন সংগ্রাম দলীয় কর্মসূচিতে মহানগর যুবদলের পক্ষে রাজপথে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের অর্ন্তভুক্ত সকল থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে জোসেফের বিপুল পরিমাণ সমর্থক রয়েছে। এমনকি সকল আন্দোলন সংগ্রামে মহানগর যুবদলের আলাদা ব্যানারে তিনি ব্যাপক মিছিল নিয়ে সকল আন্দোলণ সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও আরো রয়েছে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহেদ আহম্মেদ তিনি ছাত্র রাজনীতি থাকার সময় থেকেই আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। এমনকি বর্তমানে ব্যাপক সক্রিয় হয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আর সাংগঠনিক ভাবেও আন্দোলন তার ভূমিকা ও অতুলনীয় যার কারণে তাকে নিয়ে ও তৃণমূলের আশাবাদী রয়েছে। অপরদিকে সাগর প্রধান সে দলীয় সকল আন্দোলণ সংগ্রামে বিগত দিন থেকেই একটিভ ও ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে। যার কারণে এদের মধ্যেই তৃণমূলের আশা ভরসা রয়েছে। যার কারণে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দাবি, যদি নতুন কমিটিতে রদ-বদলের মাধ্যমে এদের থেকে যাচাই বাছাই করে কমিটি দেওয়া হলে আগামীতে মহানগর যুবদল অনেকটাই শক্তিশালী হয়ে উঠবেন। এছাড়াও বর্তমানে মহানগর যুবদলকে যেভাবে ধ্বংস করে যাচ্ছে আজাদ সেখান থেকেও এই সংগঠনটি রাহুমুক্ত হয়ে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে যাবেন। এ বিষয়ে যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ বলেন, বর্তমানে আমরা বিএনপির সকল আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছি। আর আমাদেরকে কেন্দ্র বলেছে যে অতি শীঘ্রই মহানগর যুবদলের নতুন কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হবে। আর আমি ইতিমধ্যে আহ্বায়ক বা সভাপতি প্রার্থী হিসেবে রয়েছি দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করে তাহলে আমাকে দায়িত্ব প্রধান করবে। আর আমরা জিয়ার আদর্শের সৈনিক আমরা দলকে ভালোবেসে কাজ করি। আর সারা জীবন এভাবেই আদর্শের সহিত রাজপথে কাজ করে যাবো। এ বিষয়ে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ বলেন, আপনারা জানেন যে কোন আহ্বায়ক কমিটির নির্দিষ্ট একটা মেয়াদ থাকে। আর যদি মেয়াদ বাড়ানো হয় সেটা হয় হলো কার্যক্রম বা সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের এই কমিটি ২ বছর হয়ে গেছে কিন্তু আন্দোলন সংগ্রামের ভূমিকা কম বললেই চলে। আর আমরা শুনেছি শীঘ্রই কমিটি আসতে যাচ্ছে এখন কবে আসবে সেটা আমি জানি না। আর বর্তমানে আমরা এই কমিটিতে আছি যদি দল আমাদের যোগ্য মনে করে থাকে তাহলে ভালো একটি দায়িত্ব আমার হাতে তুলে দিবে।