আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ৮:১৭

স্বেচ্ছাসেবক লীগে পদপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাপ

ডান্ডিবার্তা | ১৩ জুলাই, ২০২৩ | ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগে সম্মেলন। আর কমিটিতে পদ পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়ে পদপ্রত্যাশীরা। এই সম্মেলনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই নেতা-কর্মীদের মাঝে রয়েছে ব্যাপক উদ্দীপনা তার পাশাপাশি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের রয়েছে কিছু ক্ষোভ। এছাড়াও ইতি মধ্যে পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা যে যার মতো করে দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সকলের দাবি এবার যাতে বিগত দিনের মতো কমিটি না করে যোগ্য ও কর্মবান্ধব নেতা দ্বারাই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হতে চাচ্ছে বিতর্কিত নেতৃবৃন্দরাই। জেলার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মূল দলে থেকে ও আবার স্বেচ্ছাসেবকলীগে ছড়ি ঘুরাতে অনেকেউ উঠে পরে লেগেছে। যাদের কারনে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মীরা পদবিচ্ছিন্ন হয়। আর তারা নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড করেও একসাথে কয়েকটি পদ নিয়ে নিশ্চুপ বসে থাকেন। এদিকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগে কর্মীবিহীন নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাঁপই বেশি দেখা যায়। বর্তমানে আলোচনায় আসতে চাচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জের শফিকুল ইসলাম শফিক যিনি দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা নেতা হিসেবে পরিচিতি। অপর দিকে বিতর্কিত নেতার কর্মী রুবেল অপর দিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগে সাধারন সম্পাদক পদে কর্মীবিহীন ছড়ি ঘুরাতে উঠে পরে লেগেছে জামির হোসেন রনি। সভাপতি হিসেবে সোনারগাঁ উপজেলা কমিটিতে থেকে ও অঙ্গসংগঠনে ছগীর ও মাসুম এরা ডাবল কমিটির দায়িত্ব নিতে উঠে পরে লেগেছে। কিন্তু হিসেব অনুযায়ী মূল দলের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি হয়েছে এমন নজির দেখা যায় না বললেই চলে যদি নেতৃত্বের অভাব হয় তাহলে কোন কোন ক্ষেত্রে এমনটা হলেও কম। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মতো একটি জেলায় যেখানে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে এখানে কিভাবে নেতৃত্বের অভাব হওয়াটাই অস্বাভাবিক। যেই ক্ষেত্রে তৃণমূলের দাবি, সম্মেলনের মাধ্যমে যাতে কোন বিকর্তিক নেতাকর্মী স্থান না পায় যোগ্য ও পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাদের বেঁছে যাতে কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি জুয়েল আহম্মেদ সিটি নির্বাচনে শামীম ওসমানকে খুশি করার লক্ষে নৌকার পক্ষে কাজ না করতে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এমনই কারণ দেখিয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান সেই সময় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব থাকার সময় কালেই তিনি মাদকদ্রব্যসহ ফেন্সিডিল নিয়ে গ্রেফতার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসবকলীগের নাম বিক্রি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। এমনকি জোরপূর্বকভাবে আরেক জনের বাসা দখল করে নিজে বসবাস করার নজির ও রয়েছে তার এমন নানা বির্তকে বিতর্কিত নেতা দুলাল। এছাড়া মহানগর স্বেচ্ছাসেবকর লীগের কমিটি গঠনের পর থেকে তাদের অধীনে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে তেমন একটা উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। তবে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন অনেকবারই ঘোষণা দিয়েছেন যে কিছুদিনের মধ্যেই থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু কার্যত সেই ঘোষণার বাস্তবতা পরিলক্ষিত হয় নাই। এমন নানা বিতর্কের কারণে নতুন কমিটির দায়িত্বে তাদের নাম আলোচনায় নাই বললেই চলে। তাদের দ্বারা সংগঠন তৈরি নয় র্ধ্বংস হবে এমনই দাবি তৃণমূলের। এদিকে নানা বিতর্কিত নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যেই জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির মূল দায়িত্বে আসতে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হতে চাচ্ছে। যাদের দ্বারা সংগঠনটি তলিয়ে যাবে বলেই দাবি, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের এমনকি কয়েকজন নেতা বিতর্কিত হয়ে ও আসতে চায় মূল দ্বারা রাজনীতিতে। জানা গেছে, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক যিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে মহানগর স্বেছাসেবক লীগের হয়ে কাজ করতে চাচ্ছে। কিন্তু ইতিমধ্যে কয়েকদিনে ও সংগঠনের জন্য এই শফিকের কোন বড় শোডাউন নেতাকর্মীদের চোখে পরেনি। এছাড়া ৭ খুনের প্রধান আসামী নূর হোসেনের সহযোগী সাবেক কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্যালক এই শফিকুল ইসলাম শফিক। এই নেতা নির্বাচনের সময় নৌকা বিরোধীদের সাথে সমন্বয় করে চলে আবার এদিকে মেয়রের সাথের নেতাকর্মীদের সাথে ও আতাঁত করে চলে। এই দুই নৌকায় পা দিয়ে চলাটাই তার জন্য কাল হবে বলে দাবি করছেন তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। এদিকে মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী কায়কোবাদ রুবেল জেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কিত নেতা জাহাঙ্গীর আলমের উপর ভরসা করে মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। এদিকে জাহাঙ্গীরেই পদ নাই তার উপর ভর করে সভাপতির দায়িত্ব চায় কায়কোবাদ রুবেল এটা হাস্যকর ছাড়া আর কিছু না। জানা গেছে, এর আগে এই জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা বিরোধী দল মন্তব্য করে দল থেকে বহিস্কার হয়েছিলেন এই জাহাঙ্গীর আলম পরবর্তীতে ক্ষমা প্রার্থনার পর তাকে দলে রেখেছে তখনই জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন হয় যেখানে আব্দুল হাইকে সভাপতি ও ভিপি বাদলকে সাধারন সম্পাদক করা হয়। যার কারণে বর্তমানে কোন পদ পদবী নেই এই জাহাঙ্গীরের এদিকে এই বিতর্কিত নেতা জাহাঙ্গীর বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পরে এই জাহাঙ্গীর আলম। এখন না আওয়ামী লীগ না বিএনপি দুই দলের নেতাকর্মীরাই তার প্রতি ক্ষুদ্ধ। এদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলার বিভিন্ন জায়গায় যখন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা শুরু করে। সেই সময় জাহঙ্গীরের হয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রাথী কায়কোবাদ রুবেল জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসবক লীগের ব্যানারে বাচ্চাদের নিয়ে শোডাউন করে এই রুবেল এটা পুরো জেলা ও মহানগরে দৃষ্টিটুকু হয়েছে এবং রুবেলের যে কর্মী নেই সেটা প্রমানিত হয়ে গেছে। এদিকে মহানগরের মতো করে জেলার দিকে ও চোখ রয়েছে সবার জেলা যেহেতু একটু বড় আওতা নিয়ে গঠিত তাই এখানে যোগ্য নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব তুলে দিলে সংগঠনটি আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কিন্তু বর্তমানে মূল দলে থেকে ও অনেকে অঙ্গ সংগঠনের এই স্বেচ্ছাসেবক লীগে ছড়ি ঘুরাতে চাচ্ছেন যা নিয়ে তৃণমূলের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ মান রয়েছে। এদিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী হয়ে বসে আছেন ঢাকা কলেজের সাবেক সভাপতি ছগীর আহম্মেদ তিনি দুদান্ত পলিটিশিয়ান। কিন্তু সময়কার রাজনীতিতে বিভিন্ন বড় বড় পদে পদায়ন হয়েছে কিন্তু তার কোন প্রমোশন হয়নি। তাই কিন্তু এক সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব চাইলে ও এখন তিনি সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী একটি পদস্থ হয়ে গেছেন। তাই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অনেকটাই মনে করছে যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে কোন স্থান না পেলেও ছগীরের আহামীর কোন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভবনা নেই। একই সাথে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মাসুমের ক্ষেত্রে ও একই অবস্থা তার বড় ভাই মাহফুজুর রহমান কালাম স্বপদে আবারও সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। এদিকে মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন। সেখানে মূল দল থেকে আবারও স্বেচ্ছাসেবক লীগে আবারও ছড়ি ঘুরানোর জন্য দুই পদেই থাকার কি প্রয়োজন এটা নিয়ে ও নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। অপর দিকে জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী জামির হোসেন রনি তিনি দেওভোগের বাসিন্দা আর তিনি জেলা নিয়ে কি চিন্তা করবে তিনি তো দেওভোগ থেকেই বেড় হতে পারে না। এদিকে মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল ও সাধারন সম্পাদক দুলাল একচ্ছত্রভাবে মনে করেন যে, এক মাত্র শামীম ওসমানকেই খুশি করতে পারলেই তাদের পদ নিশ্চিত। এমনি করে এই প্রার্থী রনি ও মনে করে মেয়র আইভীকে খুশি করতে পারলেই তিনি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক হয়ে যাবেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা