বিএনপির পায়ের নীচে মাটি নেই

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিএনপির সকল নৈরাজ্য রুখতে আওয়ামী লীগের নের্তৃত্বে আমরা প্রস্তুত আছি উল্লেখ্য করে চেয়ারম্যান এমএ রশিদ বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এখন নিজেদের অবস্থান হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নিজেদের অবস্থান হারিয়ে দিশেহারা তারা এখন বিদেশী প্রভুদের উপর নির্ভরশীল। রাজপথ দখলে নিতে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করবে। অপরদিকে বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে কঠোর ভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের হুশিয়ারি সরকার দলীয় নেতাদের। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাদের পায়ের নীচের মাটি নেই। বিদেশী প্রভুদের উপর নির্ভর করে দেশে কোন প্রকার অরজগতা বা সমগ্র দেশেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে অনেকের আশংকা। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও জনগণের জান মাল রক্ষার্থে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ বলেন, ‘বিএনপির সকল নৈরাজ্য রুখতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা প্রস্তুত আছি। দলের হাইকমান্ড যে নির্দেশ দিবে সে অনুযায়ী আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে অবস্থান নেবো। দল যদি নির্দেশনা দিবে সে অনুযায়ী বন্দর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠন গুলো কাজ করবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি নৈরাজ্য ও আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি করে। ২০০১ সালে ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত লুটপাট চালিয়ে দেশের অর্থনীতিকে শেষ করে দিয়েছিলো। দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে একটানা ৫ বছর চ্যাম্পিয়ন করেছে। জুলুম নির্যাতন, হামলা মামলা এবং বোমা মেরে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। ২০১৫ সালে লাগাতার ১৫৩ দিনের হরতাল অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে ও তারা আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে অসংখ্য সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের জোয়াড়ে ভাসছে। মানুষ আজ শান্তিতে বসবাস করছে। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে বিএনপি মেনে নিতে পারছেনা। বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন একটি দল। তাদের হুংকারে আমরা ভীত নই। বিএনপির সকল নৈরাজ্যকে মোকাবেলা করতে আমরা প্রস্তুত আছি’। বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান বলেছেন,বিএনপি গনতন্ত্রের কথা বলে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত। ওরা খুনির দল। ২০০১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত আমাদের ১৭হাজার লোককে হত্যা করে আজ ওরা গনতন্ত্রের কথা বলে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের পোলিং এজেন্ট হওয়ার কারনে ওরা আমাদের এক নারী কর্মীকে গনধর্ষণ করে হত্যা করেছে। অথচ আজ ওরা গনতন্ত্রের কথা বলে। যারা বাসে ঘুমন্ত পরিবহন শ্রমিককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের মুখে গনতন্ত্র মুক্তির কথা মানায় না। এতিমের হক লুন্ঠনকারী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী দিতে বিএনপি আজ এদেশ চালাতে চান এটা করতে দেয়া হবে না। এদেশের জনগন আপনাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায়না। ওদের এই প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে হুশিয়ার করে দিতে চাই সাবধান হয়ে যান। কোন বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে দাতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, সরকার সাড়ে ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন করেছে সে সাফল্যগুলো জনগনের কাছে তুলে ধরেন। শুধু উন্নয়ন গুলো তুলে ধরেন ভোট চাইতে হবে না। বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী এম এ সালাম বলেন, নিজেকে নিয়ে যারা খেলছে তারা নিজেও বুঝেন তারা কারা। বিএনপি করবেন আবার উল্টো ভাষায় কথা বলবে। তা মানতে কষ্ট হয়। দল করি আদর্শের ভাওতাবাজি করার জন্য না। সরকারী দল করি বলে মুখ বন্ধ করে চুপ করে আছি। কারন আমি কিছু করতে গেলে দল ও আমার নেতা শামীম ওসমান ভাইয়ের গায়ে লাগবে। তাই চুপ করে বসে বসে দেখছি তারা কি করছে। ধর্য্যেরও সীমা আছে। আর খেলার চেষ্টা কইরেন না। ভাল হবে না। খেলতে যদি মাঠে নামতে হয় দেখবো!! ডু-অর ডাই। বিএনপি করেন ভাল। বহুরূপীদের কিভাবে জবাব দিতে হয় আমার নেতাদের কাছ থেকে কিছুটা শিখেছি। মহানগর শ্রমিকলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, মানুষের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা, রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা এবং সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলে কোনো অপশক্তিই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। বিএনপি যদি সমাবেশের নামে নৈরাজ্য করলে তার ফল হবে কঠোর। আন্দোলন করা তাদের অধিকার আছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে কোন প্রকার নৈরাজ্য, জ্বালাও পোরাও অগ্নি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মানুষের চোখে জল। চিরন্তন কায়ক্লেশে কপোল বেয়ে অশ্রু। চলমান শ্রাবণের জলকেও ছাপিয়ে যাওয়া। ডুকরে ডুকরে কেঁদে ফেলার অনিবার্য বাস্তবতা। জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে হায়েনারা হত্যা করার মধ্য দিয়ে জানান দিয়েছিল, প্রতিবিপ্লব এভাবে করতে হয়। সেই অশুভ আত্মারা আজও অযাচিত প্রেক্ষাপট প্রত্যাশী। যেন শকুনের মত করে অপেক্ষারত ! লাশের মাংস। বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস আই জুয়েল বলেন, “গোষ্ঠিগত, জাতীয় কিংবা রাষ্ট্রনায়ক হতে চাইলে পরিচ্ছন্ন মনের শরীর ধোয়া ব্যক্তি বিশেষের প্রয়োজন।” আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শেখ হাসিনা তেমনই এক সত্তা—— নিশ্চয়ই পেছনের পৃষ্ঠাও বলবে, ক্লিন ইমেজের সৎ সত্তাধারী মানুষটিই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে যতদিন থাকবে, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। যুবলীগ নেতা খান মাসুদ বলেন, বিএনপি জামাত ২০১৩-১৪ সালের মতো আবারো জ্বালাও পোড়াও করে বাংলাদেশকে পিছনে ফেলে দিতে চাচ্ছে। তারা আফগানিস্তানের তালেবানের মতো এই বাংলাদেশকে চালাতে চাচ্ছে। আমার একটাই প্রশ্ন এই জামাত বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে সাধারণ মানুষের এক টাকার উপকার হবে কিনা আমি জানি না। কারণ তারা আগেই লুটেরা ছিল। তারা বাংলাদেশের মানুষের রক্ত চুষে খাবে, বোমাবাজি করবে। ২০০৪ সালে গ্রেনেড মেরেছে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে। খান মাসুদ আরো বলেন, তারা ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে এক সময়ে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা করেছে। তারা গ্রেনেড মেরে আমাদের প্রিয় নেত্রীকে হত্যা করতে চেয়ে ছিল। তারা চেয়ে ছিল পাকিস্তানি কায়দায় বাংলাদেশকে চালাবে। তাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে টিভি চ্যানেল ও ফেসবুক। এই এক বছরে আপনার যদি সরকরের বিরুদ্ধে বা জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে চান তাহলে আমাদের নেতা একেএম শামীম ওসমান যে নির্দেশ দিবে তা আমরা বন্দরের নেতারা পালন করবো। আপনার কোন সরকার বিরোধী কাজ বন্দরে করবেন না। চৌদ্দ বছর সহ্য করেছি এই এক বছর কিন্তু সহ্য করবো না। বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব হাফেজ আইয়ুব মেম্বার বলেন, এটা স্বাধীন দেশ। স্বাধীন দেশে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সমান। গণতন্ত্রের নামে অগ্নি সন্ত্রাসী এক বিন্দু ছাড় দেয়া হবে না। প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান ভাই ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের অভিভাবক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদ চাচার দিক নির্দেশনায় রাজপথে আছি, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে থাকবো। তিনি আরো বলেন ক্লিন ইমেজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ের শীর্ষ চরিত্র হতে হলে আবশ্যক, ইতিহাস তেমন ধারাভাষ্য দেয়। ঢাকামুখী রাজনৈতিক পদারচনার মধ্য দিয়ে যারা নিজেদের জাতীয় নেতা বলতে স্বস্তিতে থাকছেন, আদৌ মানের বিচারে তাঁরা আওয়ামী লীগের মত দলকে শীর্ষ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করার মানদ-ে থাকা রাজনীতিকবর্গ তো? বৈশ্বিক দূতিয়ালিতে তাঁরা সিদ্ধহস্ত সত্তা হতে পেরেছেন কি ? আওয়ামীলীগ মানে গনতন্ত্র, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন। আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের পেছনে সকল আন্দোলন, সংগ্রামের সূতিগাথা। এদিকে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক অপশক্তি মোকাবেলায় সর্ব সময় প্রস্তুত। আদৌ কি সফল।