ঢাকা বিভাগে সেরা না’গঞ্জ বিএনপি

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করেছে বিএনপি। গত বুধবার রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে সারা বাংলাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হলেও ঢাকা বিভাগের নেতাকর্মী ছিলো সবচেয়ে বেশি আর ঢাকা বিভাগের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতাকর্মীর জোগান দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। নানা প্রতিকূলতা আর বাঁধা বিঘœ উপক্ষো করে হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন এবং মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। এদিন সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপি’র সমাবেশকে সফল করতে সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিটসহ প্রতিট্নি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে জমা হয় এবং আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে মূলদলের সাথে যোগ দেয়। এ সময় নেতাকর্মীরা বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শ্লোগানে শ্লোগানে ঢাকার রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫টি থানা ও ৫টি পৌর কমিটির আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশে অংশগ্রহন করে। সেইসাথে যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলাদল, কৃষকদল, তাঁতী দল, মৎস্যজীবী দল, ওলামাদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও আলাদা আলদা শোডাউন কওে মূল দলের সাথে যোগ দেয়। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন সদর থানা, বন্দর থানা, বন্দর উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড বিএনপি ও যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলাদল, কৃষকদল, তাঁতী দল, ওলামাদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়। প্রতিটি ইউনিট কমিটি থাকায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি স্মরণকালের সর্ব বৃহৎ শোডাউন করে এদিন ঢাকার রাজপথে। ঢাকার সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির এই বিশাল শোডাউনে সকল নেতাকর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কওে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো: গিয়াসউদ্দিন বলেন, ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদেও পদে পদে বাঁধার সৃষ্টি করেছে সরকার। সরকার পুলিশকে ব্যবহার কওে রাতভর নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে এবং অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।। ঢাকায় যেতে বিএনপির নেতাকর্মীদের পরিবহন দেয়া হয়নি। তাছাড়া সকাল থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে নেতাকর্মীদের নামিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরাও কয়েকদিন যাবত হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এতোসব প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশ সফল করায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যহত থাকবে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান মহানগর বিএনপির ইতিহাসের সর্বোচ্চ শোডাউনের পুরো কৃতিত্ব নেতাকর্মীদের দিয়ে বলেছেন, কর্মীরা হলো দলের প্রাণ। কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হলে ফলাফল আসতে বাধ্য। আগে মহানগর বিএনপির কোনো ইউনিট কমিটি ছিলো না। তাই ত্যাগী নেতাকর্মীরা পদ পদবী থেকে বঞ্চিত হয়ে আন্দোলন সংগ্রামে আসা ছেড়েই দিয়েছিলো। আমরা দায়িত্ব পেয়ে রাজপথের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছি। ফলে নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। যার প্রমাণ আজকে মহানগর বিএনপির স্মরণকালের সর্বোচ্চ নেতাকর্মীর ঢাকায় উপস্থিতি। পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা যেভাবে কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। আমি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে সকল নেতাকর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আগামী দিনগুলোতেও যেকোনো কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠন এভাবেই তাদের নৈপূণ্য ধরে রাখবে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।