রাহু মুক্ত হচ্ছে না’গঞ্জ বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং মহানগর বিএনপি থানা ও অঙ্গসংগঠনে একচ্ছত্র প্রভাব সৃষ্টের মাধ্যমে বিএনপিকে তছনছের মিশনে লিপ্ত ছিল নজরুল ইসলাম আজাদ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি ইউটার্ন নেয়াতে আজাদের সকল মিশন উল্টো তছনছের উপক্রম হয়েছে। কারণ বিতর্কিত শ্রেণীর নেতাদের দ্বারা নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং মহানগর বিএনপি থানা ও অঙ্গসংগঠনে উচ্চপদস্থ পদে পদায়ন করে আজাদ মার্কা সংগঠন বিনির্মাণ করতে গিয়ে পুরো সংগঠনকে একটি বিতর্কিত সংগঠনে রূপ দিয়েছে। যার কারণে শীঘ্রই আজাদ মার্কা নেতাদের দ্বারা যেসকল সংগঠনে নেতৃত্ব চলমান রয়েছে সে সকল সংগঠন শীঘ্রই বিলুপ্তির ঘন্টা বাজছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির উচ্চপদস্থ পদে থাকা নজরুল ইসলাম আজাদের একান্ত সহযোগী বিএনএফ বিএনপি ভাঙার মিশনে লিপ্ত থাকা বিতর্কিত মাশুকুল ইসলাম রাজীবকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করতে গিয়ে সে মিশনেও শেষতক ব্যর্থ হন। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে নজরুল ইসলাম আজাদের আশিবাদপুষ্ট নেতা হিসেবে বিবেচিত বিএনএফ দ্বারা বিএনপিকে ভাঙার মিশনে লিপ্ত থাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সম্মেলনে আজাদের পূর্ণসমর্থনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হয়েছে। তবে তৃণমূলের ব্যাপক অনিহার কারণে শেষতক টিপুও মহানগর বিএনপির সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে সাধারণ সম্পাদক পদে ভরাডুবি ঘটতে পারে। এছাড়া আজাদ মার্কা মহানগর যুবদলের বিতর্কিত আহ্বায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু এবং সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল কমিটির বিদায়ের ঘন্টা বাজতে যাচ্ছে। সূত্র বলছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহ-আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিকে মুঠোবন্ধি করে ছিলেন। কারণ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি থেকে শুরু করে সকল অঙ্গসংগঠনে একচ্ছত্র আদিপত্য প্রতিষ্ঠা নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে মুঠোবন্ধি করেছিল। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বয়ক হিসেবে আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দিনকে এবং সদস্য সচিব পদে গোলাম ফারুক খোকনকে নির্বাচিত করা হলে ধীরে ধীরে বদলে যেতে পারে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি। এরপর থেকেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতি থেকে আজাদের একচ্ছত্র আদিপত্য ধীরে ধীরে ধসে পড়তে থাকে। একচ্ছত্র আদিপত্য বিস্তার থেকে শটকে গিয়ে ফের নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং মহানগর বিএনপির কমিটিগুলোতে উপরের পদে নিজের অনুসারীদের পদায়নের মাধ্যমে আদিপত্য বজায় রাখার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে আজাদের তল্পিবাহক হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু দীর্ঘদিন ধরে আজাদের শেল্টারে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে বলে গুঞ্জন ছিল। যার কারণে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কমিটিগুলোতে আজাদ অনুসারী নেতাদের পদায়ন করেছে টিপু। তবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সম্মেলন অপেক্ষমান থাকলেও টিপুর নেতৃত্বকে মেনে নিতে রাজী নন। এছাড়া বিএনএফ সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের স্ত্রী বিদিশার সাথে সখ্যতার ছবিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। যার কারণে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সম্মেলনে টিপুকে ভোটের মাধ্যমে কাউন্সিলর নির্বাচিত করতে উদগ্রীব নন। এতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতিতেও আজাদের মিশন ফ্লপ হতে যাচ্ছে। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু এবং সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল আজাদের নির্দেশনায় মহানগর যুবদলকে পরিচালনা করতে গিয়ে একটি বিতর্কিত সংগঠনে রূপ দিয়েছে। এছাড়া মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল নজরুল ইসলাম আজাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত। এছাড়া আজাদের নির্দেশনায় মূল দলের যুগ্ম সম্পাদক পদ ছেড়ে যুবদলে সদস্য সচিব পদের লোভে যুবদলে যোগদান করেন। তবে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু এবং সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল নেতৃত্ব আসার পর থেকেই কমিটি নিয়ে আর্থিক সুবিধার বিষয়টি ব্যাপক ভাবে আলোচিত। এছাড়া মহানগর যুবদলের ইউনিট কমিটিগুলো গঠনেও ব্যর্থ হয়েছে। যার কারণে শীঘ্রই মহানগর যুবদলের বর্তমান আজাদ মার্কা আহ্বায়ক কমিটির বিদায়ের ঘন্টা বাজতে যাচ্ছে।