আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ৮:১২

পুলিশের অভিযানে ঘরছাড়া বিএনপি

ডান্ডিবার্তা | ১৩ জুলাই, ২০২৩ | ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ঢাকার পল্টনে অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে এবং এতে অনেকেই আটক গ্রেপ্তার হয়েছেন দাবী করেছেন দলটির নেতারা। তবে পুলিশ বলছে এটা তাদের নিয়মিত অভিযান। সমাবেশ ঘিরে কোন ধরনের ধরপাকড় চলছে না। গত মঙ্গলবার রাতে বন্দরে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুলের বাড়ির সামনে পুলিশ মহড়া দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ সময় বাড়ির গেইট তালাবদ্ধ ও ভেতরে কেউ না থাকায়, পুলিশ সেখানে অবস্থানের পর ফিরে যায়। প্রতক্ষ্যদর্শী ও বন্দরের এক বিএনপি নেতা জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর প্রথমে বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত আতাউর রহমান মুকুলের বাস ভবনে যায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে কাউকে না পেয়ে তার বাড়ি ঘেরাও করে রাখেন তারা। ভেতরে প্রবেশ করতে চেষ্টা চালায়। এরপর আতাউর রহমান মুকুলের বড় ভাই বদিউর রহমান বাদলের বাড়িতে যায় পুলিশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আতাউর রহমান মুকুল বলেন, নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে বাধা সৃষ্টি করতেই পুলিশের এই আচরণ। এটি আসলে আমাদের নেতাকর্মীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা মাত্র। সবশেষ প্রাপ্ত খবর মোতাবেক আটককৃতরা হলো কাঞ্চন পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কোহিনূর আলম, কাঞ্চন পৌর বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক জাকির উদ্দিন, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনিপর সভাপতি মজিদ ভূইয়া, কাঞ্চন পৌরসভা জিয়া পরিষদের আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম শিমুল, সিদ্ধিরগঞ্জের গাজী মনির হোসেন, গাজী মাসুম ও হযরত আলী। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে বাকীদের নাম জানা যায়নি। জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ বলেন, আমাদের তিনজনকে লোককে গ্রেফতারের খবর পেয়েছি। এদের মধ্যে একজনকে বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ধরে নিয়ে গেছে। সে বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো না। আমার জানামতে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নামে কোনো মামলা কিংবা ওয়ারেন্ট ছিলো না। তিনি আরও বলেন, আমাদের সমাবেশে যেন লোকজন কম হয় সেজন্য এই ধরপাকড় করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য এই গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে তারা তারা যতই বাধা সৃষ্টি করুক আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশে হাজির হবোই। আমাদের নেতাকর্মীদের কেউ আটকিয়ে রাখতে পারবে না। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমাদের সমাবেশকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য সরকার বিভিন্নভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা যে সকল বাস ঠিক করেছিলাম সেসকল যাবে না বলে আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। বিএনপি যে কোনো কর্মসূচির সময়েই সরকারী দলের লোকজন এসকল কাজ করে থাকে। সেই সাথে পুলিশের সদস্যরা নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে থাকে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, বুধবার সমাবেশের প্রাক্কালে অন্যায়ভাবে হয়রানিমূলকভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এভাবে অন্যায়ভাবে আটক-গ্রেফতার করা গণতন্ত্রের মধ্যে পড়ে না। দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাই প্রশাসনকে আহ্বান জানাবো অন্যায়ভাবে কোন আচরণ না করার। এসব কাজ করে প্রশাসন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। তাই তাই এই আচরণ থেকে প্রশাসনকে সরে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। আর আটক গ্রেফতার করে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। যেকোনো মূল্যে আমরা সমাবেশ সফল করবোই। তবে এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমা বলেন, আমাদের বিশেষ কোনো অভিযান নেই। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে মোবাইল টিম যাবে। সেই সাথে তারা পরোয়ানাভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করবে। কিন্তু বিশেষ কোনো অভিযান আমাদের নেই।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা