আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | রাত ১২:২৩

স্বামীর ইয়াবা ব্যবসা স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে

ডান্ডিবার্তা | ১০ জুলাই, ২০২৩ | ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ

বন্দর প্রতিনিধি আলো, একজন নওমুসলিম সুন্দরী নারীর নাম। বয়স তার ৩৫। মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রারে নাম তার নূরজাহান। পরিবার তার নাম রেখেছিলেন শ্রী আলো রানী দাস। মাদক জগতে আলো নামে তার ব্যাপক পরিচিতি একজন নারী। স্বামী মারা যাওয়ার পর নিজ এলাকাতে চালিয়ে যাচ্ছে তার মাদক করবার। মাদক সম্রজ্ঞী আলো, বন্দরের মুছাপুর ইউপির লাঙ্গলবন্দ নগর এলাকার মৃত শ্রী নিতাই চন্দ্র দাসের মেয়ে। প্রেমের সম্পর্কে গড়ে তুলে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে প্রতিবেশী মো. জামান মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। স্বামী ছিলেন একজন চিহিৃত মাদক কারবারি ও মাদকাসক্ত। স্বামীর মৃত্যুর পর আলো তার মাদক কারবার পরিচালনা করছেন বলে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ। নিজ এলাকায় চিড়ইপাড়া (কাঠ পট্রি) সহ মুছাপুর ইউনিয়নে ডজন খানেক স্পটে প্রকাশ্যে সরবরাহ করছে ইয়াবাসহ বিভিন্ন জাতীয় মাদক দ্রব্য। পুলিশের নিরব ভূমিকায় ব্যাপক ভাবে তার ইয়াবা সরবরাহে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা, ধ্বংসের মূখে যুবসমাজ। এলাকাবাসী জানান, আলো পূর্বের স্বামী ও পূজা রানী দাস নামে এক কন্যা সন্তান রেখে পরকীয়া করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে প্রতিবেশী মৃত গিয়াসউদ্দিনের ছেলে জামানকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্বামীর সংসারে ১১ বছরের নিরব নামে এক ছেলে রেখে মাদকাসক্ত হয়ে মারা যায় স্বামী জামান। অতিরিক্ত মাদকাসক্ত হয়ে দুই মাস আগে স্বামী মারা গেলেও তার মাদক ব্যবসা ছাড়েনি আলো। একই ইউপির মিনারবাড়ি ডুমুরতলার এলাকার কানা মিয়ার স্ত্রী সাথী বেগম পাইকারি হিসাবে আলোর হাতে এসব মাদক দ্রব্য তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব মাদক দ্রব্য লাঙ্গলবন্দ নগর জয়দেব চন্দ্র দাসের ছেলে সন্তোষ চন্দ্র দাসের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পটে সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অভিযোগ, মাদক ব্যবসার কারণে আলো ও তার দ্বিতীয় স্বামী জামান একাধিক বার গ্রেপ্তার হয়েছে। বর্তমানে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বিদায় স্বামী মারা যাওয়ার পর প্রকাশ্যে এ মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে আলো। আলোর এসব কর্মকান্ডে স্থানীয় ভাবে দুই ধর্মের লোকজন বিপাকে। মাদক সম্রজ্ঞী আলো জানান, ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে জামানের সঙ্গে আমার বিয়ে হয় ১২ বছর। ১১ বছরের নিরব নামে এক সন্তান রেখে স্বামী মারা যায়। পিত্রালয় ও স্বামীর বাড়ি থেকে কোনো সহযোগী না পেয়ে অবশেষে স্বামীর ব্যবসায় ছেলেকে নিয়ে বেঁচে আছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা